বার্কিনা ফাসোতে বিক্ষোভ পার্লামেন্টে আগুন
বিক্ষোভে টালমাটাল পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বার্কিনা ফাসো। বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবন ও সরকারি দলের প্রধান কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে। সম্প্রতি ২৭ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা দেশটির প্রেসিডেন্ট ব্লেইজে কমপাওরের শাসনের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে বিক্ষোভকারীরা।বৃহস্পতিবার বিবিসি জানায়, পার্লামেন্টের চারপাশ থেকে কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। এছাড়া দেশটির রাজধানীতে অবস্থিত ক্ষমতাসীন দলের সদর দফতর ও সিটি হলে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। বার্কিনা ফাসোর সেনারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে।সামরিক শাসক ব্লেইস কোমপাওরে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য সংবিধান সংশোধন করার পরিকল্পনা নেয়া হলে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার একতরফা নির্বাচনে তিনি ‘নির্বাচিত’ হয়েছেন।
আগামী বছরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ তৈরির জন্য এবার সংশোধনের পরিকল্পনা নেয়া হয়।কিন্তু সংবিধান সংশোধনের এ পরিকল্পনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন দেশটির সাধারণ জনগণ। বিবিসির সংবাদদাতা লেইলা আদজুভি জানান, পার্লামেন্ট ভবন ও প্রেসিডেন্ট ব্লেইসের প্রধান কার্যালয় ছাড়াও সিটি হলেও আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এর আগে বিক্ষুব্ধ জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করে সেনাবাহিনী। কিন্তু জনগণ এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে হেলিকপ্টার থেকে টিয়ারগ্যাস ছুড়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। বাধার মুখেও প্রেসিডেন্ট ভবন অভিমুখে অগ্রসর হয়েছে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ এর আগেও টিয়ারগ্যাস ছুড়ে বিক্ষোভকারীদেরকে পার্লামেন্ট ভবনের কাছ থেকে দূরে সরানোর চেষ্টা চালালেও ১৫০০ মানুষ নিরাপত্তা বলয় ভেঙে পার্লামেন্টে চড়াও হয়।সরকারবিরোধী আন্দোলনের নেতা এমিল পারগুই পেয়ার বলেন, আরব বসন্তের মতো ৩০ অক্টোবর হচ্ছে বার্কিনা ফাসোর ‘কালো বসন্ত’।উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন ব্লেইস কোমপাওরে।
No comments