গ্রেপ্তারে ভয় পাই না নিজেরা পালানোর পথ পরিষ্কার রাখুন by কাফি কামাল ও জাবেদ রহিম বিজন
সরকারি দলের নেতাদের বক্তব্যের জবাবে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, আমি গ্রেপ্তারে ভয় পাই না। আমাকে
বন্দি করার আগে নিজেদের পথ পরিষ্কার রাখবেন। পাসপোর্টে ভিসা লাগিয়ে রাখবেন।
এক সময় আসবে দেশবাসী আপনাদের সব পথ বন্ধ করে দেবে। তখন পালানোর পথও খুঁজে
পাবেন না। গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহাম্মদ হাইস্কুল মাঠে ২০ দলীয় জোট
আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ৪৫ মিনিটের
বক্তব্যে তিনি বর্তমান সরকারকে খুনি সরকার আখ্যায়িত করেন। আওয়ামী লীগ
সরকারের দুর্নীতির নানা চিত্র তুলে ধরে বলেন, এ দল হচ্ছে- ‘হাঁটি হাঁটি খাই
খাই’। খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে র্যাবের কর্মকাণ্ডের কড়া সমালোচনা করেন।
বিচারপতিদের অভিশংসন ও সম্প্রচার নীতিমালা বাতিলে প্রয়োজনে হরতালের চেয়ে বড়
কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি ঈদের পর আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি
নিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। বিএনপি চেয়ারপারসন সরকারের উদ্দেশে
বলেন, আপনারা যে হত্যা, লুটপাট করেছেন- সব তথ্যই আমাদের কাছে আছে। সেগুলো
প্রকাশ করলে আপনারা কোথায় যাবেন? সেদিন কিন্তু আপনাদেরই জেলে যেতে হবে। তাই
জেলের ভয় দেখাবেন না। মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দীনের সময়ও আমাকে গ্রেপ্তার ও
দেশত্যাগের জন্য চাপ দিয়েছিল। সেদিন আমি দেশ ছেড়ে যাইনি। বলেছিলাম, বিদেশে
আমার কোন ঠিকানা নেই। সেদিন কিন্তু শেখ হাসিনাই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
দেশবাসীর প্রতি ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে
তিনি বলেন, ঈদের পর যে আহ্বান জানাবো আপনারা তাতে সাড়া দেবেন। আমি যেখানেই
থাকি, আমার দল আছে- দেশের মানুষ আছে, সবাই সাড়া দেবে। বিএনপি চেয়ারপারসন
বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের অবৈধ সরকারের আমলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অনেক মামলা
হয়েছিল। আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধেও তখন অনেক মামলা দেয়া
হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা
তুলে নিয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে নতুন নতুন মামলা দায়ের করা হচ্ছে। তিনি বলেন,
শেখ হাসিনা অনেক অপরাধ করেছেন। তার দলের লোকজন অনেক অপরাধ করেছে। প্রতিদিন
তারা অপরাধ করছে। কিন্তু তাদের কোন বিচার হচ্ছে না। অথচ আমাদের দলের
কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক
মামলা হচ্ছে। এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমাদের দলের অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে
মামলার সংখ্যা ১০০ পেরিয়ে গেছে। সেদিন রাজধানীর তিতুমীর কলেজের
ছাত্রলীগকর্মীরা ৪০টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে একটি
মামলাও হয়নি।
২০দলীয় জোট ভাঙবে না: বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোটের ঐক্যের ব্যাপারে প্রত্যয় ব্যক্ত করে খালেদা জিয়া বলেন, সরকার প্রচারণা চালাচ্ছে-বিএনপি জোট নাকি ভেঙে যাচ্ছে। বিএনপি জোট ভাঙবে না। এটা শক্তিশালী আছে এবং থাকবে। তিনি বলেন, যারা বিএনপির সঙ্গে আছে তারা দেশপ্রেমিক। তারা বেঈমানদের সঙ্গে যেতে পারে না। দেশপ্রেমিকরা বেঈমান-মুনাফিকদের সঙ্গে কখনও যাবে না। বরং আজকে দেশের যে দুরবস্থা তাতে তারা আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ হবে। দেশকে অত্যাচারী জালিমদের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বিষয়ে খালেদা জিয়া বলেন, বিচারপতিদের অভিশংসন সংসদের হাতে নেয়ার মাধ্যমে বিচারকদের হাত-পা বাঁধা হচ্ছে। এমনিতেই বিচারকরা স্বাধীনভাবে বিচার করতে পারছেন না। এখন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ ও বিচারপতিদের ভয় দেখানোর জন্য এ আইন করা হয়েছে। বিরোধী দলের খবর যাতে প্রচার-প্রকাশ না হয় সে জন্য করা হয়েছে সম্প্রচার নীতিমালা। কিন্তু আওয়ামী লীগ তো ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়নি। এ সরকার অবৈধ। বিনাভোটে সংসদে বসে একের পর এক আইন পাস করছে। এগুলো অবৈধ আইন। দেশের জনগণ এসব আইন মানবে না। খালেদা জিয়া বলেন, এসব আইন বন্ধ করুন। আমরা মাত্র একদিন হরতাল দিয়েছি। প্রয়োজনে যে কোন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
তিনি বলেন, আজকের প্রজন্মই আমাদের ভবিষ্যৎ। দেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ফিরিয়ে আনতে তোমাদের আন্দোলন করতে হবে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। আমি আলেম-ওলামাদের আহ্বান জানাবো- আপনারা দেশকে ভালবাসেন। এটা আপনাদের ইমানি দায়িত্ব। আমি দেশের মা-বোন, ছাত্র-যুবক সকল শ্রেণী, মুসলিম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সকল ধর্মের মানুষের প্রতি আহ্বান জানাই। এ দেশ আমাদের সকলের। যারা আজ ক্ষমতায় আছে তারা লুট করে আমাদের দেশকে ফোকলা করে দিয়েছে। আসুন সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জালিম সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করি।
র্যাবের কড়া সমালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, র্যাব এখন পচে গেছে। র্যাব তৈরি করা হয়েছিল সন্ত্রাস দমনের জন্য। তারা এখন মানুষ খুন করছে। র্যাবকে বাতিল করতে হবে। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশে হত্যা ও গুমের সঙ্গে র্যাব জড়িত। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এত গুম-খুনের পরও অভিযুক্ত র্যাবের অফিসার জিয়ার চাকরি থাকে কি করে? কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? অবিলম্বে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিতে হবে। তাকে আইনের আওতায় নিলে সব সত্য বেরিয়ে আসবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি বলতে চাই। আপনারা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন পান। কোন দলের পক্ষে নয়। তাই আপনারা নিরপেক্ষ আচরণ করবেন। ছাত্রলীগকে পাহারা দেয়া আপনাদের কাজ নয়। আপনারা বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর অন্যায়ভাবে গুলি চালাবেন না। তিনি বলেন, আমরা মিছিল-মিটিংয়ে নৈরাজ্য করি না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দেখিয়ে দিতে চাই জনগণ আমাদের সঙ্গেই আছে। কিন্তু সরকার যখন দেখে জনগণ আমাদের সঙ্গে তখন তারা কোন না কোন ঘটনা ঘটায়। মামলা দেয় এবং গ্রেপ্তার করে।
খালেদা জিয়া বলেন, দেশের আলেম-ওলামারাও এ সরকারের হাতে নিরাপদ নয়। তারা তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে রাজধানীর শাপলা চত্বরে গিয়েছিলেন। আলেমরা শান্তিপ্রিয় এবং সেদিন তাদের হাতে ছিল জায়নামাজ, তসবিহ ও কোরআন শরীফ। তারা বলেছিলেন, তাদের নেতা আল্লামা শফী না আসা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবেন। কিন্তু সেদিন শেষ রাতে দেশবাসী কি দেখেছেন? সেদিন আওয়ামী লীগ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে বহু আলেমকে হত্যা করেছে। তাদের হত্যা করে লাশ পর্যন্ত গুম করেছে। কোরআন শরিফ পুড়িয়েছে। কোন আলেম কোরআন শরিফ পোড়াতে পারে না। আলেমদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, এ খুনিরাই ভবিষ্যতে আপনাদের কাছে আসবে। হিজাব পরে, তসবিহ পরে, আপনাদের কাছে ভোট ভিক্ষা চাইবে। মনে রাখবেন, এদেরকে ক্ষমা করা যায় না। এদের হাতে আপনাদের রক্ত। এ সরকারের আমলে কোন ধর্ম ও ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয়।
খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার কথায় কথায় দুর্নীতির কথা বলে। কিন্তু আওয়ামী লীগই দুর্নীতি করেছে। তারা শেয়ার বাজার থেকে এক লাখ কোটি টাকা, ডেসটিনি থেকে ৩৮০০ কোটি টাকা, হল-মার্ক থেকে ৩৫০০ কোটি টাকা, বিছমিল্লাহ গ্রুপ থেকে ১২০০ কোটি, বেসিক ব্যাংক থেকে ৪৫০০ কোটি, রূপালী ব্যাংক থেকে ১২০০ কোটি, জনতা ও কৃষি ব্যাংক থেকে ৬০০ কোটি টাকা লুট করেছে। সে লুটের টাকা বিদেশে পাচার করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অনির্বাচিত অবৈধ অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এগুলো সামান্য টাকা। এখন বলছেন, ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হয়ে গেছে। অর্থমন্ত্রী স্বীকার করছেন, ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পরিষদে দলীয় অযোগ্য লোকদের নিয়োগ দেয়ায় তারা এ লুটপাট করছে। খালেদা জিয়া বলেন, রাস্তা ঘাটের সংস্কার হয় না, উন্নয়ন হয় না। কিন্তু তারা কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করে তারা লুটপাট করছে। তাদের একটি প্রকল্পের নাম- ‘হাঁটি হাঁটি খাই খাই’। আসলেই এ দলটি হচ্ছে- ‘হাঁটি হাঁটি খাই খাই, যাই পাই তাই খাই’। এখন তারা খাল-বিল, নদী-নালা যা পাচ্ছে সবই দখল করছে। কিছুই বাদ দিচ্ছে না। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় মিথ্যা কথা বলে। তারা এখন জামায়াত ইসলামকে কখনও জঙ্গি, কখনও স্বাধীনতা বিরোধী বলছে। কারণ তারা ২০দলীয় জোটের সঙ্গে আছে। কিন্তু জামায়াতে এক সময় আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিল। তখন তারা ছিল আওয়ামী লীগের বন্ধু ও স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। তিনি বলেন, ইনু-মেনন অনেক মানুষ খুন করেছেন। জীবনে কোনদিন পশ্চিম দিকে সেজদা দিতে শুনিনি। এখন শুনছি তারা হজ করতে যাচ্ছেন। আল্লাহর ঘরে গিয়ে তওবা করে যদি তারা ভাল হন তাহলে দেশের জন্য মঙ্গল।
হাসিনা আগেই বিক্রি হয়ে গেছেন: খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন সত্য কথা বলে না। কিন্তু সেদিন শেখ হাসিনা একটি সত্য কথা বলেছেন। আওয়ামী লীগের সব লোককে টাকা দিয়ে কেনা যায়। কেবল শেখ হাসিনা ছাড়া।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, আপনি তো অনেক আগেই বিক্রি হয়ে গেছেন। সেই ’৮৬ সালে এরশাদের কাছে বিক্রি হয়েছিলেন। আমরা একসঙ্গে বসে নির্বাচনে না যাওয়ার চুক্তি করেছিলাম। কিন্তু রাতারাতি আওয়ামী লীগ নির্বাচনে চলে গিয়েছিল। তিনি সেদিন কেবল বিক্রিই হননি, জাতীয় বেঈমানও হয়েছেন।
দেশে ভাল মানুষের দাম নেই: খালেদা জিয়া বলেন, মুফতি ফজলুল হক আমিনী অনেক বড় দেশপ্রেমিক আলেম ছিলেন। তিনি সত্য কথা বলতেন বিধায় দীর্ঘদিন তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। তিনি ঘরের মধ্যে বন্দি থাকতে থাকতে মনোকষ্টে মারা যান। আজকে ভাল লোকের জায়গা এদেশে নেই। তিনি বলেন, সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান সৎ মানুষ। তিনি সত্য কথা বলতে ভয় পেতেন না। তাই এ সরকার তাকে কারাবন্দি করে রেখেছে, মুক্তি দিচ্ছে না। খালেদা জিয়া বলেন, টকশোতে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সত্য কথা বলেন। তাই তাদের কথা বলা বন্ধ করতেই সম্প্রচার নীতিমালা করা হয়েছে। সত্য প্রকাশ করায় ইসলামিক টিভি, দিগন্ত টিভি ও দৈনিক আমার দেশ বন্ধ করে দিয়েছে। খালেদা জিয়ার সফরকে কেন্দ্র করে যাত্রাপথ নরসিংদী, আশুগঞ্জ থেকে শুরু করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত ২০ কিলোমিটারজুড়ে শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়। এছাড়া মহাসড়কের দুই ধারে রঙ-বেরঙয়ের ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তাকে অভিবাদন জানান হাজার হাজার নেতাকর্মী। বেলা ২টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জনসভা শুরু হয়। এর আগে সকাল থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন উপজেলা এবং আশপাশের জেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জনসভায় জড়ো হন ২০ দলের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে সমাবেশস্থলের আশপাশের সড়ক ও অলি-গলিতে মানুষের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে। জনসভা শেষে সড়কপথেই ঢাকায় ফেরেন খালেদা জিয়া। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর বিএনপির সভাপতি এডভোকেট শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে জনসভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ নেজামী, মহাসচিব আবুল হাসনাত আমিনী, জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, খেলাফত মজলিশের আমীর মুহাম্মদ ইসহাক, কল্যাণ পার্টির সভাপতি মে. জে. (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, ন্যাপের আজহারুল ইসলাম, এনডিপির গোলাম মতুর্জা, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, জাপা (জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য সেলিম মাস্টার, বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, আবদুল্লাহ আল নোমান, উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া, শওকত মাহমুদ, ডা. জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম আকবর খন্দকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি নেতা কাজী আনোয়ার হোসেন, সৈয়দ একে একরামুজ্জামান, আবদুল খালেক, ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, তকদির হোসেন জসিম ও নবীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম বক্তব্য দেন। এছাড়াও জনসভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমেদ, বরকতউল্লাহ বুলু, এ্যাবের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মুনসিফ আলী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোখলিছুর রহমানসহ বিএনপি ও অঙ্গদলের কেন্দ্রীয় এবং জেলা নেতারা অংশ নেন। আগামী ২৭শে সেপ্টেম্বর জামালপুর জেলা সফরে যাবেন খালেদা জিয়া।
No comments