যাপিত রস- গানে গানে সৈয়দ মহসিন আলী by সোহরাব আলম, আঁকা: ষুভ
বিভিন্ন
সময়ে সিরিয়াস সব অনুষ্ঠানে গান গেয়ে নিজের সংগীতপ্রতিভার কথা জানান
দিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী। একদিকে কুড়িয়েছেন প্রশংসা,
অন্যদিকে ‘দুষ্টু’ লোকেরা বলেছে—এইডা কিছু হইল! তাতে অবশ্য তিনি মোটেও
পিছপা হননি। আর তাই তাঁকেই খুঁজছে রস+আলো! তবে শেষমেশ তাঁকে খুঁজে না পেয়ে
কাল্পনিক একটি সাক্ষাৎকারই আমাদের শেষ ভরসা!
রস+আলো: আপনার গান গাওয়ার শুরু হলো কবে? উত্সাহ পেলেন কার কাছে?
সৈয়দ মহসিন আলী: আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান/ সেদিন হতে গানই জীবন, গানই আমার প্রাণ...
র.আ.: তাহলে একদম শৈশব থেকেই শুরু?
সৈ.ম.আ.: জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো...
র.আ.: বুঝতে পেরেছি। আপনি কেন গান করেন?
সৈ.ম.আ.: গান গাই আমার মনরে বোঝাই, বাঁচি না তারে ছাড়া/ আর কিছু চায় না মনে গান ছাড়া, গান ছাড়া...
র.আ.: টাইমমেশিনে চেপে যদি আবার যৌবনে ফিরে যাওয়ার সুযোগ পান, নতুন করে প্রেমে পড়বেন নিশ্চয়ই? তখন ওই কাঙ্ক্ষিত রমণীর জন্য কোন গানটা গাইবেন?
সৈ.ম.আ.: আমার গানের মালা আমি করব কারে দান/ মালার ফুলে জড়িয়ে আছে করুণ অভিমান...
র.আ.: যদি তাতে মন না গলত, তখন কী গাইতেন?
সৈ.ম.আ.: আমায় নহে গো/ ভালোবাসো শুধু ভালোবাসো মোর গান...
র.আ.: তার পরও যদি সাড়া না পেতেন?
সৈ.ম.আ.: গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে বলো কী হবে?/ জীবন খাতার ছিন্ন পাতায় শুধু বেহিসাবে পড়ে রবে...
র.আ.: আপনার গান শুনে আর গান গাওয়ার ভঙ্গি দেখে অনেকেই মুখ টিপে হাসে। বিষয়টা আপনার কেমন লাগে?
সৈ.ম.আ.: নিন্দার কাঁটা যদি না বিঁধিল গায়ে/ প্রেমের কী সাধ আছে বলো!/ আঁধার না থাকে যদি কী হবে আলো/ প্রেমের কী সাধ আছে বলো...
র.আ.: তার মানে, আপনি বিষয়টা গায়ে মাখেন না! এটা সম্ভবত কৌশলী উত্তর।
সত্যটা বলবেন কি?
সৈ.ম.আ.: ফাইট্টা যায়, বুকটা ফাইট্টা যায়...
র.আ.: আহারে! যাক, এবার অন্য প্রসঙ্গে আসি। আপনি সাংবাদিকদের গালাগালি করে সমালোচিত হয়েছিলেন। পরে অবশ্য ক্ষমাও চেয়েছেন। আপনার কি মনে হয়, সাংবাদিকেরা আপনাকে ক্ষমা করেছেন? তঁাদের উদ্দেশে কিছু বলবেন?
সৈ.ম.আ.: মানুষ মানুষের জন্য/ জীবন জীবনের জন্য/ একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না, ও বন্ধু...
র.আ.: চারদিকে এত অমানবিকতা, অনিয়ম। আপনার কিছু বলার আছে? অথবা এ বিষয়ে কোনো গান...
সৈ.ম.আ.: কী গান শোনাব, ওগো বন্ধু/ মানুষের নেই মানবতা/ বোঝে না তো কেউ কারও ব্যথা...
র.আ.: তাহলে আপনি কিছুই গাইবেন না?
সৈ.ম.আ.: একটা গান লিখো আমার জন্য/ নাহয় আমি তোমার কাছে ছিলেম অতি নগণ্য...
র.আ.: আপনার এই অনুরোধ গীতিকার কেন শুনবেন? না শুনলে কী বলবেন?
সৈ.ম.আ.: ভুল বুঝে চলে যাও, যত খুশি ব্যথা দাও/ সব ব্যথা নীরবে সইব/ তোমার লেখা গান আমি গাইব...
র.আ.: রস+আলোর পাঠকের জন্য আপনার পছন্দের একটা গান যদি নিবেদন করতেন...
সৈ.ম.আ.: শিল্পী আমি তোমাদেরই গান শোনাব, তোমাদেরই মন ভরাব/ শিল্পী আমি শিল্পী...
র.আ.: বাহ্। আমরা কি তাহলে এখন থেকে আপনাকে সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী না বলে শিল্পী মহসিন আলী বলতে পারি?
সৈ.ম.আ.: এই মণিহার আমায় নাহি সাজে/ এরে পরতে গেলে লাগে, এরে ছিঁড়তে গেলে বাজে...এই মণিহার আমায় নাহি সাজে...
রস+আলো: আপনার গান গাওয়ার শুরু হলো কবে? উত্সাহ পেলেন কার কাছে?
সৈয়দ মহসিন আলী: আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান/ সেদিন হতে গানই জীবন, গানই আমার প্রাণ...
র.আ.: তাহলে একদম শৈশব থেকেই শুরু?
সৈ.ম.আ.: জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো...
র.আ.: বুঝতে পেরেছি। আপনি কেন গান করেন?
সৈ.ম.আ.: গান গাই আমার মনরে বোঝাই, বাঁচি না তারে ছাড়া/ আর কিছু চায় না মনে গান ছাড়া, গান ছাড়া...
র.আ.: টাইমমেশিনে চেপে যদি আবার যৌবনে ফিরে যাওয়ার সুযোগ পান, নতুন করে প্রেমে পড়বেন নিশ্চয়ই? তখন ওই কাঙ্ক্ষিত রমণীর জন্য কোন গানটা গাইবেন?
সৈ.ম.আ.: আমার গানের মালা আমি করব কারে দান/ মালার ফুলে জড়িয়ে আছে করুণ অভিমান...
র.আ.: যদি তাতে মন না গলত, তখন কী গাইতেন?
সৈ.ম.আ.: আমায় নহে গো/ ভালোবাসো শুধু ভালোবাসো মোর গান...
র.আ.: তার পরও যদি সাড়া না পেতেন?
সৈ.ম.আ.: গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে বলো কী হবে?/ জীবন খাতার ছিন্ন পাতায় শুধু বেহিসাবে পড়ে রবে...
র.আ.: আপনার গান শুনে আর গান গাওয়ার ভঙ্গি দেখে অনেকেই মুখ টিপে হাসে। বিষয়টা আপনার কেমন লাগে?
সৈ.ম.আ.: নিন্দার কাঁটা যদি না বিঁধিল গায়ে/ প্রেমের কী সাধ আছে বলো!/ আঁধার না থাকে যদি কী হবে আলো/ প্রেমের কী সাধ আছে বলো...
র.আ.: তার মানে, আপনি বিষয়টা গায়ে মাখেন না! এটা সম্ভবত কৌশলী উত্তর।
সত্যটা বলবেন কি?
সৈ.ম.আ.: ফাইট্টা যায়, বুকটা ফাইট্টা যায়...
র.আ.: আহারে! যাক, এবার অন্য প্রসঙ্গে আসি। আপনি সাংবাদিকদের গালাগালি করে সমালোচিত হয়েছিলেন। পরে অবশ্য ক্ষমাও চেয়েছেন। আপনার কি মনে হয়, সাংবাদিকেরা আপনাকে ক্ষমা করেছেন? তঁাদের উদ্দেশে কিছু বলবেন?
সৈ.ম.আ.: মানুষ মানুষের জন্য/ জীবন জীবনের জন্য/ একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না, ও বন্ধু...
র.আ.: চারদিকে এত অমানবিকতা, অনিয়ম। আপনার কিছু বলার আছে? অথবা এ বিষয়ে কোনো গান...
সৈ.ম.আ.: কী গান শোনাব, ওগো বন্ধু/ মানুষের নেই মানবতা/ বোঝে না তো কেউ কারও ব্যথা...
র.আ.: তাহলে আপনি কিছুই গাইবেন না?
সৈ.ম.আ.: একটা গান লিখো আমার জন্য/ নাহয় আমি তোমার কাছে ছিলেম অতি নগণ্য...
র.আ.: আপনার এই অনুরোধ গীতিকার কেন শুনবেন? না শুনলে কী বলবেন?
সৈ.ম.আ.: ভুল বুঝে চলে যাও, যত খুশি ব্যথা দাও/ সব ব্যথা নীরবে সইব/ তোমার লেখা গান আমি গাইব...
র.আ.: রস+আলোর পাঠকের জন্য আপনার পছন্দের একটা গান যদি নিবেদন করতেন...
সৈ.ম.আ.: শিল্পী আমি তোমাদেরই গান শোনাব, তোমাদেরই মন ভরাব/ শিল্পী আমি শিল্পী...
র.আ.: বাহ্। আমরা কি তাহলে এখন থেকে আপনাকে সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী না বলে শিল্পী মহসিন আলী বলতে পারি?
সৈ.ম.আ.: এই মণিহার আমায় নাহি সাজে/ এরে পরতে গেলে লাগে, এরে ছিঁড়তে গেলে বাজে...এই মণিহার আমায় নাহি সাজে...
No comments