ব্রাজিল বিশ্বকাপ- ফুটবলের সঙ্গে কি সেক্সের কোন যোগসূত্র আছে
তবে কি ফুটবলের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের
যোগসূত্র আছে! এমন জিজ্ঞাসা এখন অসংখ্য মানুষের। এর কারণ, যেসব দেশ তাদের
খেলোয়াড়দের বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালীন যৌন সমপর্ক স্থাপন করতে দেয়নি, তারা
সকলেই বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের আগেই বাদ পড়ে গেছে! পক্ষান্তরে যে সব
দেশের খেলোয়াড়দের যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অনুমতি ছিল, তাদেরকে দেখা গেছে মাঠে
বেশ উজ্জ্বল, উচ্ছল। মাঠের পারফরমেন্সও তাদের তুলনামূলকভাবে ভালো। এক
গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য। জার্মানি ও হল্যান্ডের কোচ খেলোয়াড়দের
অনুমতি দিয়েছেন তারা হোটেলে বান্ধবী বা স্ত্রীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন
করতে পারবেন। তবে কোন কোন দেশ তাদের খেলোয়াড়দের কড়া প্রহরায় রেখেছে যাতে
তাদের ধারে কাছেও ঘেঁষতে না পারেন বান্ধবী বা স্ত্রীরা। এসব দেশের কোচদের
যুক্তি হোটেলে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে ফুটবল যুদ্ধের মাঠে তারা দুর্বল হয়ে
পড়বেন। ফলে সহজেই হেরে যাবে তাদের দল। কিন্তু উল্টোটি যারা ভেবেছেন তারা
বলেছেন, যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে দেহ সচল হয়। ফলে খেলার মাঠে তারা আরও ভাল
পারফরমেন্স করতে পারবেন। আসলে হয়েছেও তাই। খেলোয়াড়দের যৌন সম্পর্ক স্থাপনের
অনুমতি দিয়েছে জার্মানি ও হল্যান্ড। ফলে খুব সহজেই তারা পৌঁছে গেছে
কোয়ার্টার ফাইনালে। ব্রাজিল, ফ্রান্স ও কোস্টা রিকার কোচও খেলোয়াড়দের
শারীরিক সমপর্ক স্থাপনে অনুমতি দিয়েছেন, কিন্তু কিছু নিয়মের বেড়াজালে। সেই
তিনটি দলও এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে টিকে আছে। তবে জানা যায়নি, টুর্নামেন্টে
এখনও লড়াইয়ে থাকা আর্জেন্টিনা, বেলজিয়াম ও কলম্বিয়া এই ব্যাপারে কি নীতি
অনুসরণ করছে। এছাড়াও খেলোয়াড়দের নিজের প্রেয়সীর সঙ্গে সময় কাটানোর অনুমতি
আছে, এমন চারটি দল- যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, উরুগুয়ে ও নাইজেরিয়া-
প্রত্যেকে প্রথম রাউন্ডের বাধা টপকে দ্বিতীয় রাউন্ড পর্যন্ত এসেছিল।
দুর্ভাগ্য ইংল্যান্ডের। ইংল্যান্ড কোচ রয় হসজন তার খেলোয়াড়দেরও অনুমতি
দিয়েছিলেন প্রেয়সীদের সঙ্গে সময় কাটাতে। কিন্তু সেটা তাদের বেলায় কাজ
করেনি। অপরদিকে খেলোয়াড়দের শারীরিক সমপর্ক স্থাপন নিষিদ্ধ, এমন ৫টি দলের
কেউই দ্বিতীয় রাউন্ডের বাধা টপকাতে পারেনি। অনেকেই বিদায় নিয়েছে প্রথম
রাউন্ড থেকেই। এদের মধ্যে আছে- সেপন, রাশিয়া, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, চিলি ও
মেক্সিকো। কোন কোন কোচ এই বিষয়টিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন। যেমন
ব্রাজিলের কোচ লুই ফিলিপ স্কলারি শারীরিক সমপর্ক নিষিদ্ধ করেননি, কিন্তু
ব্যাপারটি নিজের পর্যবেক্ষণে রাখবেন। তিনি বলেন, খেলোয়াড়রা বিশ্বকাপের সময়
স্বাভাবিক ভাবে শারীরিক সমপর্ক স্থাপন করবেন। স্বাভাবিক উপায়ে শারীরিক
সমপর্ক স্থাপন করা ভারসাম্যপূর্ণও। কিন্তু অনেকে কসরতি সেক্স করেন। আমরা
একটা সীমা বেঁধে দেব এবং খেলোয়াড়দের উপর জরিপ চালাবো। অন্য কোচদের মধ্যে
কোস্টা রিকার লুই পিন্টো ম্যাচ জয়ের পর খেলোয়াড়দের শারীরিক সমপর্ক স্থাপনে
অনুমতি দিতে পেরে খুশি। তিনি বলেন, আমি সন্দেহাতীতভাবে নিশ্চয়তা দিতে পারি,
ম্যাচ জিতার সঙ্গে সঙ্গেই খেলোয়াড়রা (শারীরিক সমপর্ক) উপভোগের অনুমতি
পাবে। ধারণা করা হয়, বড় ম্যাচের আগে খেলোয়াড়রা শারীরিক সমপর্ক স্থাপন করলে,
তারা ক্লান্ত হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু সামপ্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, এই
ধারণা সঠিক নয়। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এই ধরনের ধারণার পক্ষে কোন প্রমাণ পাননি
তারা।
No comments