সুষমা স্বরাজের বাংলাদেশ সফরের আদ্যোপান্ত শুনলেন মজিনা
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের বাংলাদেশ সফরের বিস্তারিত শুনলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা। গতকাল পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকের সঙ্গে বৈঠকে সফরটির বিষয়ে তিনি নিজে থেকেই জানতে চান। সচিব তাকে সফরের আদ্যোপান্ত ব্রিফ করেন। সফরটিকে ‘অত্যন্ত সফল’ বলে উল্লেখ করেন সরকারের শীর্ষ ওই কূটনীতিক। দুপুরে সেগুনবাগিচার পররাষ্ট্র ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠক এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে। বিদায়বেলা মার্কিন দূত উপস্থিত সংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এটিকে নিয়মিত বৈঠক এবং সেখানে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি আলোচনা হয়েছে বলে জানান। বৈঠক সূত্র মজিনার ওই বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেনি। সূত্রের দাবি, প্রায় প্রতি মাসেই মার্কিন দূত পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে একবার বৈঠক করেন। গত মাসে প্রায় ৩ সপ্তাহ তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। তাছাড়া পররাষ্ট্র সচিব প্রধানমন্ত্রীর জাপান ও চীন সফর এবং ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। উভয়ের ব্যস্ততার কারণে দীর্ঘ বিরতির পর গতকাল তারা বৈঠকে মিলিত হন। ওই বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি তো ছিলই, পাশাপাশি সমসাময়িক অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সূত্রের দাবি, ৫ই জানুয়ারির বহুল আলোচিত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর শেখ হাসিনা দু’টি উন্নত দেশ সফর করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ গোটা পশ্চিমা বিশ্ব যখন একতরফা ওই নির্বাচনের বিরোধিতা করছিল তখন চীন ও জাপান শেখ হাসিনার প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থন যুগিয়েছিল। আর তৎকালীন ভারতের কংগ্রেস নেতৃত্ব তো হাসিনা সরকারের ধারাবাহিকতা রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল। দিল্লির মসনদে বড় ধরনের পরিবর্তন এসে গেছে। সেখানে গণতান্ত্রিক উৎসবের মধ্য দিয়ে কংগ্রেসকে বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে মোদি সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পদে পুনঃনির্বাচিত হওয়ার পর শেখ হাসিনা জাপানকে দিয়েই তার বিদেশ সফর শুরু করেছেন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে তিনি চীনও সফর করে এসেছেন। দু’টি প্রভাবশালী রাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রীর সফরের রেশ কাটতে না কাটতেই ঢাকা সফরে করে গেছেন ভারতের নবপ্রতিষ্ঠিত মোদি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি ছিল তার প্রথম বিদেশ সফর। শহীদুল হকের সঙ্গে ড্যান মজিনার দীর্ঘ বৈঠকে তিনটি সফর নিয়েই আলোচনা হয়েছে। তবে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের আগ্রহ ছিল ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর নিয়ে। ওই সফরের মধ্য দিয়ে দিল্লি পরিবর্তিত নেতৃত্ব বাংলাদেশকে জানা-বোঝার চেষ্টা করেছে। বিশেষ করে এখানকার রাজনৈতিক নেতৃত্বকে। ২৫-২৭শে জুন সুষমার সফরের সময়ে ড্যান মজিনা ঢাকাতেই ছিলেন। তারপরও তিনি সরকারের শীর্ষ কূটনীতিকের কাছ থেকে এ নিয়ে জানতে চেয়েছেন। সচিব ব্রিফ করলেও বৈঠকের ভেতরে কিংবা বাইরে এ নিয়ে মন্তব্য বা মূল্যায়নে মার্কিন দূত সতর্ক ছিলেন।
বাংলাদেশের গার্মেন্টকে ‘নাম্বার ওয়ান ব্র্যান্ড’ দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্পকে বিশ্বের ‘নাম্বার ওয়ান ব্র্যান্ড’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এরই অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি পর্যালোচনা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা। গতকাল দুপুরে সেগুন বাগিচার পররাষ্ট্র ভবনে জিএসপি সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে দেশটির বেঁধে দেয়া কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন সংক্রান্ত রিভিউ রিপোর্ট প্রকাশ হয় বুধবার। ওই রিপোর্টে ‘বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য শর্ত বাস্তবায়ন করতে পারেনি’ বলে মত দেয় মার্কিন বাণিজ্য দপ্তর (ইউএসটিআর)। হতাশাজনক ওই খবরটি গতকালই বাংলাদেশে প্রকাশ পায়। ওবামা প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, শুধু জিএসপি’র জন্য কর্মপরিবেশ উন্নতি চায় না যুক্তরাষ্ট্র। এদেশের পোশাক শিল্পে আর যেন কোন দুর্ঘটনা না ঘটে, বিশেষ করে রানা প্লাজার মতো ঘটনা যাতে বন্ধ করা যায় সে জন্যই বাংলাদেশকে জিএসপি’র প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণের তাগিদ দেন তিনি।
বাংলাদেশের গার্মেন্টকে ‘নাম্বার ওয়ান ব্র্যান্ড’ দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্পকে বিশ্বের ‘নাম্বার ওয়ান ব্র্যান্ড’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এরই অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি পর্যালোচনা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা। গতকাল দুপুরে সেগুন বাগিচার পররাষ্ট্র ভবনে জিএসপি সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে দেশটির বেঁধে দেয়া কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন সংক্রান্ত রিভিউ রিপোর্ট প্রকাশ হয় বুধবার। ওই রিপোর্টে ‘বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য শর্ত বাস্তবায়ন করতে পারেনি’ বলে মত দেয় মার্কিন বাণিজ্য দপ্তর (ইউএসটিআর)। হতাশাজনক ওই খবরটি গতকালই বাংলাদেশে প্রকাশ পায়। ওবামা প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, শুধু জিএসপি’র জন্য কর্মপরিবেশ উন্নতি চায় না যুক্তরাষ্ট্র। এদেশের পোশাক শিল্পে আর যেন কোন দুর্ঘটনা না ঘটে, বিশেষ করে রানা প্লাজার মতো ঘটনা যাতে বন্ধ করা যায় সে জন্যই বাংলাদেশকে জিএসপি’র প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণের তাগিদ দেন তিনি।
No comments