এই অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা চলতেই থাকবে?- মাথাভারী প্রশাসন
গত বুধবার প্রশাসনিক উন্নয়ন কমিটির বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা গণমাধ্যমে জানা গেছে, তাতে প্রশাসনকে গতিশীল করার চেয়ে সচিবদের পদমর্যাদা ও পেশাগত সুরক্ষার বিষয়টিই গুরুত্ব পেয়েছে। কিন্তু সরকার জনপ্রশাসনকে কীভাবে চালাতে চায়, সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা আছে কি না, থাকলেও তা মানা হচ্ছে কি না, সেসব প্রশ্নের সুদত্তর নেই।
বর্তমানে জনপ্রশাসনের চিত্রটি খুবই হতাশাজনক। প্রশাসনের নিচে পদ আছে, পদায়ন নেই, আর ওপরে পদ নেই অথচ পদোন্নতির ভারে আক্রান্ত। পদোন্নতি দেওয়া না-হক কাজ নয়। কিন্তু কাকে, কোথায় পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, সেটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে জনপ্রশাসনে অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব ও উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, পদের চেয়ে অনেক বেশিসংখ্যক কর্মকর্তাকে। তাই অতিরিক্ত সচিব পদে নিয়োগ পেয়ে অনেকেই যুগ্ম সচিব পদে এবং যুগ্ম সচিব পদে নিয়োগ পেয়ে উপসচিব পদেই চাকরি করতে বাধ্য হচ্ছেন।এতে প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা যেমন বেড়েছে, তেমনি কাজেও এসেছে স্থবিরতা।
পদের বিপরীতে পদোন্নতির সংখ্যা বেশি হলে স্বাভাবিকভাবে পদ নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে যায় এবং সবাই যেকোনো উপায়ে পদটি বাগিয়ে নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। ইতিমধ্যে ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তারা হতাশা ব্যক্ত করেছেন যে তাঁদের ব্যাচের কেউ এখন পর্যন্ত সচিব হতে পারেননি।কেননা ’৮১, ’৮২ ও ’৮২ বিশেষ ব্যাচের কর্মকর্তারাই এই পদগুলো দখল করে আছেন। আবার প্রশাসনের শীর্ষ পদের কোনো কর্মকর্তা জীবনের শেষবেলায় এসে একটি মুক্তিযোদ্ধা সনদ জোগাড় করলে তিনি আরও তিন বছরের জন্য বহাল থাকতে পারছেন।
এর পাশাপাশি প্রশাসনে জেঁকে বসেছে দলীয়করণ ও আত্মীয়করণের ভূত। যাঁদের সমর্থক হিসেবে গণ্য করা হয় তাঁদের বেছে বেছে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়। আবার অপছন্দের কর্মকর্তাদের হয় কম গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন অথবা ওএসডি করা হয়। যদিও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রশাসনকে দলীয়করণমুক্ত রাখার অঙ্গীকার করা হয়েছিল। প্রথম আলোতেই সহকারী সচিব থেকে সচিব পর্যন্ত বিভিন্ন পদে ৩৪৩ জন সরকারি কর্মকর্তাকে ওএসডি রাখার খবর প্রকাশিত হয়। এর ফলে এদের পেছনে রাষ্ট্র বিপুল পিরমাণ অর্থ ব্যয় করলেও বিনিময়ে কিছুই পাচ্ছে না। এই অপচয়ের জবাব কী? প্রশাসনে রাজনৈতিক কারণে কাউকে ওএসডি করা হলে অন্যদের মধ্যেও ভয় ঢুকে যায় এবং তাঁরা পেশাগত কাজ না করে তদবিরবাজিতে ব্যস্ত থাকেন।
এই বিশৃঙ্খল ও ভারসাম্যহীন অবস্থা থেকে জনপ্রশাসনকে অবিলম্বে মুক্ত করা জরুরি। সেটি কীভাবে সম্ভব? প্রথমত, যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য স্থানে পদায়ন করা। দ্বিতীয়ত, পদোন্নতির ক্ষেত্রে সব ধরনের রাজনৈতিক বিবেচনা পরিহার করা। মনে রাখতে হবে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা কেউ আওয়ামী লীগ বা বিএনপির চাকরি করেন না। তাঁরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। এই রাষ্ট্র ও জনগণের প্রতিই তাঁরা দায়বদ্ধ, অন্য কারও প্রতি নয়।
বর্তমানে জনপ্রশাসনের চিত্রটি খুবই হতাশাজনক। প্রশাসনের নিচে পদ আছে, পদায়ন নেই, আর ওপরে পদ নেই অথচ পদোন্নতির ভারে আক্রান্ত। পদোন্নতি দেওয়া না-হক কাজ নয়। কিন্তু কাকে, কোথায় পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, সেটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে জনপ্রশাসনে অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব ও উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, পদের চেয়ে অনেক বেশিসংখ্যক কর্মকর্তাকে। তাই অতিরিক্ত সচিব পদে নিয়োগ পেয়ে অনেকেই যুগ্ম সচিব পদে এবং যুগ্ম সচিব পদে নিয়োগ পেয়ে উপসচিব পদেই চাকরি করতে বাধ্য হচ্ছেন।এতে প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা যেমন বেড়েছে, তেমনি কাজেও এসেছে স্থবিরতা।
পদের বিপরীতে পদোন্নতির সংখ্যা বেশি হলে স্বাভাবিকভাবে পদ নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে যায় এবং সবাই যেকোনো উপায়ে পদটি বাগিয়ে নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। ইতিমধ্যে ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তারা হতাশা ব্যক্ত করেছেন যে তাঁদের ব্যাচের কেউ এখন পর্যন্ত সচিব হতে পারেননি।কেননা ’৮১, ’৮২ ও ’৮২ বিশেষ ব্যাচের কর্মকর্তারাই এই পদগুলো দখল করে আছেন। আবার প্রশাসনের শীর্ষ পদের কোনো কর্মকর্তা জীবনের শেষবেলায় এসে একটি মুক্তিযোদ্ধা সনদ জোগাড় করলে তিনি আরও তিন বছরের জন্য বহাল থাকতে পারছেন।
এর পাশাপাশি প্রশাসনে জেঁকে বসেছে দলীয়করণ ও আত্মীয়করণের ভূত। যাঁদের সমর্থক হিসেবে গণ্য করা হয় তাঁদের বেছে বেছে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়। আবার অপছন্দের কর্মকর্তাদের হয় কম গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন অথবা ওএসডি করা হয়। যদিও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রশাসনকে দলীয়করণমুক্ত রাখার অঙ্গীকার করা হয়েছিল। প্রথম আলোতেই সহকারী সচিব থেকে সচিব পর্যন্ত বিভিন্ন পদে ৩৪৩ জন সরকারি কর্মকর্তাকে ওএসডি রাখার খবর প্রকাশিত হয়। এর ফলে এদের পেছনে রাষ্ট্র বিপুল পিরমাণ অর্থ ব্যয় করলেও বিনিময়ে কিছুই পাচ্ছে না। এই অপচয়ের জবাব কী? প্রশাসনে রাজনৈতিক কারণে কাউকে ওএসডি করা হলে অন্যদের মধ্যেও ভয় ঢুকে যায় এবং তাঁরা পেশাগত কাজ না করে তদবিরবাজিতে ব্যস্ত থাকেন।
এই বিশৃঙ্খল ও ভারসাম্যহীন অবস্থা থেকে জনপ্রশাসনকে অবিলম্বে মুক্ত করা জরুরি। সেটি কীভাবে সম্ভব? প্রথমত, যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য স্থানে পদায়ন করা। দ্বিতীয়ত, পদোন্নতির ক্ষেত্রে সব ধরনের রাজনৈতিক বিবেচনা পরিহার করা। মনে রাখতে হবে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা কেউ আওয়ামী লীগ বা বিএনপির চাকরি করেন না। তাঁরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। এই রাষ্ট্র ও জনগণের প্রতিই তাঁরা দায়বদ্ধ, অন্য কারও প্রতি নয়।
No comments