রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই আমার বিরুদ্ধে মামলা: সারকোজি
সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজির (৫৯) বিরুদ্ধে গতকাল বুধবার আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সারকোজি বলেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে। খবর বিবিসির। নিজের বিরুদ্ধে একটি মামলার তদন্তে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে গত মঙ্গলবার আটক হন সারকোজি। রাতেই তাঁকে প্যারিসের একজন বিচারকের সামনে হাজির করা হয়। এরপর তিনি মুক্তি পান। একটি টেলিভিশনকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সারকোজি। ওই সাক্ষাৎকারের সংক্ষিপ্তসার গতকাল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সারকোজি বলেছেন, ফ্রান্সের বিচারব্যবস্থাকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশের মানুষের সঙ্গে তিনি কোনো প্রতারণা করেননি এবং রাষ্ট্রের নিয়মনীতির বাইরে তিনি কোনো কিছু করেননি। ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা সারকোজিকে যে অভিযোগে আটক করা হয়, একই অভিযোগে তাঁর আইনজীবী থিয়েরি অর্জগ ও রাষ্ট্রপক্ষের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী গিলবে আজিবের বিরুদ্ধেও আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আরেক আইনজীবী পাত্রিক সসুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। তবে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত তিনি বিচারকের সামনে হাজির হননি। সন্দেহভাজন কাউকে ফ্রান্সে আনুষ্ঠানিক তদন্তের আওতায় নিয়ে আসার অর্থ হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি একজন বিচারকের সামনে হাজির হবেন। সারকোজি মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকালে প্যারিসের পশ্চিমাঞ্চলের নান্তেহ্ থানায় যান। সেখানে দুর্নীতিবিরোধী পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তারা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। মধ্যরাতে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। সারকোজিসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগের তদন্ত শুরু হলো, সেটি মূলত অবৈধ তহবিল গ্রহণসংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত করার সময় বেরিয়ে আসে। অভিযোগে জানা যায়, সারকোজি ২০০৭ সালে নিজের নির্বাচনী প্রচারণার জন্য অবৈধভাবে লিবিয়ার তৎকালীন নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়েছিলেন। তদন্তকারীদের সন্দেহ, সারকোজি ওই অভিযোগের তদন্তসংক্রান্ত তথ্য জানানোর বিনিময়ে রাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আজিবেকে মোনাকো আদালতে সম্মানজনক পদ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছেন।
No comments