৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেলেন রাসেল by শাহীন আকন্দ
অপহরণের পাঁচ দিন পর ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ
দিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে গাজীপুরের শ্রীপুরের বিএনপি নেতার ছেলে মাহবুব আলম
রাসেল ফকিরকে। অপহরণকারীদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণের টাকা
দেওয়ার সাড়ে ১৬ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার রাতে হাত-পা ও চোখ-মুখ বাঁধা অবস্থায়
রাসেলকে শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তার সিটি পার্ক চায়নিজ রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে ফোনে রাসেলকে ডেকে নিয়ে অপহরণ করা হয়। মাহবুব আলম রাসেল ফকির (১৯) শ্রীপুর কারিগরি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র। তিনি শ্রীপুর পৌর এলাকার আট নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইজ্জত আলী ফকিরের বড় ছেলে।
মুক্তি দেওয়ার পরও অপহরণকারীরা একের পর এক হুমকি দিয়ে আসছে রাসেলের বাবাকে। অপহরণের ঘটনায় মুখ খুললে এবার ইজ্জত আলী তাঁর দুই ছেলের লাশও খুঁজে পাবেন না বলে মুঠোফোনে বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আতঙ্কে পরিবারের কেউ বাড়ি থেকে বেরোচ্ছে না। ইজ্জত আলী জানান, অপহরণকারীরা এখনো তাঁর পরিবারের ওপর নজর রেখেছে। কোথায়, কী কথা হচ্ছে, তাঁর বাড়িতে কে কখন যাওয়া-আসা করছে, সবই মোবাইল ফোনে বলে হুমকি দিচ্ছে।
শ্রীপুর মডেল থানার পরিদর্শক আমির হোসেন কালের কণ্ঠকে জানান, মুক্তিপণ দিয়ে পরিবার রাসেলকে ছাড়িয়ে আনলেও পুলিশ মুক্তিপণের টাকাসহ অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারের অভিযানে রয়েছে। শিগগির তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে তাঁরা আশা করছেন।
কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি, নির্যাতন : জানা যায়, শিশুকালের বন্ধু পরিচয় দিয়ে রাসেলকে মাওনা চৌরাস্তার সিটি পার্ক চায়নিজ রেস্টুরেন্টের সামনে ডেকে নিয়ে ফিল্মি কায়দায় অপহরণ করে দুষ্কৃতকারীরা। একটি মাইক্রোবাসে তুলে তাকে অজ্ঞান করে ফেলে তারা। জ্ঞান ফিরলে রাসেল হাত-পা ও চোখ-মুখ বাঁধা অবস্থায় একটি ছোট বদ্ধ ঘরে নিজেকে দেখতে পায়। এক পর্যায়ে অপহরণকারীরা রাসেলের মোবাইল ফোন থেকেই তার বাবাকে ফোন দিয়ে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অন্যথায় ছেলের লাশও ফেরত দেবে না বলে হুমকি দেয়। রাসেলের বাবা এত টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই বলে জানালে রাসেলের পিঠে চার-পাঁচটি সুচ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। রাসেলের চিৎকার মুঠোফোনে ইজ্জত আলী ফকিরকে শোনানো হয়। ইজ্জত আলী তখন ছেলের প্রাণভিক্ষা চাইলে সংযোগ কেটে দেয় অপহরণকারীরা। এভাবে ইজ্জত আলীর সঙ্গে মুক্তিপণ নিয়ে দরকষাকষি চলতে থাকে।
পুলিশের নিষ্ফল অভিযান : অপহরণের ঘটনায় রাসেল ফকিরের খালাতো ভাই মিলন আহমেদ শনিবার শ্রীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পুলিশ মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার মশাখালীতে অপহরণকারীদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালায়। টের পেয়ে রাসেলকে হত্যার ঘোষণা দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় অপহরণকারীরা। রাসেলকে হত্যা করা হয়েছে ভেবে পুলিশের সহযোগিতায় ডুবুরিরা চোরপাড়া গ্রামে একটি পুকুরে লাশের জন্য তল্লাশিও চালায়।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক অচিন্ত দেবনাথ বলেন, অপহরণকারীদের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার সময় পুলিশকে না জানিয়ে মুক্তিপণ দিয়েছেন রাসেল ফকিরের বাবা।
৩৫ লাখ টাকায় রফা : এক পর্যায়ে অপহরণকারীরা ফের মুঠোফোনে ইজ্জত আলী ফকিরকে ছেলের মুক্তির জন্য ৫০ লাখ টাকা দিতে বলে। দর কষাকষির এক পর্যায়ে ৩৫ লাখ টাকায় রফা হয়। মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে ইজ্জত আলী ফকির টাকা নিয়ে অপহরণকারীদের বলে দেওয়া ভালুকার বিরুনিয়ায় যান। ইজ্জত আলীকে অপহরণকারীরা বিরুনিয়াবাজার থেকে পূর্ব দিকে গ্রামের পথে ৫ মিনিট হাঁটতে বলে। সড়কঘেঁষে একটি বাড়ির অদূরে খড়ের গাদায় দিনমজুরের ছদ্মবেশে দুই অপহরণকারী কাজ করছিল। মোবাইল ফোনে দেওয়া অপহরণকারীদের নির্দেশনা মতো খড়ের গাদায় কর্মরত দিনমজুরদের কাছে টাকা রেখে চলে আসেন ইজ্জত আলী। অবশেষে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে অপহরণকারীরা একটি মাইক্রোবাসে করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুরের নয়নপুর এলাকার আরএকে সিরামিক কারখানার সামনে হাত-পা ও চোখ-মুখ বাঁধা অবস্থায় রাসেলকে ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তার সিটি পার্ক চায়নিজ রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে ফোনে রাসেলকে ডেকে নিয়ে অপহরণ করা হয়। মাহবুব আলম রাসেল ফকির (১৯) শ্রীপুর কারিগরি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র। তিনি শ্রীপুর পৌর এলাকার আট নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইজ্জত আলী ফকিরের বড় ছেলে।
মুক্তি দেওয়ার পরও অপহরণকারীরা একের পর এক হুমকি দিয়ে আসছে রাসেলের বাবাকে। অপহরণের ঘটনায় মুখ খুললে এবার ইজ্জত আলী তাঁর দুই ছেলের লাশও খুঁজে পাবেন না বলে মুঠোফোনে বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আতঙ্কে পরিবারের কেউ বাড়ি থেকে বেরোচ্ছে না। ইজ্জত আলী জানান, অপহরণকারীরা এখনো তাঁর পরিবারের ওপর নজর রেখেছে। কোথায়, কী কথা হচ্ছে, তাঁর বাড়িতে কে কখন যাওয়া-আসা করছে, সবই মোবাইল ফোনে বলে হুমকি দিচ্ছে।
শ্রীপুর মডেল থানার পরিদর্শক আমির হোসেন কালের কণ্ঠকে জানান, মুক্তিপণ দিয়ে পরিবার রাসেলকে ছাড়িয়ে আনলেও পুলিশ মুক্তিপণের টাকাসহ অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারের অভিযানে রয়েছে। শিগগির তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে তাঁরা আশা করছেন।
কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি, নির্যাতন : জানা যায়, শিশুকালের বন্ধু পরিচয় দিয়ে রাসেলকে মাওনা চৌরাস্তার সিটি পার্ক চায়নিজ রেস্টুরেন্টের সামনে ডেকে নিয়ে ফিল্মি কায়দায় অপহরণ করে দুষ্কৃতকারীরা। একটি মাইক্রোবাসে তুলে তাকে অজ্ঞান করে ফেলে তারা। জ্ঞান ফিরলে রাসেল হাত-পা ও চোখ-মুখ বাঁধা অবস্থায় একটি ছোট বদ্ধ ঘরে নিজেকে দেখতে পায়। এক পর্যায়ে অপহরণকারীরা রাসেলের মোবাইল ফোন থেকেই তার বাবাকে ফোন দিয়ে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অন্যথায় ছেলের লাশও ফেরত দেবে না বলে হুমকি দেয়। রাসেলের বাবা এত টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই বলে জানালে রাসেলের পিঠে চার-পাঁচটি সুচ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। রাসেলের চিৎকার মুঠোফোনে ইজ্জত আলী ফকিরকে শোনানো হয়। ইজ্জত আলী তখন ছেলের প্রাণভিক্ষা চাইলে সংযোগ কেটে দেয় অপহরণকারীরা। এভাবে ইজ্জত আলীর সঙ্গে মুক্তিপণ নিয়ে দরকষাকষি চলতে থাকে।
পুলিশের নিষ্ফল অভিযান : অপহরণের ঘটনায় রাসেল ফকিরের খালাতো ভাই মিলন আহমেদ শনিবার শ্রীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পুলিশ মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার মশাখালীতে অপহরণকারীদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালায়। টের পেয়ে রাসেলকে হত্যার ঘোষণা দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় অপহরণকারীরা। রাসেলকে হত্যা করা হয়েছে ভেবে পুলিশের সহযোগিতায় ডুবুরিরা চোরপাড়া গ্রামে একটি পুকুরে লাশের জন্য তল্লাশিও চালায়।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক অচিন্ত দেবনাথ বলেন, অপহরণকারীদের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার সময় পুলিশকে না জানিয়ে মুক্তিপণ দিয়েছেন রাসেল ফকিরের বাবা।
৩৫ লাখ টাকায় রফা : এক পর্যায়ে অপহরণকারীরা ফের মুঠোফোনে ইজ্জত আলী ফকিরকে ছেলের মুক্তির জন্য ৫০ লাখ টাকা দিতে বলে। দর কষাকষির এক পর্যায়ে ৩৫ লাখ টাকায় রফা হয়। মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে ইজ্জত আলী ফকির টাকা নিয়ে অপহরণকারীদের বলে দেওয়া ভালুকার বিরুনিয়ায় যান। ইজ্জত আলীকে অপহরণকারীরা বিরুনিয়াবাজার থেকে পূর্ব দিকে গ্রামের পথে ৫ মিনিট হাঁটতে বলে। সড়কঘেঁষে একটি বাড়ির অদূরে খড়ের গাদায় দিনমজুরের ছদ্মবেশে দুই অপহরণকারী কাজ করছিল। মোবাইল ফোনে দেওয়া অপহরণকারীদের নির্দেশনা মতো খড়ের গাদায় কর্মরত দিনমজুরদের কাছে টাকা রেখে চলে আসেন ইজ্জত আলী। অবশেষে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে অপহরণকারীরা একটি মাইক্রোবাসে করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুরের নয়নপুর এলাকার আরএকে সিরামিক কারখানার সামনে হাত-পা ও চোখ-মুখ বাঁধা অবস্থায় রাসেলকে ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে।
No comments