রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি-ক্ষতিপূরণ দাবির অবরোধে ছাত্রলীগ যুবলীগের হামলা
সাভারে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির শিকার ও
তাদের স্বজনদের দাবি আদায়ের কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের
নেতা-কর্মীরা। গতকাল বুধবার সকালের দিকে এ ঘটনার পর আন্দোলনকারীদের ওপর
বেধড়ক লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।
এসব ঘটনায় অর্ধশতাধিক গার্মেন্টকর্মী ও তাঁদের স্বজন আহত হয়েছেন। আন্দোলনরতদের সূত্রে এমনটা দাবি করা হয়েছে।
স্মরণকালের ভয়াবহ ওই ভবনধসের ঘটনায় আহতদের সুচিকিৎসা, নিখোঁজ ও নিহতদের পরিবারসহ সব শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ ও বকেয়া পরিশোধসহ বিভিন্ন দাবিতে গতকাল সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে গার্মেন্টকর্মীরা। এ সময় স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনরতদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় দুই পক্ষে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ আন্দোলনরত গার্মেন্টকর্মীদের নির্বিচার লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এতে অর্ধশতাধিক শ্রমিক ও তাঁদের স্বজন আহত হন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত শ্রমিকরা মহাসড়কে কমপক্ষে ৫০টি যানবাহন ভাঙচুর করে। অবরোধস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে সাভার থানা পুলিশ।
রানা প্লাজার পাঁচটি পোশাক কারখানার প্রায় দেড় হাজার বেঁচে যাওয়া শ্রমিক ও তাঁদের স্বজনরা বিভিন্ন দাবিসংবলিত ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড সহকারে গতকাল সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের থানা স্ট্যান্ডের অদূরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি সাভার নিউ মার্কেটের সামনের দিক ঘুরে রানা প্লাজার সামনে এসে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ ও সমাবেশ করে। এ সময় মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দে র উদ্যোগে গঠিত 'রানা প্লাজা গার্মেন্ট শ্রমিক ইউনিয়ন' আয়োজিত এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ভবন ধসে বেঁচে যাওয়া শ্রমিক লাভলী আক্তার। সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খান, রানা প্লাজা গার্মেন্ট শ্রমিক ইউনিয়নের শেফালী আক্তার, এমাদুল ইসলাম, খালেদা বেগম, আঁখি আক্তার, মিলন ইসলাম, জলি তালুকদার, তুহিন চৌধুরী প্রমুখ।
সমাবেশে মনজুরুল আহসান খান বলেন, 'আমরা রানা প্লাজার শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাব। রানা প্লাজা হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। ভবন মালিক, ভবনটির ছয়টি গার্মেন্টের মালিকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। ভবন ও গার্মেন্টমালিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দিতে হবে।'
সমাবেশ শেষে মনজুরুল আহসান খানের নেতৃত্বে উপস্থিত শ্রমিক ও তাঁদের স্বজনরা প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিতে মিছিলসহকারে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। এ সময় শ্রমিকদের একটি অংশ ক্ষতিপূরণ টাকার দাবিতে মহাসড়কে বসে পড়েন।
অবরোধকারী কয়েকজন কালের কণ্ঠকে বলেন, দুপুর পৌনে ১টার দিকে পুলিশ অবরোধকারীদের সরে যেতে বললে তারা বাঁশ ফেলে মহাসড়কের দুই পাশ বন্ধ করে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার ফাঁসির দাবি করে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বেশ কিছু নেতা-কর্মী লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে অবরোধকারীদের ওপর হামলা চালায়। অবরোধকারীরাও পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এ সময় পুলিশ অবরোধকারীদের ওপর লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক শ্রমিক ও তাঁদের স্বজন আহত হন।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ফরিদউদ্দিন বলেন, পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তিনি শ্রমিকদের ওপর যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলার ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করেন।
ঢাকা জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, অবরোধকারীদের ওপর যুবলীগ বা ছাত্রলীগ হামলা চালায়নি। সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ জড়িত নয়।
আশুলিয়ায় শ্রমিক বিক্ষোভ : শ্রমিক অসন্তোষের মুখে গত ১ জুন কমফিট নিট কম্পোজিট লিমিটেড নামের একটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিকরা কারখানা খুলে দেওয়া ও পাওনা পরিশোধসহ ১৩ দফা দাবিতে গতকাল আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে বিক্ষোভ করে। এ সময় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করলে কমপক্ষে ১০ জন শ্রমিক আহত হয়।
শিল্প পুলিশের পরিদর্শক আবদুস সাত্তার বলেন, কিছু উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক সকালে কারখানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভের চেষ্টা করলে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
স্মরণকালের ভয়াবহ ওই ভবনধসের ঘটনায় আহতদের সুচিকিৎসা, নিখোঁজ ও নিহতদের পরিবারসহ সব শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ ও বকেয়া পরিশোধসহ বিভিন্ন দাবিতে গতকাল সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে গার্মেন্টকর্মীরা। এ সময় স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনরতদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় দুই পক্ষে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ আন্দোলনরত গার্মেন্টকর্মীদের নির্বিচার লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এতে অর্ধশতাধিক শ্রমিক ও তাঁদের স্বজন আহত হন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত শ্রমিকরা মহাসড়কে কমপক্ষে ৫০টি যানবাহন ভাঙচুর করে। অবরোধস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে সাভার থানা পুলিশ।
রানা প্লাজার পাঁচটি পোশাক কারখানার প্রায় দেড় হাজার বেঁচে যাওয়া শ্রমিক ও তাঁদের স্বজনরা বিভিন্ন দাবিসংবলিত ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড সহকারে গতকাল সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের থানা স্ট্যান্ডের অদূরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি সাভার নিউ মার্কেটের সামনের দিক ঘুরে রানা প্লাজার সামনে এসে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ ও সমাবেশ করে। এ সময় মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দে র উদ্যোগে গঠিত 'রানা প্লাজা গার্মেন্ট শ্রমিক ইউনিয়ন' আয়োজিত এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ভবন ধসে বেঁচে যাওয়া শ্রমিক লাভলী আক্তার। সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খান, রানা প্লাজা গার্মেন্ট শ্রমিক ইউনিয়নের শেফালী আক্তার, এমাদুল ইসলাম, খালেদা বেগম, আঁখি আক্তার, মিলন ইসলাম, জলি তালুকদার, তুহিন চৌধুরী প্রমুখ।
সমাবেশে মনজুরুল আহসান খান বলেন, 'আমরা রানা প্লাজার শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাব। রানা প্লাজা হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। ভবন মালিক, ভবনটির ছয়টি গার্মেন্টের মালিকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। ভবন ও গার্মেন্টমালিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দিতে হবে।'
সমাবেশ শেষে মনজুরুল আহসান খানের নেতৃত্বে উপস্থিত শ্রমিক ও তাঁদের স্বজনরা প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিতে মিছিলসহকারে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। এ সময় শ্রমিকদের একটি অংশ ক্ষতিপূরণ টাকার দাবিতে মহাসড়কে বসে পড়েন।
অবরোধকারী কয়েকজন কালের কণ্ঠকে বলেন, দুপুর পৌনে ১টার দিকে পুলিশ অবরোধকারীদের সরে যেতে বললে তারা বাঁশ ফেলে মহাসড়কের দুই পাশ বন্ধ করে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার ফাঁসির দাবি করে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বেশ কিছু নেতা-কর্মী লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে অবরোধকারীদের ওপর হামলা চালায়। অবরোধকারীরাও পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এ সময় পুলিশ অবরোধকারীদের ওপর লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক শ্রমিক ও তাঁদের স্বজন আহত হন।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ফরিদউদ্দিন বলেন, পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তিনি শ্রমিকদের ওপর যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলার ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করেন।
ঢাকা জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, অবরোধকারীদের ওপর যুবলীগ বা ছাত্রলীগ হামলা চালায়নি। সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ জড়িত নয়।
আশুলিয়ায় শ্রমিক বিক্ষোভ : শ্রমিক অসন্তোষের মুখে গত ১ জুন কমফিট নিট কম্পোজিট লিমিটেড নামের একটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিকরা কারখানা খুলে দেওয়া ও পাওনা পরিশোধসহ ১৩ দফা দাবিতে গতকাল আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে বিক্ষোভ করে। এ সময় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করলে কমপক্ষে ১০ জন শ্রমিক আহত হয়।
শিল্প পুলিশের পরিদর্শক আবদুস সাত্তার বলেন, কিছু উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক সকালে কারখানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভের চেষ্টা করলে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
No comments