ব্যক্তিত্ব-শিবাজি

মোগল সম্রাটদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে মারাঠায় হিন্দু রাজত্ব কায়েম করে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন শিবাজি। ১৬৭৪ খ্রিস্টাব্দের ৬ জুন তিনি মারাঠাকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেন।
দেশের বিজ্ঞজনদের সহযোগিতায় তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন করেন। সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক প্রশাসনকে শক্তিশালী ভিতে প্রতিষ্ঠা করে তিনি নিজেকে যোগ্য প্রশাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন। তিনি যুদ্ধনীতিতেও ব্যাপক পরিবর্তন আনেন। এ ছাড়া তিনি গেরিলা যুদ্ধকে কৌশল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া ২০০০ সদস্যের সৈন্যবাহিনীকে তিনি এক লাখে উন্নীত করেন। শিবাজি আদালতের ভাষায়ও পরিবর্তন আনেন। সরকারি ভাষা হিসেবে তিনি মারাঠি ও সংস্কৃতকে গ্রহণে উৎসাহ প্রদান করেন। শিবাজি পুনে জেলায় ১৬২৭ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। শিবাই নামের দেবীর নামানুসারে তাঁর নাম রাখা হয় শিবাজি। শিবাজির বাবা দাক্ষিণাত্য রাজ্যে চাকরি করতেন। ১৬ বছর বয়সে তিনি আদিল শাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইতিহাসে অসীম সাহসী বীর হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। তাঁর সাহসী ভূমিকার কারণে তিনি ভারতের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছেন। তিনি মোগল সম্রাটদের বিরুদ্ধে গিয়েছিলেন তাঁর দুই সেনাকে মোগল বাহিনী ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য। আওরঙ্গজেবের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এক সময় স্বাভাবিক থাকলেও পরবর্তীকালে তিক্ততাপূর্ণ হয়েছিল। ১৬৮০ খ্রিস্টাব্দে মার্চ মাসের শেষার্ধে শিবাজি আমাশয় ও জ্বরে আক্রান্ত হন। এপ্রিল মাসের ৩ থেকে ৫ তারিখের মধ্যে কোনো একদিন তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে সম্ভাজি ও রাজারাম নামের দুই ছেলে ও ছয় মেয়ে রেখে যান। মো. হো.

No comments

Powered by Blogger.