হলিউড আবার হ্যাংওভার
হ্যাংওভার ভক্তদের সুখবর। সিরিজের তৃতীয়
ছবি হ্যাংওভার থ্রি মুক্তি পেয়ে গেল। হ্যাংওভার ভক্তদের জন্য দুঃসংবাদ,
এটাই সিরিজের শেষ ছবি। নেশায় চুর হয়ে পাগলামির চূড়ান্ত, খ্যাপাটে, উদ্ভট সব
কাণ্ডকারখানারও কি সমাপ্তি? সে তো ছবির গল্পই বলে দেবে।
আগের
দুটো ছবিতেই যাবতীয় ঘটনা, কিংবা দুর্ঘটনাই বলা ভালো, ঘটেছিল বিয়ে এবং সেই
বিয়ে ঘিরে করা ব্যাচেলর পার্টি নিয়ে। এবার অবশ্য বিয়ের কোনো ঘটনা নেই। ফলে
অবশ্যই কোনো ব্যাচেলর পার্টি থাকছে না। ব্যাচেলর পার্টি নেই যেহেতু,
‘হ্যাংওভার’ও কি তবে হচ্ছে না? নামটা যখন হ্যাংওভার, তিন বন্ধুও যখন পথে
নামছে আবার, কোত্থেকে যে কী হয়ে যায়, সেই নিশ্চয়তা দিতে পারবে না কেউই!
তবে একটা নিশ্চয়তা দেওয়াই যায়, আরও একটি হিট ছবির সাফল্য পকেটে পুরতে চলেছে হ্যাংওভার। সিরিজের প্রথম দুই ছবিই প্রযোজককে বিলিয়নিয়ার বানিয়ে দিয়েছে। বিশেষ ধরনের (আর-রেটেড) কমেডি ছবির ক্ষেত্রে হ্যাংওভার সিরিজ সর্বকালের সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ডধারী। ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া হ্যাংওভার বিশ্বজুড়ে আয় করেছে ৪৬ কোটি ডলারেরও বেশি। ছবিটি নিন্দুকেরও প্রশংসা কুড়িয়েছিল ঢের। ‘রটেন টমাটোস’ ৭৮ শতাংশ রেটিং দিয়েছিল হ্যাংওভারকে।
দুই বছর বাদে সেটারই সিক্যুয়েল হ্যাংওভার টু অবশ্য প্রথম ছবিটির মতো প্রত্যাশা মেটাতে পারেনি। ‘রটেন টমাটোস’ সত্যি সত্যিই পচা টমেটো ছুড়ে মেরেছিল মাত্র ৩৫ শতাংশ রেটিং দিয়ে। কিন্তু প্রথম ছবির সাফল্যের গতিই টেনে নিয়েছে দ্বিতীয়টিকে। হ্যাংওভার টু বিশ্বজুড়ে আয় করেছে ৫৮ কোটি ডলারেরও বেশি। এই হলো ১০০ কোটি ডলারের সহজ হিসাব।
হ্যাংওভার আরেকটা বড় পরিবর্তন এনেছে। ব্র্যাডলি কুপারকে অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য পায়ের নিচে এনে দিয়েছে শক্ত ভিত। না, হ্যাংওভার এমনিতে হালকা চালের গল্প, তাতে কমেডি আছে, সাসপেন্স আছে। ‘কোত্থেকে কী হয়ে গেল’র বুনোট রহস্য আছে। কিন্তু এমন নয় অভিনয়ের অনেক সুযোগ ছিল। কুপারকে হ্যাংওভার তাঁর টিভি ক্যারিয়ারের খোলস থেকে বের করে এনে বড় পর্দার বড় তারকা হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে অন্যভাবে।
এই ছবির ফলে আর্থিকভাবে অনেক শক্তপোক্ত অবস্থানে চলে যান কুপার। ফলে তিনি এমন কিছু ছবিতে কাজ করার ঝুঁকিটা নিতে পারেন, যেসব ছবিতে পারিশ্রমিক খুব একটা পাননি, কিন্তু ছবিতে নিজের অভিনয়ের ডালাটা মেলে ধরার অবকাশ আছে ঝিনুকের মতো। ভেতরে যে সত্যি সত্যি মুক্তো পুষে রেখেছেন, সেটা দেখানোর সুযোগ তো চাই।
সেটাই কুপার পেয়ে গেছেন সিলভার লাইনিংস প্লেবুক-এ অভিনয় করে। যে ছবি তাঁকে অস্কারের মঞ্চ না হোক, দর্শকসারি পর্যন্ত নিয়ে গেছে। এনে দিয়েছে সেরা অভিনেতার মনোনয়ন। কুপার তাই হ্যাংওভার-এর কাছে ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ, ‘সবকিছুই পাল্টে গেছে ছবিটা করার পর। এটা ছিল জীবনের খোলনলচেটাই পাল্টে যাওয়ার মতো ব্যাপার, অর্থনৈতিকভাবে, সামর্থ্যের দিক দিয়ে এবং এরপর শৈল্পিকভাবে। এই পেশায় আর্থিকভাবে সুরক্ষিত থাকা একটা বোনাসের মতো। এটা আমাকে সুযোগ করে দিয়েছে সেই সব ছবি করার, যেগুলো থেকে আমি খুব বেশি টাকা পাইনি। হ্যাংওভার-এর তিনটা ছবির মাঝখানে আমি সেসব ছবিই করেছি।’
পরিচালক ডেভিড ও. রাসেলের সিলভার লাইনিংস প্লেবুক-এর পাশাপাশি কুপার সম্প্রতি রায়ান গসলিংয়ের সঙ্গে কাজ করেছেন পলিটিক্যাল থ্রিলার দ্য প্লেস বিয়ন্ড দ্য পাইনস ছবিতে। কাজ করেছেন মার্কিন মহামন্দার সময়কার কাহিনি নিয়ে নির্মিত সেরেনায়। সেরেনায় তাঁর সঙ্গে আছেন সিলভার লাইনিংয়ের সহ-অভিনেত্রী জেনিফার লরেন্স। ওদিকে পরিচালক রাসেলের সঙ্গেও আবার জুটি বেঁধেছেন আমেরিকান হাসল-এ।
কুপারের ব্যক্তিগত জীবনেও এসেছে অনেক ওলট পালট। জোয়ি সালডানার সঙ্গে অবশেষে বিচ্ছেদ। সম্পর্কটা বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়ইনি। অবশ্য সহজেই ছাঁদনাতলায় যাওয়ার পাত্র কুপার নন। একমাত্র বিয়ের অভিজ্ঞতাটা যে সুখকর নয়। জেনিফার এসপোসিতোর সঙ্গে বিয়েটা টিকে ছিল মাত্র এক বছর। বিশ্বের সবচেয়ে যৌন আবেদনময় পুরুষের খেতাব জেতা কুপারকে মন দেওয়ার জন্য হলিউড সুন্দরীরা মুখিয়েই আছে। সালডানা, রেনি জেলওয়েগারসহ বিশ্বের অন্যতম সুন্দরীদের সঙ্গে প্রেমের ভেলায় ভাসার অভিজ্ঞতাও তাঁর আছে। এখন নাকি প্রেম করছেন কুঁড়ি হয়ে ফুটতে থাকা কুড়ি বছর বয়সী ব্রিটিশ মডেল সুকি ওয়াটার হাউসের সঙ্গে।
সম্পর্কটার ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটে রাখলেও কুপার কিন্তু নিঃসংকোচে স্বীকার করছেন, ‘নিজেকে আমি একজন রোমান্টিক পুরুষ হিসেবেই বিবেচনা করি। অসাধারণ নারীর সঙ্গ আমি ভালোবাসি। রোমান্স আমার কাছে একটা শিল্প।’
রাজীব হাসান
হলিউড রিপোর্টার অবলম্বনে
তবে একটা নিশ্চয়তা দেওয়াই যায়, আরও একটি হিট ছবির সাফল্য পকেটে পুরতে চলেছে হ্যাংওভার। সিরিজের প্রথম দুই ছবিই প্রযোজককে বিলিয়নিয়ার বানিয়ে দিয়েছে। বিশেষ ধরনের (আর-রেটেড) কমেডি ছবির ক্ষেত্রে হ্যাংওভার সিরিজ সর্বকালের সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ডধারী। ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া হ্যাংওভার বিশ্বজুড়ে আয় করেছে ৪৬ কোটি ডলারেরও বেশি। ছবিটি নিন্দুকেরও প্রশংসা কুড়িয়েছিল ঢের। ‘রটেন টমাটোস’ ৭৮ শতাংশ রেটিং দিয়েছিল হ্যাংওভারকে।
দুই বছর বাদে সেটারই সিক্যুয়েল হ্যাংওভার টু অবশ্য প্রথম ছবিটির মতো প্রত্যাশা মেটাতে পারেনি। ‘রটেন টমাটোস’ সত্যি সত্যিই পচা টমেটো ছুড়ে মেরেছিল মাত্র ৩৫ শতাংশ রেটিং দিয়ে। কিন্তু প্রথম ছবির সাফল্যের গতিই টেনে নিয়েছে দ্বিতীয়টিকে। হ্যাংওভার টু বিশ্বজুড়ে আয় করেছে ৫৮ কোটি ডলারেরও বেশি। এই হলো ১০০ কোটি ডলারের সহজ হিসাব।
হ্যাংওভার আরেকটা বড় পরিবর্তন এনেছে। ব্র্যাডলি কুপারকে অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য পায়ের নিচে এনে দিয়েছে শক্ত ভিত। না, হ্যাংওভার এমনিতে হালকা চালের গল্প, তাতে কমেডি আছে, সাসপেন্স আছে। ‘কোত্থেকে কী হয়ে গেল’র বুনোট রহস্য আছে। কিন্তু এমন নয় অভিনয়ের অনেক সুযোগ ছিল। কুপারকে হ্যাংওভার তাঁর টিভি ক্যারিয়ারের খোলস থেকে বের করে এনে বড় পর্দার বড় তারকা হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে অন্যভাবে।
এই ছবির ফলে আর্থিকভাবে অনেক শক্তপোক্ত অবস্থানে চলে যান কুপার। ফলে তিনি এমন কিছু ছবিতে কাজ করার ঝুঁকিটা নিতে পারেন, যেসব ছবিতে পারিশ্রমিক খুব একটা পাননি, কিন্তু ছবিতে নিজের অভিনয়ের ডালাটা মেলে ধরার অবকাশ আছে ঝিনুকের মতো। ভেতরে যে সত্যি সত্যি মুক্তো পুষে রেখেছেন, সেটা দেখানোর সুযোগ তো চাই।
সেটাই কুপার পেয়ে গেছেন সিলভার লাইনিংস প্লেবুক-এ অভিনয় করে। যে ছবি তাঁকে অস্কারের মঞ্চ না হোক, দর্শকসারি পর্যন্ত নিয়ে গেছে। এনে দিয়েছে সেরা অভিনেতার মনোনয়ন। কুপার তাই হ্যাংওভার-এর কাছে ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ, ‘সবকিছুই পাল্টে গেছে ছবিটা করার পর। এটা ছিল জীবনের খোলনলচেটাই পাল্টে যাওয়ার মতো ব্যাপার, অর্থনৈতিকভাবে, সামর্থ্যের দিক দিয়ে এবং এরপর শৈল্পিকভাবে। এই পেশায় আর্থিকভাবে সুরক্ষিত থাকা একটা বোনাসের মতো। এটা আমাকে সুযোগ করে দিয়েছে সেই সব ছবি করার, যেগুলো থেকে আমি খুব বেশি টাকা পাইনি। হ্যাংওভার-এর তিনটা ছবির মাঝখানে আমি সেসব ছবিই করেছি।’
পরিচালক ডেভিড ও. রাসেলের সিলভার লাইনিংস প্লেবুক-এর পাশাপাশি কুপার সম্প্রতি রায়ান গসলিংয়ের সঙ্গে কাজ করেছেন পলিটিক্যাল থ্রিলার দ্য প্লেস বিয়ন্ড দ্য পাইনস ছবিতে। কাজ করেছেন মার্কিন মহামন্দার সময়কার কাহিনি নিয়ে নির্মিত সেরেনায়। সেরেনায় তাঁর সঙ্গে আছেন সিলভার লাইনিংয়ের সহ-অভিনেত্রী জেনিফার লরেন্স। ওদিকে পরিচালক রাসেলের সঙ্গেও আবার জুটি বেঁধেছেন আমেরিকান হাসল-এ।
কুপারের ব্যক্তিগত জীবনেও এসেছে অনেক ওলট পালট। জোয়ি সালডানার সঙ্গে অবশেষে বিচ্ছেদ। সম্পর্কটা বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়ইনি। অবশ্য সহজেই ছাঁদনাতলায় যাওয়ার পাত্র কুপার নন। একমাত্র বিয়ের অভিজ্ঞতাটা যে সুখকর নয়। জেনিফার এসপোসিতোর সঙ্গে বিয়েটা টিকে ছিল মাত্র এক বছর। বিশ্বের সবচেয়ে যৌন আবেদনময় পুরুষের খেতাব জেতা কুপারকে মন দেওয়ার জন্য হলিউড সুন্দরীরা মুখিয়েই আছে। সালডানা, রেনি জেলওয়েগারসহ বিশ্বের অন্যতম সুন্দরীদের সঙ্গে প্রেমের ভেলায় ভাসার অভিজ্ঞতাও তাঁর আছে। এখন নাকি প্রেম করছেন কুঁড়ি হয়ে ফুটতে থাকা কুড়ি বছর বয়সী ব্রিটিশ মডেল সুকি ওয়াটার হাউসের সঙ্গে।
সম্পর্কটার ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটে রাখলেও কুপার কিন্তু নিঃসংকোচে স্বীকার করছেন, ‘নিজেকে আমি একজন রোমান্টিক পুরুষ হিসেবেই বিবেচনা করি। অসাধারণ নারীর সঙ্গ আমি ভালোবাসি। রোমান্স আমার কাছে একটা শিল্প।’
রাজীব হাসান
হলিউড রিপোর্টার অবলম্বনে
No comments