দুইবার না পারিলে দেখো তৃতীয়বার by কমল জোহা খান
যাত্রী ও নৌযান-সংকট আর ত্রুটি, এর সঙ্গে
স্টেশনগুলোর অব্যবস্থাপনায় আগের দুইবারই এ উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। তবুও
ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ করে তৃতীয়বারের মতো রাজধানী ঢাকার নৌপথে পুনরায়
চালু করা হচ্ছে ওয়াটার বাস সার্ভিসের তৃতীয় সংস্করণের।
নৌমন্ত্রী
শাজাহান খান বলছেন, এবার ওয়াটার বাস চালু করে মন্ত্রী হিসেবে তিনি তাঁর
সফলতায় পূর্ণতা আনতে চান। মন্ত্রীর এই সাফল্য আনতে তিন কোটি টাকা খরচ করে
নতুন চারটি ওয়াটার বাস চলবে আগের মতোই সদরঘাট থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত। এর
সঙ্গে যোগ হবে তিন বছর ধরে বসে থাকা আগের দুটি ওয়াটার বাস ‘এমএল তুরাগ’ ও
‘এমএল বুড়িগঙ্গা’।
নয় বছরে তিনবার উদ্বোধন
বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালে ‘ওয়াটার ট্যাক্সি’ নাম দিয়ে একটি নৌযান নামানো হয়েছিল। উদ্বোধন করেছিলেন তত্কালীন নৌমন্ত্রী আকবর হোসেন। বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মজিবর রহমান জানান, জ্বালানি (অকটেন) খরচ বেশি হওয়ায় এবং যাত্রী-সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে যায় নৌযানটি। ছয় বছর পর ২০১০ সালের ২৮ আগস্ট দেড় কোটি টাকায় তৈরি ৩৫ আসনের এমএল তুরাগ ও এমএল বুড়িগঙ্গা নামিয়ে ওয়াটার বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করেন বর্তমান নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। তখন ৩০ টাকা ভাড়ায় যাত্রী না পাওয়ায় আর্থিক ক্ষতি ও নৌযানে যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য দেড় বছরের মধ্যেই এই ওয়াটার বাস সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়। তিন বছর পর এবারও নৌমন্ত্রীর কাছ থেকে সময় মিললেই চলতি জুন মাসের যেকোনো দিন তৃতীয়বারের মতো উদ্বোধন করা হবে ওয়াটার বাস সার্ভিসের।
এবার নকশায় ত্রুটি
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১০ জুন ওয়াটার বাস সার্ভিসের দ্বিতীয় সংস্করণ বন্ধের কারণগুলোর একটি ছিল নৌযান দুটির যান্ত্রিক ত্রুটি। এবার বহরে যোগ হচ্ছে চারটি ওয়াটার বাস। বুড়িগঙ্গা নদীর ওপারে কেরানীগঞ্জে গাজী গোলাম রব্বানীর মালিকানাধীন বেসরকারি জাহাজ নির্মাণপ্রতিষ্ঠান ঢাকা ডকইয়ার্ড লিমিটেডের কারখানায় তিন কোটি টাকায় নির্মিত এ চারটি নৌযানের নকশায় ত্রুটি ধরা পড়েছে। গত এপ্রিল মাসে বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা পরিদর্শনে গিয়ে নৌযান চারটির নকশা পরিবর্তনের নির্দেশনা দেন। এ-সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা ডকইয়ার্ডের প্রকৌশলী কাজী নাইমুল ইসলাম গত মঙ্গলবার প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, বিআইডব্লিউটিসির নির্দেশনায় ওয়াটার বাসগুলোর চারপাশে অ্যালুমিনিয়ামের শিট দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এরপর জানালা বসানো হয়েছে। ওয়াটার বাস চারটিই পুরোপুরি প্রস্তুত। বাধাহীনভাবে ৩০৪ অশ্বগতির ৮১ আসনের প্রতিটি ওয়াটার বাস আধা ঘণ্টায় সদরঘাট থেকে আমিনবাজার চলে আসবে। বিআইডব্লিউটিসির সবুজসংকেত পেলে বুঝিয়ে দেওয়া হবে এই চারটি নৌযান।
এ প্রসঙ্গে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান গতকাল বুধবার প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘আসলে প্রথমে বুঝতে ভুল করায় ওয়াটার বাসগুলোর চারদিকে উন্মুক্ত রাখা হয়েছিল। পরে আমি নিরাপত্তার দিকটি বিবেচনা করে এগুলোর কাঠামো পরিবর্তনের নির্দেশ দিই।’ জানা গেছে, আরও চারটি নতুন ওয়াটার বাস তৈরির কার্যাদেশ পেতে যাচ্ছে ঢাকা ডকইয়ার্ড। তবে এবার খরচ পড়বে পাঁচ কোটি টাকা।
একবার যেতেই চলে যাবে আড়াই ঘণ্টা
আগের চেয়ে নির্বিঘ্নে স্বল্প সময়ে যাতায়াতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এবার ওয়াটার বাস সার্ভিস চালু করা হবে—গত মঙ্গলবার মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিসির প্রধান কার্যালয়ে এমনই প্রতিশ্রুতি দিলেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মজিবর রহমান। তবে যাত্রী ওঠানামায় সদরঘাট থেকে আমিনবাজার যেতে নৌপথের আরও পাঁচটি স্টেশনে থামানো হবে ওয়াটার বাস। বিআইডব্লিউটিসির সূত্রের তথ্যানুযায়ী, একেকটি স্টেশনে এ কাজ সারতে চলে যাবে কমপক্ষে ২০ মিনিট। সব মিলিয়ে প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা। এর সঙ্গে যোগ হবে নৌপথের আধা ঘণ্টা সময়। আর একবার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে গুনতে হবে ৫০ টাকা। তবে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মজিবর রহমানের দাবি, একবার যেতে সময় সোয়া এক ঘণ্টার বেশি লাগবে না। ভাড়া আগের চেয়ে বেশি হলেও তাঁদের ভর্তুকিই দিতে হচ্ছে। অবশ্য এবার নৌযান বেড়ে যাওয়ায় স্টেশনে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হবে না।
তবে এবার ওয়াটার বাস প্রকল্প সফল হবে বলে দাবি করেছেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। নৌযান কম থাকায় ওয়াটার বাস আগে সফলতার মুখ দেখেনি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার তো অনেক সাফল্য। বড় বড় জাহাজ নামিয়েছি। নদী খনন করিয়েছি। আমার একটি অপূর্ণতা ছিল। আশা করছি, ওয়াটার বাস নামিয়ে এর পূর্ণতা পাব। ভালো সেবা পেতে হলে ভাড়া একটু বেশিই দিতে হয়। তবে যাত্রীদের সুবিধার জন্য ভাড়া কামানো হবে।’
নয় বছরে তিনবার উদ্বোধন
বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালে ‘ওয়াটার ট্যাক্সি’ নাম দিয়ে একটি নৌযান নামানো হয়েছিল। উদ্বোধন করেছিলেন তত্কালীন নৌমন্ত্রী আকবর হোসেন। বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মজিবর রহমান জানান, জ্বালানি (অকটেন) খরচ বেশি হওয়ায় এবং যাত্রী-সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে যায় নৌযানটি। ছয় বছর পর ২০১০ সালের ২৮ আগস্ট দেড় কোটি টাকায় তৈরি ৩৫ আসনের এমএল তুরাগ ও এমএল বুড়িগঙ্গা নামিয়ে ওয়াটার বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করেন বর্তমান নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। তখন ৩০ টাকা ভাড়ায় যাত্রী না পাওয়ায় আর্থিক ক্ষতি ও নৌযানে যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য দেড় বছরের মধ্যেই এই ওয়াটার বাস সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়। তিন বছর পর এবারও নৌমন্ত্রীর কাছ থেকে সময় মিললেই চলতি জুন মাসের যেকোনো দিন তৃতীয়বারের মতো উদ্বোধন করা হবে ওয়াটার বাস সার্ভিসের।
এবার নকশায় ত্রুটি
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১০ জুন ওয়াটার বাস সার্ভিসের দ্বিতীয় সংস্করণ বন্ধের কারণগুলোর একটি ছিল নৌযান দুটির যান্ত্রিক ত্রুটি। এবার বহরে যোগ হচ্ছে চারটি ওয়াটার বাস। বুড়িগঙ্গা নদীর ওপারে কেরানীগঞ্জে গাজী গোলাম রব্বানীর মালিকানাধীন বেসরকারি জাহাজ নির্মাণপ্রতিষ্ঠান ঢাকা ডকইয়ার্ড লিমিটেডের কারখানায় তিন কোটি টাকায় নির্মিত এ চারটি নৌযানের নকশায় ত্রুটি ধরা পড়েছে। গত এপ্রিল মাসে বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা পরিদর্শনে গিয়ে নৌযান চারটির নকশা পরিবর্তনের নির্দেশনা দেন। এ-সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা ডকইয়ার্ডের প্রকৌশলী কাজী নাইমুল ইসলাম গত মঙ্গলবার প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, বিআইডব্লিউটিসির নির্দেশনায় ওয়াটার বাসগুলোর চারপাশে অ্যালুমিনিয়ামের শিট দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এরপর জানালা বসানো হয়েছে। ওয়াটার বাস চারটিই পুরোপুরি প্রস্তুত। বাধাহীনভাবে ৩০৪ অশ্বগতির ৮১ আসনের প্রতিটি ওয়াটার বাস আধা ঘণ্টায় সদরঘাট থেকে আমিনবাজার চলে আসবে। বিআইডব্লিউটিসির সবুজসংকেত পেলে বুঝিয়ে দেওয়া হবে এই চারটি নৌযান।
এ প্রসঙ্গে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান গতকাল বুধবার প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘আসলে প্রথমে বুঝতে ভুল করায় ওয়াটার বাসগুলোর চারদিকে উন্মুক্ত রাখা হয়েছিল। পরে আমি নিরাপত্তার দিকটি বিবেচনা করে এগুলোর কাঠামো পরিবর্তনের নির্দেশ দিই।’ জানা গেছে, আরও চারটি নতুন ওয়াটার বাস তৈরির কার্যাদেশ পেতে যাচ্ছে ঢাকা ডকইয়ার্ড। তবে এবার খরচ পড়বে পাঁচ কোটি টাকা।
একবার যেতেই চলে যাবে আড়াই ঘণ্টা
আগের চেয়ে নির্বিঘ্নে স্বল্প সময়ে যাতায়াতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এবার ওয়াটার বাস সার্ভিস চালু করা হবে—গত মঙ্গলবার মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিসির প্রধান কার্যালয়ে এমনই প্রতিশ্রুতি দিলেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মজিবর রহমান। তবে যাত্রী ওঠানামায় সদরঘাট থেকে আমিনবাজার যেতে নৌপথের আরও পাঁচটি স্টেশনে থামানো হবে ওয়াটার বাস। বিআইডব্লিউটিসির সূত্রের তথ্যানুযায়ী, একেকটি স্টেশনে এ কাজ সারতে চলে যাবে কমপক্ষে ২০ মিনিট। সব মিলিয়ে প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা। এর সঙ্গে যোগ হবে নৌপথের আধা ঘণ্টা সময়। আর একবার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে গুনতে হবে ৫০ টাকা। তবে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মজিবর রহমানের দাবি, একবার যেতে সময় সোয়া এক ঘণ্টার বেশি লাগবে না। ভাড়া আগের চেয়ে বেশি হলেও তাঁদের ভর্তুকিই দিতে হচ্ছে। অবশ্য এবার নৌযান বেড়ে যাওয়ায় স্টেশনে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হবে না।
তবে এবার ওয়াটার বাস প্রকল্প সফল হবে বলে দাবি করেছেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। নৌযান কম থাকায় ওয়াটার বাস আগে সফলতার মুখ দেখেনি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার তো অনেক সাফল্য। বড় বড় জাহাজ নামিয়েছি। নদী খনন করিয়েছি। আমার একটি অপূর্ণতা ছিল। আশা করছি, ওয়াটার বাস নামিয়ে এর পূর্ণতা পাব। ভালো সেবা পেতে হলে ভাড়া একটু বেশিই দিতে হয়। তবে যাত্রীদের সুবিধার জন্য ভাড়া কামানো হবে।’
No comments