খাদ্যের বিনাশ ও অপচয়, আর নয় by কানন পুরকায়স্থ
জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএন টপি) দ্রুত
সবুজ অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাওয়া দেশ মঙ্গোলিয়াকে এ বছরের স্বাগতিক দেশ
হিসেবে নির্বাচন করেছে। এ বছর পরিবেশ দিবসের মূল বিষয় ইউএন টপির ভাষায়,
'খাদ্য গ্রহণের আগে চিন্তা করো, পরিবেশকে রক্ষা করো।
' অর্থাৎ আমাদের খাদ্য পছন্দের আগে জানা প্রয়োজন পরিবেশের ওপর এই খাদ্য কতটুকু প্রভাব ফেলে।
- খাদ্যের অপচয় কমিয়ে আনা উচিত। কারণ অপচয় কম হলে উৎপাদন কম করতে হবে। উৎপাদন কম করলে পরিবেশের ওপর চাপ কম পড়বে।
- খাদ্যের বিনাশ রোধ করা উচিত। বিনাশ বলতে মাঠ থেকে ফসল কাটা বা তোলার পর অথবা ফসল কাটার অব্যবহিত আগে কীটপতঙ্গের দ্বারা ফসল ধ্বংস হওয়া, প্রক্রিয়া করার সময় ফসল নষ্ট হওয়া অথবা অবকাঠামোগত সুবিধার অভাবের কারণে ফসল নষ্ট হওয়া রোধ করা প্রয়োজন। সারা বিশ্বে মোট উৎপাদিত ফসলের ৪০ শতাংশ এভাবে ধ্বংস হয়ে যায়।
কেন এই বিষয়বস্তু নির্ধারণ করা হলো এ বছর?
খাদ্য ও কৃষি সংস্থার হিসাব অনুযায়ী প্রতিবছর সারা বিশ্বে মোট খাদ্যশস্য উৎপাদনের এক-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ প্রায় ১.৩ বিলিয়ন টন খাদ্য অপচয় বা বিনাশ হয়। শুধু যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর মোট উৎপাদিত খাদ্যের ৩০ শতাংশ ফেলে দেওয়া হয়। যুক্তরাজ্যে মোট ক্রয়কৃত খাদ্যের ৩২ শতাংশ অপচয় হয়। অথচ বিশ্বে প্রতিবছর প্রতি সাতজনের মধ্যে একজন অনাহারে দিনাতিপাত করে। পাঁচ বছর বয়সের নিচে প্রায় ২০ হাজার শিশু প্রতিদিন অনাহারে মৃত্যুবরণ করে। অন্যদিকে খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের কথা যদি ধরা যায়, তাহলে দেখা যাবে, বৈশ্বিক খাদ্য উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত আমাদের বাসযোগ্য ভূমির ২৫ শতাংশ, আমাদের ব্যবহারযোগ্য পানির ৭৫ শতাংশ, ৮০ শতাংশ বনাঞ্চল ধ্বংস হওয়া এবং ৩০ শতাংশ গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন। তা ছাড়া জৈববৈচিত্র্যের বিনাশ ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
২০০৭ সালে যুক্তরাজ্যে এক জরিপে দেখা যায়, পৌর করপোরেশনের মোট বর্জ্য পদার্থের ১৯ শতাংশ হচ্ছে খাদ্যদ্রব্যের বর্জ্য। এর অর্ধেক হচ্ছে অব্যবহৃত আলু এবং বাকি অর্ধেক রুটি, আপেল ও সালাদের মিশ্রণ। ২০০৯ সালে যুক্তরাজ্যের তৎকালীন পরিবেশ সেক্রেটারি হিলারি বেন War on Waste' নামে এক কর্মসূচি চালু করেন। এ কর্মসূচির আওতায় খাদ্যদ্রব্যের প্যাকেটে যে লেবেল লাগানো থাকে, তাতে তারিখ পরিবর্তন এবং খাদ্য ক্রয় করার সময় সঠিক নির্বাচনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। তা ছাড়া অবায়ুজীবী (anaerobic) ডাইজেশন প্লান্ট তৈরি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে বর্জ্য পদার্থ থেকে বিদ্যুৎ তৈরি করা সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যকে আমরা যদি দৈনন্দিন আয় এবং জনসংখ্যার নিরিখে দুটি প্রান্তিক মডেল (Extreme model) হিসেবে চিন্তা করি, তাহলে দেখা যাবে যে ২০০৯ সালের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে মাথাপিছু খাদ্য সরবরাহের পরিমাণ ৬৮৪.৯ কিলোগ্রাম। যুক্তরাজ্যে মাথাপিছু খাদ্য সরবরাহের পরিমাণ ১৬৯৫ কিলোগ্রাম। ওই বছর বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যে খাদ্য উৎপাদনের পরিমাণ যথাক্রমে ১১৭ মিলিয়ন টন এবং ১২৫ মিলিয়ন টন। কিন্তু একই বছর বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যে খাদ্য অপচয়ের পরিমাণ যথাক্রমে ৬.৬ মিলিয়ন টন এবং ১.৯ মিলিয়ন টন।
একদিকে মাথাপিছু খাদ্যের সরবরাহ কম, অন্যদিকে খাদ্যের অপচয় বা বিনাশ বেশি।
বাংলাদেশ তথা স্বল্প আয়ের দেশগুলোতে অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে খাদ্যের অপচয় বা বিনাশ বেশি হয়। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ভারতে অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে উৎপাদিত খাদ্যের ৪০ শতাংশ প্রতিবছর নষ্ট হয়ে যায়। এই অবকাঠামোগত সমস্যার মধ্যে রয়েছে পরিবহন সমস্যা, খাদ্য হিমায়নে সমস্যা, বিদ্যুতের অভাব ইত্যাদি। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রতিবছর চাল ও গমের উৎপাদন-পরবর্তী অপচয় বা বিনাশ কমিয়ে আনা সম্ভব হলেও নেদারল্যান্ডসে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায়, ২০২১ সালে চাল ও গমের ক্ষেত্রে চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে পার্থক্য দাঁড়াবে -০.২৮ শতাংশ এবং -১.৭৬ শতাংশ। অর্থাৎ সরবরাহের চেয়ে চাহিদা বেশি। এ পরিস্থিতিতে অপচয় কমিয়ে আনা, এর খাদ্য নির্বাচন নিয়ে চিন্তাভাবনা জরুরি। খাদ্যের বর্জ্য যাতে কাজে লাগানো যায়, সে নিয়ে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।
১৯২০ সালে ফেড্ররিক টলবট (talbot) তাঁর 'মিলিয়ন ফর্ম ওয়েস্ট' গ্রন্থে উল্লেখ করেন, Waste is merely fan material in the wrong place। তাই এখনই চিন্তা করা উচিত, খাদ্যের অপচয় থেকে বর্জ্যকে কিভাবে সম্পদে পরিণত করা যায়। যুক্তরাজ্যে আমরা এ ধরনের প্রকল্পে প্রথমে চিন্তা করি, জলবায়ুর পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রকল্পের অবস্থান কতটুকু। জলবায়ু পরিবর্তনের সাম্প্রতিক উপাত্ত থেকে লক্ষ করা যায়, ক্রান্তীয় অঞ্চলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা ৪০০ পিপিএম ছাড়িয়ে গেছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে আঞ্চলিক প্রজেকশন এবং বৈশ্বিক প্রজেকশন এক নয়। তার কারণ হচ্ছে, আঞ্চলিক প্রজেকশনে অনিশ্চয়তার পরিমাণ বেশি। তবে আমাদের সামনে যে সামগ্রিক চিত্র রয়েছে, তা হলো যে এই গ্রহ ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হচ্ছে। তার প্রভাবে সাগরের পৃষ্ঠতলের উচ্চতা বাড়বে। এই সামগ্রিক চিত্র সামনে রেখে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
প্রবাদ আছে, অপচয় না করলে অভাবে পড়বে না (Waste not, want not)। বেশি করে উৎপাদন আমাদের খাদ্যের নিরাপত্তা এনে দেবে না। বরং উৎপাদিত খাদ্যের সঠিক সংরক্ষণ, খাদ্যের সঠিক নির্বাচন এবং পরিমিত ব্যবহারের মাধ্যমে সারা বিশ্বের খাদ্যের চাহিদা মেটানো সম্ভব। আমাদের চাহিদা হতে হবে পরিবেশবান্ধব। খাদ্যের অপচয় হওয়া মানে হচ্ছে এই খাদ্য উৎপাদনের সঙ্গে যে প্রাকৃতিক সম্পদ জড়িত, তার অপচয় হওয়া। আমাদের প্রত্যেকের কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাতে হলে খাদ্য প্রিন্টও কমাতে হবে।
লেখক : যুক্তরাজ্যে কর্মরত একজন পরিবেশবিজ্ঞানী
- খাদ্যের অপচয় কমিয়ে আনা উচিত। কারণ অপচয় কম হলে উৎপাদন কম করতে হবে। উৎপাদন কম করলে পরিবেশের ওপর চাপ কম পড়বে।
- খাদ্যের বিনাশ রোধ করা উচিত। বিনাশ বলতে মাঠ থেকে ফসল কাটা বা তোলার পর অথবা ফসল কাটার অব্যবহিত আগে কীটপতঙ্গের দ্বারা ফসল ধ্বংস হওয়া, প্রক্রিয়া করার সময় ফসল নষ্ট হওয়া অথবা অবকাঠামোগত সুবিধার অভাবের কারণে ফসল নষ্ট হওয়া রোধ করা প্রয়োজন। সারা বিশ্বে মোট উৎপাদিত ফসলের ৪০ শতাংশ এভাবে ধ্বংস হয়ে যায়।
কেন এই বিষয়বস্তু নির্ধারণ করা হলো এ বছর?
খাদ্য ও কৃষি সংস্থার হিসাব অনুযায়ী প্রতিবছর সারা বিশ্বে মোট খাদ্যশস্য উৎপাদনের এক-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ প্রায় ১.৩ বিলিয়ন টন খাদ্য অপচয় বা বিনাশ হয়। শুধু যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর মোট উৎপাদিত খাদ্যের ৩০ শতাংশ ফেলে দেওয়া হয়। যুক্তরাজ্যে মোট ক্রয়কৃত খাদ্যের ৩২ শতাংশ অপচয় হয়। অথচ বিশ্বে প্রতিবছর প্রতি সাতজনের মধ্যে একজন অনাহারে দিনাতিপাত করে। পাঁচ বছর বয়সের নিচে প্রায় ২০ হাজার শিশু প্রতিদিন অনাহারে মৃত্যুবরণ করে। অন্যদিকে খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের কথা যদি ধরা যায়, তাহলে দেখা যাবে, বৈশ্বিক খাদ্য উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত আমাদের বাসযোগ্য ভূমির ২৫ শতাংশ, আমাদের ব্যবহারযোগ্য পানির ৭৫ শতাংশ, ৮০ শতাংশ বনাঞ্চল ধ্বংস হওয়া এবং ৩০ শতাংশ গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন। তা ছাড়া জৈববৈচিত্র্যের বিনাশ ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
২০০৭ সালে যুক্তরাজ্যে এক জরিপে দেখা যায়, পৌর করপোরেশনের মোট বর্জ্য পদার্থের ১৯ শতাংশ হচ্ছে খাদ্যদ্রব্যের বর্জ্য। এর অর্ধেক হচ্ছে অব্যবহৃত আলু এবং বাকি অর্ধেক রুটি, আপেল ও সালাদের মিশ্রণ। ২০০৯ সালে যুক্তরাজ্যের তৎকালীন পরিবেশ সেক্রেটারি হিলারি বেন War on Waste' নামে এক কর্মসূচি চালু করেন। এ কর্মসূচির আওতায় খাদ্যদ্রব্যের প্যাকেটে যে লেবেল লাগানো থাকে, তাতে তারিখ পরিবর্তন এবং খাদ্য ক্রয় করার সময় সঠিক নির্বাচনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। তা ছাড়া অবায়ুজীবী (anaerobic) ডাইজেশন প্লান্ট তৈরি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে বর্জ্য পদার্থ থেকে বিদ্যুৎ তৈরি করা সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যকে আমরা যদি দৈনন্দিন আয় এবং জনসংখ্যার নিরিখে দুটি প্রান্তিক মডেল (Extreme model) হিসেবে চিন্তা করি, তাহলে দেখা যাবে যে ২০০৯ সালের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে মাথাপিছু খাদ্য সরবরাহের পরিমাণ ৬৮৪.৯ কিলোগ্রাম। যুক্তরাজ্যে মাথাপিছু খাদ্য সরবরাহের পরিমাণ ১৬৯৫ কিলোগ্রাম। ওই বছর বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যে খাদ্য উৎপাদনের পরিমাণ যথাক্রমে ১১৭ মিলিয়ন টন এবং ১২৫ মিলিয়ন টন। কিন্তু একই বছর বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যে খাদ্য অপচয়ের পরিমাণ যথাক্রমে ৬.৬ মিলিয়ন টন এবং ১.৯ মিলিয়ন টন।
একদিকে মাথাপিছু খাদ্যের সরবরাহ কম, অন্যদিকে খাদ্যের অপচয় বা বিনাশ বেশি।
বাংলাদেশ তথা স্বল্প আয়ের দেশগুলোতে অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে খাদ্যের অপচয় বা বিনাশ বেশি হয়। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ভারতে অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে উৎপাদিত খাদ্যের ৪০ শতাংশ প্রতিবছর নষ্ট হয়ে যায়। এই অবকাঠামোগত সমস্যার মধ্যে রয়েছে পরিবহন সমস্যা, খাদ্য হিমায়নে সমস্যা, বিদ্যুতের অভাব ইত্যাদি। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রতিবছর চাল ও গমের উৎপাদন-পরবর্তী অপচয় বা বিনাশ কমিয়ে আনা সম্ভব হলেও নেদারল্যান্ডসে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায়, ২০২১ সালে চাল ও গমের ক্ষেত্রে চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে পার্থক্য দাঁড়াবে -০.২৮ শতাংশ এবং -১.৭৬ শতাংশ। অর্থাৎ সরবরাহের চেয়ে চাহিদা বেশি। এ পরিস্থিতিতে অপচয় কমিয়ে আনা, এর খাদ্য নির্বাচন নিয়ে চিন্তাভাবনা জরুরি। খাদ্যের বর্জ্য যাতে কাজে লাগানো যায়, সে নিয়ে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।
১৯২০ সালে ফেড্ররিক টলবট (talbot) তাঁর 'মিলিয়ন ফর্ম ওয়েস্ট' গ্রন্থে উল্লেখ করেন, Waste is merely fan material in the wrong place। তাই এখনই চিন্তা করা উচিত, খাদ্যের অপচয় থেকে বর্জ্যকে কিভাবে সম্পদে পরিণত করা যায়। যুক্তরাজ্যে আমরা এ ধরনের প্রকল্পে প্রথমে চিন্তা করি, জলবায়ুর পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রকল্পের অবস্থান কতটুকু। জলবায়ু পরিবর্তনের সাম্প্রতিক উপাত্ত থেকে লক্ষ করা যায়, ক্রান্তীয় অঞ্চলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা ৪০০ পিপিএম ছাড়িয়ে গেছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে আঞ্চলিক প্রজেকশন এবং বৈশ্বিক প্রজেকশন এক নয়। তার কারণ হচ্ছে, আঞ্চলিক প্রজেকশনে অনিশ্চয়তার পরিমাণ বেশি। তবে আমাদের সামনে যে সামগ্রিক চিত্র রয়েছে, তা হলো যে এই গ্রহ ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হচ্ছে। তার প্রভাবে সাগরের পৃষ্ঠতলের উচ্চতা বাড়বে। এই সামগ্রিক চিত্র সামনে রেখে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
প্রবাদ আছে, অপচয় না করলে অভাবে পড়বে না (Waste not, want not)। বেশি করে উৎপাদন আমাদের খাদ্যের নিরাপত্তা এনে দেবে না। বরং উৎপাদিত খাদ্যের সঠিক সংরক্ষণ, খাদ্যের সঠিক নির্বাচন এবং পরিমিত ব্যবহারের মাধ্যমে সারা বিশ্বের খাদ্যের চাহিদা মেটানো সম্ভব। আমাদের চাহিদা হতে হবে পরিবেশবান্ধব। খাদ্যের অপচয় হওয়া মানে হচ্ছে এই খাদ্য উৎপাদনের সঙ্গে যে প্রাকৃতিক সম্পদ জড়িত, তার অপচয় হওয়া। আমাদের প্রত্যেকের কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাতে হলে খাদ্য প্রিন্টও কমাতে হবে।
লেখক : যুক্তরাজ্যে কর্মরত একজন পরিবেশবিজ্ঞানী
No comments