মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার-মুজাহিদের মামলার রায় যেকোনো দিন
একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ মানবতাবিরোধী
অপরাধের অভিযোগে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ
মুজাহিদের বিরুদ্ধে মামলায় যেকোনো দিন রায় ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ
ট্রাইব্যুনাল-২।
গতকাল বুধবার এ মামলায় যুক্তিতর্ক শেষ হলে ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখার আদেশ দেন।
এদিকে রাষ্ট্রপক্ষ গতকাল যুক্তি উপস্থাপনের শেষ দিনে মুজাহিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন জানিয়েছে। গতকাল ট্রাইব্যুনালের আদেশের পর এ মামলার প্রসিকিউটর ড. তুরিন আফরোজ ও মোখলেসুর রহমান বাদল সাংবাদিকদের বলেন, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলে তারা আশাবাদী।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মুন্সী আহসান কবির সাংবাদিকদের বলেন, এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১৪ মাস তদন্ত করেও মুজাহিদের আলবদর, রাজাকারসহ কোনো বাহিনীতে যুক্ত থাকার কোনো প্রমাণ পাননি।
এ মামলায় মঙ্গলবার আসামিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ হওয়ায় গতকাল রাষ্ট্রপক্ষের পাল্টা যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য ছিল বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ২ নম্বর ট্রাইব্যুনালে। রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর ড. তুরিন আফরোজ যুক্তি উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তখনকার আলবদর নেতা মুজাহিদ। একাত্তরে যেসব অপরাধ করেছেন জামায়াতের এ নেতা, তাতে তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তিই প্রাপ্য। তিনি বলেন, একাত্তরে আলবদর বাহিনীকে জল্লাদের ভূমিকায় নামিয়েছিলেন মুজাহিদ। আজরাইলের কাজ যেমন মানুষের জান কবজ করা, মুজাহিদ তাঁর বাহিনী দ্বারা সে দায়িত্বই পালন করেছেন। মুজাহিদ বদর বাহিনীর জন্য অঙ্েিজন হিসেবে কাজ করেছেন। সে হিসেবে তাঁর ওপর সব ধরনের অপরাধের দায় বর্তায়।
পরে ড. তুরিন আফরোজ সাংবাদিকদের বলেন, মুজাহিদ সরাসরি কারো গায়ে হাত না তুললেও এমন একটা সময়ে এমন একটা দলের নেতৃত্বে ছিলেন, যার মাধ্যমে তিনি এসব অপরাধ সংঘটিত করেছেন।
আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দ মিজানুর রহমান, ব্যারিস্টার মুন্সী আহসান কবির ও ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিকী।
মুজাহিদের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৬ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাকসহ মোট ১৭ জন সাক্ষী রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন। অন্যদিকে মুজাহিদের পক্ষে একমাত্র সাফাই সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন তাঁর ছোট ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর।
গত বছরের ২১ জুন মুজাহিদের বিরুদ্ধে শহীদ সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেনসহ বুদ্ধিজীবী হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, দেশত্যাগে বাধ্য করাসহ সাতটি ঘটনায় ৩৪টি অভিযোগে অভিযোগ গঠন করেন ২ নম্বর ট্রাইব্যুনাল। এর আগে ২০১১ সালের ১ নভেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত সংস্থা। এ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রসিকিউশন একই বছরের ১১ ডিসেম্বর মুজাহিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করেন। কিন্তু তা যথাযথ না হওয়ায় একই বছরের ২৮ ডিসেম্বর ফেরত দেন ট্রাইব্যুনাল। পরে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আবার ফরমাল চার্জ দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর ওই বছরের ২৫ এপ্রিল ১ নম্বর ট্রাইব্যুনাল থেকে ২ নম্বর ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয় মামলাটি। ২০১২ সালের ২৬ জানুয়ারি মুজাহিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।
এদিকে রাষ্ট্রপক্ষ গতকাল যুক্তি উপস্থাপনের শেষ দিনে মুজাহিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন জানিয়েছে। গতকাল ট্রাইব্যুনালের আদেশের পর এ মামলার প্রসিকিউটর ড. তুরিন আফরোজ ও মোখলেসুর রহমান বাদল সাংবাদিকদের বলেন, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলে তারা আশাবাদী।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মুন্সী আহসান কবির সাংবাদিকদের বলেন, এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১৪ মাস তদন্ত করেও মুজাহিদের আলবদর, রাজাকারসহ কোনো বাহিনীতে যুক্ত থাকার কোনো প্রমাণ পাননি।
এ মামলায় মঙ্গলবার আসামিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ হওয়ায় গতকাল রাষ্ট্রপক্ষের পাল্টা যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য ছিল বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ২ নম্বর ট্রাইব্যুনালে। রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর ড. তুরিন আফরোজ যুক্তি উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তখনকার আলবদর নেতা মুজাহিদ। একাত্তরে যেসব অপরাধ করেছেন জামায়াতের এ নেতা, তাতে তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তিই প্রাপ্য। তিনি বলেন, একাত্তরে আলবদর বাহিনীকে জল্লাদের ভূমিকায় নামিয়েছিলেন মুজাহিদ। আজরাইলের কাজ যেমন মানুষের জান কবজ করা, মুজাহিদ তাঁর বাহিনী দ্বারা সে দায়িত্বই পালন করেছেন। মুজাহিদ বদর বাহিনীর জন্য অঙ্েিজন হিসেবে কাজ করেছেন। সে হিসেবে তাঁর ওপর সব ধরনের অপরাধের দায় বর্তায়।
পরে ড. তুরিন আফরোজ সাংবাদিকদের বলেন, মুজাহিদ সরাসরি কারো গায়ে হাত না তুললেও এমন একটা সময়ে এমন একটা দলের নেতৃত্বে ছিলেন, যার মাধ্যমে তিনি এসব অপরাধ সংঘটিত করেছেন।
আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দ মিজানুর রহমান, ব্যারিস্টার মুন্সী আহসান কবির ও ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিকী।
মুজাহিদের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৬ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাকসহ মোট ১৭ জন সাক্ষী রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন। অন্যদিকে মুজাহিদের পক্ষে একমাত্র সাফাই সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন তাঁর ছোট ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর।
গত বছরের ২১ জুন মুজাহিদের বিরুদ্ধে শহীদ সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেনসহ বুদ্ধিজীবী হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, দেশত্যাগে বাধ্য করাসহ সাতটি ঘটনায় ৩৪টি অভিযোগে অভিযোগ গঠন করেন ২ নম্বর ট্রাইব্যুনাল। এর আগে ২০১১ সালের ১ নভেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত সংস্থা। এ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রসিকিউশন একই বছরের ১১ ডিসেম্বর মুজাহিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করেন। কিন্তু তা যথাযথ না হওয়ায় একই বছরের ২৮ ডিসেম্বর ফেরত দেন ট্রাইব্যুনাল। পরে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আবার ফরমাল চার্জ দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর ওই বছরের ২৫ এপ্রিল ১ নম্বর ট্রাইব্যুনাল থেকে ২ নম্বর ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয় মামলাটি। ২০১২ সালের ২৬ জানুয়ারি মুজাহিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।
No comments