'নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ কাজে বাধা কোথায়'
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য
এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেছেন, 'ইলেকশন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন
সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত দুটি প্রতিষ্ঠান।
তারা
স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য শপথ নিয়েছে। সরকারও বলছে তারা স্বাধীন। তাদের
কাজে তো কেউ আর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে না। তাই ইলেকশন কমিশন ও দুর্নীতি
দমন কমিশন- এ দুটি প্রতিষ্ঠানের নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে বাধা
কোথায়।'
মঙ্গলবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল চ্যানেল ২৪-এর সমসাময়িক রাজনৈতিক আলোচনাভিত্তিক টকশো 'মুক্তবাক' অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। ডাকসুর সাবেক ভিপি ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম ও দৈনিক ইত্তেফাকের বিশেষ প্রতিনিধি মনির হায়দার।
আলোচকরা সমসাময়িক রাজনীতি ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সঞ্চালক ও দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন এবং বিস্তারিত আলোচনা করেন।
আলোচনার শুরুতে সঞ্চালক বলেন, 'সরকার গণতান্ত্রিক ও সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলছে। কিন্তু সরকারের মন্ত্রী ও দায়িত্বশীলরা একেক সময় একেক কথা বলছেন। যদি সংবিধান অনুযায়ী এ সরকারের অধীনে এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হয়, তাহলে নিরপেক্ষ হবে কি না বা বিরোধী দলসহ সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে আসার পরিবেশ তৈরি হবে কি না?'
জবাবে সাংবাদিক মনির হায়দার বলেন, প্রাচীন বাংলা পুঁথিতে আছে, 'লাখে লাখে সৈন্য মরে কাতারে কাতার, শুমার করিয়া দেখি পঞ্চাশ হাজার।' আসলে বাইরে যা ঘটে বাস্তব তার থেকে অনেক ফারাক। তিনি বলেন, 'আমাদের দেশের সমস্যা হলো রাষ্ট্রের সব ক্ষমতা এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক। সব ক্ষমতা একজনের হাতে। আমাদের দেশের যে সমস্যা, তা সবই ঠিক হতে পারে শুধু একজন মানুষ ইচ্ছা করলেই। তিনি হলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।' তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছে করলে দেশের অনেক সমস্যা অল্প সময়েই সমাধান হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। প্রধানমন্ত্রী দয়াপরবশ হলে গণতন্ত্র বিকশিত হবে। তিনিই পারেন মানুষের স্বপ্ন পূরণে কাজ করতে।'
আলোচনার এ পর্যায়ে এম হাফিজ উদ্দিন বলেন, 'আমি মনির হায়দারের সঙ্গে একটু যোগ করতে চাচ্ছি। তা হলো, আমার কাছে খুব লজ্জার মনে হয় এ জন্য যে যাঁরা সংসদ সদস্য হয়েছেন তাঁরা তো সংসদে যাওয়ার জন্যই নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁদের আবার সংসদে যেতে অনুরোধ করতে হবে কেন? তাঁরা কি তাঁদের এলাকার জনগণের কাছে কমিটেড নন? তাঁরা কি তাঁদের জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নন?' তিনি বলেন, 'তাহলে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে লাভ কী?' তিনি আলোচনার এই পর্যায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক আরেক উপদেষ্টা আকবর আলি খানের একটি বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, 'আকবর আলি খান বলেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মোগল সম্রাটদের চেয়েও বেশি শক্তিশালী। এটার দ্বারা প্রমাণিত হয়, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর হাতে অনেক ক্ষমতা। তিনি ইচ্ছা করলে দেশের রাজনৈতিক এ পরিস্থিতিতে অনেক কিছু সমাধানের উদ্যোগ নিতে পারেন। আমরা আশা করব, প্রধানমন্ত্রী তাঁর অবস্থান থেকে দেশের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবেন। আরো আন্তরিক হবেন।'
এ সময় আলোচনায় শরিক হয়ে নঈম নিজাম বলেন, 'আমাদের রাজনীতি হয়ে গেছে এখন ব্যক্তিকেন্দ্রিক। এখন ছাত্রনেতৃত্ব তৈরি হয় মূল দল থেকে। তৃণমূলের নেতৃত্ব তৈরি হয় কেন্দ্র থেকে। কেন্দ্র যাকে খুশি নমিনেশন দেয়। এতে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মতামতের কোনো তোয়াক্কা করা হয় না। দলের জন্য ত্যাগী ও প্রতিভাবানরা রাজনীতিতে কদর পান না।' তিনি বলেন, 'শেখ রাজ্জাক আলীর মতো সাবেক স্পিকারও দলের কাছে যখন মূল্যায়ন পান না, তখন বুঝতে হবে রাজনৈতিক অবস্থান কোথায় গেছে। রাজনীতি কারা নিয়ন্ত্রণ করছে।'
আলোচনার এ পর্যায়ে সঞ্চালক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, 'দেশের রাজনীতি দুই দলের প্রধান নিয়ন্ত্রণ করছেন। আমাদের দেশের ১৬ কোটি মানুষ তাঁদের কাছে জিম্মি। এখন আমাদের ভেবে দেখতে হবে, সিদ্ধান্ত নিতে হবে, ১৬ কোটি মানুষ দুই নেত্রীর কথায় চলবে, না কি ১৬ কোটি মানুষের কথায় দুই নেত্রী চলবেন।
মঙ্গলবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল চ্যানেল ২৪-এর সমসাময়িক রাজনৈতিক আলোচনাভিত্তিক টকশো 'মুক্তবাক' অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। ডাকসুর সাবেক ভিপি ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম ও দৈনিক ইত্তেফাকের বিশেষ প্রতিনিধি মনির হায়দার।
আলোচকরা সমসাময়িক রাজনীতি ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সঞ্চালক ও দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন এবং বিস্তারিত আলোচনা করেন।
আলোচনার শুরুতে সঞ্চালক বলেন, 'সরকার গণতান্ত্রিক ও সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলছে। কিন্তু সরকারের মন্ত্রী ও দায়িত্বশীলরা একেক সময় একেক কথা বলছেন। যদি সংবিধান অনুযায়ী এ সরকারের অধীনে এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হয়, তাহলে নিরপেক্ষ হবে কি না বা বিরোধী দলসহ সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে আসার পরিবেশ তৈরি হবে কি না?'
জবাবে সাংবাদিক মনির হায়দার বলেন, প্রাচীন বাংলা পুঁথিতে আছে, 'লাখে লাখে সৈন্য মরে কাতারে কাতার, শুমার করিয়া দেখি পঞ্চাশ হাজার।' আসলে বাইরে যা ঘটে বাস্তব তার থেকে অনেক ফারাক। তিনি বলেন, 'আমাদের দেশের সমস্যা হলো রাষ্ট্রের সব ক্ষমতা এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক। সব ক্ষমতা একজনের হাতে। আমাদের দেশের যে সমস্যা, তা সবই ঠিক হতে পারে শুধু একজন মানুষ ইচ্ছা করলেই। তিনি হলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।' তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছে করলে দেশের অনেক সমস্যা অল্প সময়েই সমাধান হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। প্রধানমন্ত্রী দয়াপরবশ হলে গণতন্ত্র বিকশিত হবে। তিনিই পারেন মানুষের স্বপ্ন পূরণে কাজ করতে।'
আলোচনার এ পর্যায়ে এম হাফিজ উদ্দিন বলেন, 'আমি মনির হায়দারের সঙ্গে একটু যোগ করতে চাচ্ছি। তা হলো, আমার কাছে খুব লজ্জার মনে হয় এ জন্য যে যাঁরা সংসদ সদস্য হয়েছেন তাঁরা তো সংসদে যাওয়ার জন্যই নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁদের আবার সংসদে যেতে অনুরোধ করতে হবে কেন? তাঁরা কি তাঁদের এলাকার জনগণের কাছে কমিটেড নন? তাঁরা কি তাঁদের জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নন?' তিনি বলেন, 'তাহলে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে লাভ কী?' তিনি আলোচনার এই পর্যায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক আরেক উপদেষ্টা আকবর আলি খানের একটি বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, 'আকবর আলি খান বলেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মোগল সম্রাটদের চেয়েও বেশি শক্তিশালী। এটার দ্বারা প্রমাণিত হয়, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর হাতে অনেক ক্ষমতা। তিনি ইচ্ছা করলে দেশের রাজনৈতিক এ পরিস্থিতিতে অনেক কিছু সমাধানের উদ্যোগ নিতে পারেন। আমরা আশা করব, প্রধানমন্ত্রী তাঁর অবস্থান থেকে দেশের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবেন। আরো আন্তরিক হবেন।'
এ সময় আলোচনায় শরিক হয়ে নঈম নিজাম বলেন, 'আমাদের রাজনীতি হয়ে গেছে এখন ব্যক্তিকেন্দ্রিক। এখন ছাত্রনেতৃত্ব তৈরি হয় মূল দল থেকে। তৃণমূলের নেতৃত্ব তৈরি হয় কেন্দ্র থেকে। কেন্দ্র যাকে খুশি নমিনেশন দেয়। এতে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মতামতের কোনো তোয়াক্কা করা হয় না। দলের জন্য ত্যাগী ও প্রতিভাবানরা রাজনীতিতে কদর পান না।' তিনি বলেন, 'শেখ রাজ্জাক আলীর মতো সাবেক স্পিকারও দলের কাছে যখন মূল্যায়ন পান না, তখন বুঝতে হবে রাজনৈতিক অবস্থান কোথায় গেছে। রাজনীতি কারা নিয়ন্ত্রণ করছে।'
আলোচনার এ পর্যায়ে সঞ্চালক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, 'দেশের রাজনীতি দুই দলের প্রধান নিয়ন্ত্রণ করছেন। আমাদের দেশের ১৬ কোটি মানুষ তাঁদের কাছে জিম্মি। এখন আমাদের ভেবে দেখতে হবে, সিদ্ধান্ত নিতে হবে, ১৬ কোটি মানুষ দুই নেত্রীর কথায় চলবে, না কি ১৬ কোটি মানুষের কথায় দুই নেত্রী চলবেন।
No comments