রিজার্ভ ট্যাংকের পানি পান করে পাঁচ শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ
গাজীপুরের ভোগড়া শিল্প এলাকার লাবীব
গ্রুপের স্টারলাইট সোয়েটার কারখানার রিজার্ভ ট্যাংকের পানি পান করে পাঁচ
শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের গাজীপুর ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, গতকাল বুধবার সকালে রিজার্ভ
ট্যাংকের পানি পানের পর ছয়তলা কারখানা ভবনের ফ্লোরগুলোতে অসুস্থ হয়ে
শ্রমিকরা একের পর এক ঢলে পড়তে শুরু করে। ফলে কারখানায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ
সময় অন্য শ্রমিকরা কারখানার নিচে জড়ো হয়ে প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর শুরু
করে। আশপাশের কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরাও বিক্ষোভে অংশ নেয়।
খবর পেয়ে শিল্পাঞ্চল ও জয়দেবপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এদিকে গার্মেন্ট শিল্প ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করে কেউ পানিতে বিষাক্ত কিছু মিশিয়ে দিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, ওই পানিতে বিষের গন্ধ পাওয়া গেছে।
কারখানার লিংকিং অপারেটর এনামুল হক, নিটিং অপারেটর নজরুল ও আজহার জানান, গতকাল সকাল ৯টার দিকে নাশতা খাওয়ার পর শ্রমিকরা ট্যাপের পানি পান করে। কিছুক্ষণ পর পানি পানকারী শ্রমিকদের মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাব ও গলায় চুলকানি শুরু হয়। অল্প সময়ের মধ্যে তারা ঢলে পড়তে শুরু করে। কারো কারো মুখ দিয়ে সাদা ফেনা বের হতে থাকে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সব ফ্লোরেই শ্রমিকদের অসুস্থ হওয়ার সংখ্যা বাড়তে থাকে। অন্য শ্রমিকরা অসুস্থদের উদ্ধার করে দ্রুত গাজীপুর সদর হাসপাতাল এবং অন্যান্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় কারখানার সাড়ে ছয় হাজার শ্রমিকের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে কর্তৃপক্ষ মাইকে প্রতি ফ্লোরে ঘোষণা করে, 'কারখানার পানিতে ক্ষতিকারক জীবাণু পাওয়া গেছে। শ্রমিক-স্টাফ কেউ পানি খাবেন না।' তারা জানায়, তাড়াহুড়া করে নামার সময়ও কিছু শ্রমিক আহত হয়।
শ্রমিকরা জানায়, ওই পানিতে অ্যানড্রিনের গন্ধ পাওয়া গেছে।
কারখানার সিনিয়র ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) জাবেদ হোসেন জানান, আহতদের গাজীপুর সদর, বোর্ডবাজারের তায়রুননেছা, সুলতান মেডিক্যাল, টঙ্গী সরকারি ৫০ শয্যা এবং উত্তরার আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অসুস্থ সবার অবস্থাই উন্নতির দিকে।
কারখানার কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন জানান, পানি পান করে শ্রমিকরা কেন অসুস্থ হয়ে পড়ছে, তা অনুসন্ধান করতে গিয়ে পানিতে ঝাঁজালো গন্ধ ও স্বাদ পাওয়া গেছে। পরে পানির তিন রিজার্ভ ট্যাংক পরীক্ষা করে একটির পানিতে ওই গন্ধ এবং সাদা ফেনার মতো দেখা গেছে।
কারখানার নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এটি অবশ্যই নাশকতা। যারা এ দেশের গার্মেন্ট খাতকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে চায় তারাই এটি করে থাকতে পারে।'
কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, তাঁদের কারখানায় শ্রমিকদের সব সেবা অত্যন্ত স্বাস্থ্যসম্মত। এটা নাশকতা। পানির নমুনা আইসিডিডিআরবি এবং সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার আবদুল বাতেন জানান, সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে। একজন চিকিৎসক পানির নমুনা সংগ্রহ করেছেন। পুলিশও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।
হাসপাতালের চিত্র : গাজীপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অসুস্থ শ্রমিকরা আসতে শুরু করে। এক পর্যায়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, আশপাশের ওয়ার্ড, বারান্দা ও ফ্লোরে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়।
আবাসিক চিকিৎসক তপন কান্তি সরকার জানান, রোগীরা ঘন ঘন বমি করে নিস্তেজ হয়ে পড়ছে। কারো কারো পেটে ব্যথা দেখা গেছে। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. মনিরুজ্জামান জানান, পানিতে বিষক্রিয়ার কারণে এ অবস্থা হয়েছে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রায় ২০০ শ্রমিককে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ভর্তি করা হয়েছে ১২৭ জনকে। তবে সবাই আশঙ্কামুক্ত।
খবর পেয়ে শিল্পাঞ্চল ও জয়দেবপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এদিকে গার্মেন্ট শিল্প ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করে কেউ পানিতে বিষাক্ত কিছু মিশিয়ে দিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, ওই পানিতে বিষের গন্ধ পাওয়া গেছে।
কারখানার লিংকিং অপারেটর এনামুল হক, নিটিং অপারেটর নজরুল ও আজহার জানান, গতকাল সকাল ৯টার দিকে নাশতা খাওয়ার পর শ্রমিকরা ট্যাপের পানি পান করে। কিছুক্ষণ পর পানি পানকারী শ্রমিকদের মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাব ও গলায় চুলকানি শুরু হয়। অল্প সময়ের মধ্যে তারা ঢলে পড়তে শুরু করে। কারো কারো মুখ দিয়ে সাদা ফেনা বের হতে থাকে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সব ফ্লোরেই শ্রমিকদের অসুস্থ হওয়ার সংখ্যা বাড়তে থাকে। অন্য শ্রমিকরা অসুস্থদের উদ্ধার করে দ্রুত গাজীপুর সদর হাসপাতাল এবং অন্যান্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় কারখানার সাড়ে ছয় হাজার শ্রমিকের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে কর্তৃপক্ষ মাইকে প্রতি ফ্লোরে ঘোষণা করে, 'কারখানার পানিতে ক্ষতিকারক জীবাণু পাওয়া গেছে। শ্রমিক-স্টাফ কেউ পানি খাবেন না।' তারা জানায়, তাড়াহুড়া করে নামার সময়ও কিছু শ্রমিক আহত হয়।
শ্রমিকরা জানায়, ওই পানিতে অ্যানড্রিনের গন্ধ পাওয়া গেছে।
কারখানার সিনিয়র ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) জাবেদ হোসেন জানান, আহতদের গাজীপুর সদর, বোর্ডবাজারের তায়রুননেছা, সুলতান মেডিক্যাল, টঙ্গী সরকারি ৫০ শয্যা এবং উত্তরার আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অসুস্থ সবার অবস্থাই উন্নতির দিকে।
কারখানার কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন জানান, পানি পান করে শ্রমিকরা কেন অসুস্থ হয়ে পড়ছে, তা অনুসন্ধান করতে গিয়ে পানিতে ঝাঁজালো গন্ধ ও স্বাদ পাওয়া গেছে। পরে পানির তিন রিজার্ভ ট্যাংক পরীক্ষা করে একটির পানিতে ওই গন্ধ এবং সাদা ফেনার মতো দেখা গেছে।
কারখানার নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এটি অবশ্যই নাশকতা। যারা এ দেশের গার্মেন্ট খাতকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে চায় তারাই এটি করে থাকতে পারে।'
কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, তাঁদের কারখানায় শ্রমিকদের সব সেবা অত্যন্ত স্বাস্থ্যসম্মত। এটা নাশকতা। পানির নমুনা আইসিডিডিআরবি এবং সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার আবদুল বাতেন জানান, সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে। একজন চিকিৎসক পানির নমুনা সংগ্রহ করেছেন। পুলিশও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।
হাসপাতালের চিত্র : গাজীপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অসুস্থ শ্রমিকরা আসতে শুরু করে। এক পর্যায়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, আশপাশের ওয়ার্ড, বারান্দা ও ফ্লোরে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়।
আবাসিক চিকিৎসক তপন কান্তি সরকার জানান, রোগীরা ঘন ঘন বমি করে নিস্তেজ হয়ে পড়ছে। কারো কারো পেটে ব্যথা দেখা গেছে। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. মনিরুজ্জামান জানান, পানিতে বিষক্রিয়ার কারণে এ অবস্থা হয়েছে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রায় ২০০ শ্রমিককে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ভর্তি করা হয়েছে ১২৭ জনকে। তবে সবাই আশঙ্কামুক্ত।
No comments