কলঙ্কিত ক্রিকেট-দায় মোচনের দায়িত্ব নিতে হবে
কলঙ্কের দাগ এবার বাংলাদেশের ক্রিকেটের
গায়ে। ক্রিকেটজগতের বোদ্ধা-বিশ্লেষকদের মুখে যাঁর নামে উচ্চারিত হতো
প্রশংসাবাক্য, বাংলাদেশের ক্রিকেট ব্র্যান্ডিংয়ে যে তরুণের নাম উচ্চারিত
হতো আরো অনেকের সঙ্গে, তিনি মিডিয়ার সামনে দোষ স্বীকার করে দেশবাসীর কাছে
ক্ষমা চেয়েছেন।
ক্রিকেটের এ কলঙ্কের দায় যে শুধু তাঁর
একার নয়, সেটাও পরিষ্কার। ফিক্সিং কেলেঙ্কারির দায় আজ বাংলাদেশ ও দেশের
ক্রিকেটকে এক কঠিন বাস্তবতার মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
সাধারণ বিবেচনায় নিত্য আশা ভঙ্গের এই দেশে ক্রিকেট যেন 'অনেক দিনের পরে বৃষ্টি' আসার মতোই কাঙ্ক্ষিত একটি উৎসব হয়ে দাঁড়িয়েছিল। দেশে কিংবা দেশের বাইরে একেকটি ম্যাচে বাংলাদেশের জয় দেশবাসীকে ভাসিয়েছে আনন্দের জোয়ারে। যেখানে রাজনৈতিক মতপার্থক্য দেশের মানুষকে প্রায় বিভক্ত করে ফেলেছে, সেখানে ক্রিকেট পুরো জাতিকে এক কাতারে নিয়ে এসেছিল। বাংলাদেশের ক্রিকেটের অসামান্য সব অর্জনের সঙ্গে যাঁর নাম জড়িয়ে আছে, সেই মোহাম্মদ আশরাফুল আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের কাছে স্বীকার করেছেন তাঁর দোষ।
ক্রিকেট এ দেশের মানুষকে নিয়ে এসেছিল এক কাতারে। সেই ক্রিকেট আজ কলঙ্কিত। ফিক্সিং ক্রিকেটে নতুন নয়। ক্রিকেট অঙ্গনে বুকিদের উঁকিঝুঁকিও নতুন নয়। বিশ্বের অনেক নামি ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার ধসিয়ে দিয়েছে ফিক্সিং কেলেঙ্কারি। বাংলাদেশ বরাবর এই কেলেঙ্কারির বাইরে ছিল। কিন্তু এবার সেই ফিক্সিংয়ের দায়ে কলুষিত হলো বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গন। বিশ্ব ক্রিকেটে যখন জুয়াড়িদের নিত্য ছায়াপাত, তখন বাংলাদেশের ক্রিকেট যে এর বাইরে থাকবে, তার কোনো যৌক্তিক কারণও তো নেই। খেলার জগৎকে কলুষিত করতে এখানেও যে ফাঁদ পাতা হতে পারে, সেটাই স্বাভাবিক। সেই পাতা ফাঁদে পা দিয়েছেন আশরাফুল, যাঁর নামে একসময় পরিচিত ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট। আশরাফুলকে আপাতত খেলার বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড। এখনই তাঁর বিরুদ্ধে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। আকসুর প্রতিবেদন পাওয়ার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড।
এ ঘটনার পর আর নিশ্চিন্তে থাকার কোনো উপায় নেই। অন্ধকারের এই চক্র থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আশরাফুলের ঘটনাটিকে সতর্কবার্তা হিসেবে ধরে নিয়ে আমাদের ক্রিকেটাররা সতর্ক হবেন বলে আমরা আশা করি। পাশাপাশি এই ফিক্সিং কেলেঙ্কারির দায় মোচনের দায়িত্ব বোর্ডকেই নিতে হবে।
সাধারণ বিবেচনায় নিত্য আশা ভঙ্গের এই দেশে ক্রিকেট যেন 'অনেক দিনের পরে বৃষ্টি' আসার মতোই কাঙ্ক্ষিত একটি উৎসব হয়ে দাঁড়িয়েছিল। দেশে কিংবা দেশের বাইরে একেকটি ম্যাচে বাংলাদেশের জয় দেশবাসীকে ভাসিয়েছে আনন্দের জোয়ারে। যেখানে রাজনৈতিক মতপার্থক্য দেশের মানুষকে প্রায় বিভক্ত করে ফেলেছে, সেখানে ক্রিকেট পুরো জাতিকে এক কাতারে নিয়ে এসেছিল। বাংলাদেশের ক্রিকেটের অসামান্য সব অর্জনের সঙ্গে যাঁর নাম জড়িয়ে আছে, সেই মোহাম্মদ আশরাফুল আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের কাছে স্বীকার করেছেন তাঁর দোষ।
ক্রিকেট এ দেশের মানুষকে নিয়ে এসেছিল এক কাতারে। সেই ক্রিকেট আজ কলঙ্কিত। ফিক্সিং ক্রিকেটে নতুন নয়। ক্রিকেট অঙ্গনে বুকিদের উঁকিঝুঁকিও নতুন নয়। বিশ্বের অনেক নামি ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার ধসিয়ে দিয়েছে ফিক্সিং কেলেঙ্কারি। বাংলাদেশ বরাবর এই কেলেঙ্কারির বাইরে ছিল। কিন্তু এবার সেই ফিক্সিংয়ের দায়ে কলুষিত হলো বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গন। বিশ্ব ক্রিকেটে যখন জুয়াড়িদের নিত্য ছায়াপাত, তখন বাংলাদেশের ক্রিকেট যে এর বাইরে থাকবে, তার কোনো যৌক্তিক কারণও তো নেই। খেলার জগৎকে কলুষিত করতে এখানেও যে ফাঁদ পাতা হতে পারে, সেটাই স্বাভাবিক। সেই পাতা ফাঁদে পা দিয়েছেন আশরাফুল, যাঁর নামে একসময় পরিচিত ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট। আশরাফুলকে আপাতত খেলার বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড। এখনই তাঁর বিরুদ্ধে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। আকসুর প্রতিবেদন পাওয়ার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড।
এ ঘটনার পর আর নিশ্চিন্তে থাকার কোনো উপায় নেই। অন্ধকারের এই চক্র থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আশরাফুলের ঘটনাটিকে সতর্কবার্তা হিসেবে ধরে নিয়ে আমাদের ক্রিকেটাররা সতর্ক হবেন বলে আমরা আশা করি। পাশাপাশি এই ফিক্সিং কেলেঙ্কারির দায় মোচনের দায়িত্ব বোর্ডকেই নিতে হবে।
No comments