জলিলের পর নতুন যুগে আওয়ামী লীগ by শাহ আহমদ রেজা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হলে তাকে সম্ভবত কথা একটু বেশিই বলতে হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ ব্যাপারে ধারণা দিয়ে গেছেন আবদুল জলিল। নওগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। এটা ছিল সাধারণ মানের একটি অবস্থান। কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একেবারে উচ্চস্তরে উঠে এসেছিলেন তিনি। এখন আবার উল্টোটাও দেখতে হচ্ছে জনগণকে।
সাধারণ সম্পাদকের পদটি হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার পর দিন দিন তার শুধু অবনতিই ঘটছে। দলের সভাপতিমন্ডলীতে স্থান জোটেনি তার, নামসর্বস্ব উপদেষ্টামন্ডলীতে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে তাকে। ৬ অক্টোবরের সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, বাণিজ্য সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির পদ থেকেও বাদ পড়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ঘটনাপ্রবাহে প্রায় উন্মাদই বানিয়ে ফেলা হয়েছে তাকে। শব্ধ প্রয়োগে অবশ্য যথেষ্ট সংযম অবলম্বন করা হচ্ছে। এখানেই কথায় কথায় এসেছে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কথা। দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক থাকার দিনগুলোতেও সৈয়দ আশরাফ কথা কখনো কম বলেননি। সাধারণ সম্পাদক পদে 'পার্মানেন্ট' হওয়ার পর স্বাভাবিক নিয়মেই তাকে বেশি বেশি কথা বলতে হচ্ছে। তবে তার বিরুদ্ধে এখনো আবদুল জলিলের মতো কান্ডজ্ঞান হারানোর অভিযোগ ওঠেনি। যেমন, সুযোগ থাকা সত্ত্বেও পূর্বসূরি আবদুল জলিলকে তিনি ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে সাফ করতে নেমে পড়েননি। তাকে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন বলতেও দ্বিধা করেছেন। যথেষ্ট সংযমের সঙ্গে বরং বলেছেন, মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে, জলিল সাহেব সত্যিই মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন কি-না। তার সম্পর্কে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও মেডিকেল রিপোর্টের ভিত্তিতেই নেয়া হবে। আবদুল জলিল কেন এত বেশি আলোচিত হচ্ছেন সে সম্পর্কে নিশ্চয়ই পুনরাবৃত্তিতে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। সেনা সমর্থিত সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে-এই একটি মাত্র তথ্য ফাঁস করেই বেচারা বিপদে পড়ে গেছেন। নিজের ঝুলি থেকে আর কোনো তথ্যবোমা বের করার সুযোগ দেয়া হয়নি তাকে। তার আগেই উন্মাদ না হলেও মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন বানিয়ে ফেলা হয়েছে। বোঝানোর চেষ্টা চলছে, পাগলে কি-না বলে...! এখানেই আসলে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ ঘটেছে। সে বৈশিষ্ট্যের মূল কথা হলো, আওয়ামী লীগ মানেই দলের প্রধান নেতা বা নেত্রীর ইচ্ছা পূরণ করা। তার কথামত চলা। ব্যতিক্রম ঘটলেই সংশ্লিষ্টজনকে পরিত্যক্ত হতে হবে। ১৯৬০-এর দশকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমেনা বেগম এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তাজউদ্দিন আহমদ এই পরিণতির দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছেন। ব্যক্তিকে পরিত্যাগ করার ব্যাপারে শুধু নয়, দলকে প্রধান নেতা বা নেত্রীর ইচ্ছাধীন রাখার ব্যাপারেও আওয়ামী লীগের বৈশিষ্ট্য অতুলনীয়। কাউন্সিল অধিবেশনের নামে ২৪ জুলাই আয়োজিত সমাবেশের কথাই ধরা যাক। যথেষ্ট ঢাকঢোল পিটিয়েই বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী কেন্দ্রে এর আয়োজন করা হয়েছিল। সারা দেশ থেকে কাউন্সিলরও হাজার পাঁচেকের বেশিই এসেছিলেন। কিন্তু আরো একবার 'যাহা ৫২ তাহা ৫৩'র পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। শেখ হাসিনাই সভানেত্রী পদে 'নির্বাচিত' হয়েছেন। তার পিছু পিছু এসেছেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। বহুদিন পর 'ভারমুক্ত' এবং সাধারণ সম্পাদক পদে 'পার্মানেন্ট' হয়েছেন তিনি। তাকেও 'নির্বাচিত'ই করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কথা উঠত না, কাউন্সিলররা যদি দু'জনকে ভোট দিয়ে 'নির্বাচিত' করার সুযোগ পেতেন। এজন্য নাকি 'স্বচ্ছ' ব্যালট বাক্সও প্রস্তুত রাখা হয়েছিল (যদিও ব্যালট পেপার সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি!)। কিন্তু পরে জানা গেল, যেহেতু পদ দুটির কোনো একটিতেও একাধিক প্রার্থী ছিলেন না সেহেতু ভোটাভুটির ঝামেলায় যাওয়ার প্রয়োজন পড়েনি। প্রার্থী না থাকার কারণ নিয়েও রাজনৈতিক অঙ্গনে কৌতূহলোদ্দীপক অনেক আলোচনা হয়েছে। শোনা গেছে, একে তো আওয়ামী লীগ, তার ওপর নেতৃত্বে রয়েছেন শেখ হাসিনা। সুতরাং এমনিতেই তার ইচ্ছার বাইরে যাওয়া কারো পক্ষে সম্ভব ছিল না। তার ওপর আবার অন্য একটি বিষয়ও যুক্ত হয়েছিল। ১/১১-এর নায়কদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে যারা শেখ হাসিনাকে 'মাইনাস' করতে চেয়েছিলেন, এবারের কাউন্সিলে তাদের প্রত্যেককে 'দেখে নেয়ার' ব্যাপার ছিল। সে তালিকায় ছিলেন র্'যাটস' নামে বিখ্যাত হয়ে ওঠা চার নেতা আবদুল রাজ্জাক, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। ফলে এবারের কাউন্সিল অধিবেশনের আগে কোনো নেতা বা গ্রুপকেই নেতৃত্ব দখল করার জন্য তৎপরতা চালাতে দেখা যায়নি। আলোচিত নেতাদের প্রত্যেকে বরং কোনোভাবে প্রেসিডিয়ামে টিকে থাকার জন্য নেত্রীর অনুগ্রহ প্রার্থী হয়ে উঠেছিলেন। অর্থাৎ শেখ হাসিনা সম্পূর্ণরূপে এবং যথেচ্ছভাবেই ক্ষমতা খাটাতে পেরেছেন। এই একটি বিষয়ে তাকে কার্পণ্যও করতে দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগের এ কাউন্সিল অধিবেশনের ঠিক প্রাক্কালেই অন্য চার নেতার সঙ্গে আবদুল জলিলের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। সে প্রক্রিয়ায় আবদুল জলিল নিজেই দৃশ্যত আগে পা বাড়িয়েছিলেন। 'অল্প কথায়' দুঃখের কথা জানিয়ে কাউন্সিলের দু'দিন আগে ২২ জুলাই তিনি পদত্যাগ করেছিলেন। দুঃখ পেয়েছিলেন তিনি একটি মাত্র কারণে। তার আশা ছিল, তাকে অন্তত 'সম্মানজনকভাবে' বিদায় জানানো হবে। কিন্তু তিনি সম্ভবত নিজের দল আওয়ামী লীগের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কথা ভুলে গিয়েছিলেন। এজন্যই তাকে একা একাই বিদায় নিতে হয়েছে। ২০০২ সাল থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। শেষ দিকে দীর্ঘদিন তাকে নিষ্ক্রিয় করে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। তিনি থাকতেও শেখ হাসিনার নির্দেশে দলের দু' নম্বর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম তার পক্ষে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাকে এভাবে নিষ্ক্রিয় রাখার ব্যাপারে সভানেত্রীর কাছে চিঠি লিখেছিলেন আবদুল জলিল। কিন্তু শেখ হাসিনা জবাব দেননি। শেষ পর্যন্তও নেত্রীর 'ভুল ভাঙার' অপেক্ষায় থেকেছেন নওগাঁর এই কৃতী পুরুষ। রাজনীতির তুখোড় খেলোয়াড় ছিলেন বলেই আবদুল জলিলের সরে দাঁড়ানোর ঘটনা ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে। সরকার পতনের 'ট্রাম্প কার্ড' দেখানো থেকে গৃহযুদ্ধের হুমকি দেয়া পর্যন্ত নানাভাবে 'তুফান' বইয়ে দেয়ার জন্য খ্যাতি। রয়েছে তার। যাওয়ার আগেও 'তুফান' তোলার চেষ্টা কম করেননি তিনি। একবার রীতিমত তথ্য বোমার বিসেফারণ ঘটিয়ে বলেছেন, ওয়ান-ইলেভেনে যারা ডিজিএফআইয়ের দালালি করে সুবিধা নিয়েছে তারাই এখনো সুবিধা নিচ্ছে। বর্তমান মন্ত্রিসভার অনেকেই নাকি ডিজিএফআইয়ের 'পেইড এজেন্ট'! নাম ধরে ধরে তিনি বলেছেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রাজ্জাক, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ডিজিএফআইয়ের দালালি করেছেন। আবদুল জলিলের ভাষাও ছিল যথেষ্ট আক্রমণাত্মক-'সব ব্যাটা ওই সময় ডিজিএফআইয়ের দালালি করেছে। কে দালালি করেনি সাহস থাকলে বলুক।' সৈয়দ আশরাফুলের প্রতি ইঙ্গিত করে আবদুল জলিল বলেছেন, প্রথমে পালিয়ে লন্ডন চলে যাওয়ার পর কোন নিশ্চয়তা পেয়ে তিনি দেশে ফিরে এসেছিলেন তা কি দেশের মানুষ জানে না? আবদুল জলিল অভিযোগ করেছেন, সভানেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে 'সট্যান্ড' নেয়ার কারণেই তাকে শাস্তি ভোগ করতে হয়েছে। ডিজিএফআইয়ের নির্যাতন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এবং নিজের সত্রী ও ছেলেকে যাতে গ্রেফতার না হতে হয় সেজন্য তিনি একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। উল্লেখ্য, বহুল আলোচিত ওই চিঠিতে শেখ হাসিনার কঠোর সমালোচনা ছিল। সে সময় বাজারে যে সিডির ছড়াছড়ি ঘটেছিল এবং যে সিডিতে আবদুল জলিলের কণ্ঠে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বক্তব্য ছিল, সে সিডিকেও তিনি জোর খাটানোর এবং প্রযুক্তির কলাকৌশল বলেছেন। আবদুল জলিলের আফসোস, তিনি আজ 'রাস্তায় রাস্তায়' ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর ডিজিএফআইয়ের দালালি করে ওই সময় যারা সুবিধা নিয়েছে তারাই এখনো সুবিধা নিচ্ছে। এক প্রশ্নের উত্তরে আবদুল জলিল বলেছিলেন, কিছু 'দুষ্কৃতকারী' তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে শেখ হাসিনার কান ভারি করেছে। আবদুল জলিলের কথা সত্য হয়ে থাকলে সেই 'দুষ্কৃতকারী' এবং ডিজিএফআইয়ের 'পেইড এজেন্টরাই' এবার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এসেছেন। কথাটা তিনি লন্ডনেও বলেছেন। শতকরা হিসাবে ডিজিএফআইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষাকারীদের সংখ্যাও এবার বেড়ে গেছে। হয়েছে প্রায় ৯৯ ভাগ! এর সঙ্গেই তিনি সমঝোতাবিষয়ক তথ্য বোমাটির বিসেফারণ ঘটিয়েছিলেন। আরও কিছু কথাও বলে রেখেছেন আবদুল জলিল। দলের জন্য 'মমতা' রয়েছে বলেই তিনি বলেছেন, 'নবরত্ম' দিয়ে দল ও সরকার পরিচালনার পরিণতি কি হয় শেখ হাসিনাকে শিগগিরই তা অনুধাবন করতে হবে। এমন কিছু লোককে দলের নেতৃত্বে আনা হয়েছে যাদের নেতৃত্বের 'কোয়ালিটি ডেভেলপ' করেনি। নেতৃত্বের দায় শুধু কাঁধে তুলে দিলেই হয় না। তাৎপর্যপূর্ণ হলেও আবদুল জলিলের কথাগুলোর প্রতি শেখ হাসিনা গুরুত্ব দেননি। এজন্যই আবদুল জলিল সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির পদ হারিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে তাকে সভাপতিমন্ডলীর সদস্য পদও হারাতে হবে। মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন প্রমাণিত হলে তো বটেই, না হলেও। সেই সঙ্গে অবসান ঘটবে আবদুল জলিল যুগের। আবদুল জলিলের এমন পরিণতিই অবশ্য স্বাভাবিক ছিল। কারণ, আগেও বলা হয়েছে, দলটি আওয়ামী লীগ, তার ওপর নেতৃত্বে রয়েছেন শেখ হাসিনা। অতীতের মতো সাম্প্রতিক সময়েও এর প্রমাণ রেখেছেন তিনি। সে কারণে র্'যাটস' নামে পরিচিত হয়ে ওঠা চারজনের ভবিষ্যৎ নিয়েও এখন জোর গুঞ্জন চলছে। ২৪ জুলাই অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে শেখ হাসিনাকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের 'একক ক্ষমতা' দেয়া হয়েছিল। তিনি কমিটি গঠন করেছেন ৩০ জুলাই। আবদুল জলিলের পাশাপাশি বাদ দিয়েছেন ওই চারজনকেও। তাদের তিনি উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য বানিয়েছেন। কিন্তু এই 'সান্ত্বনা পুরস্কারে' চারজনের কেউই সন্তুষ্ট হননি। তারা এমনকি ১৫ আগসট ও ২১ আগসেটর অনুষ্ঠানেও যোগ দেননি। কিছুদিন চুপচাপ থাকার পর সম্প্রতি তারা মুখ খুলতে শুরু করেছেন। আবদুল জলিলের পর এখানে আরেক ডাঁকসাইটে নেতা তোফায়েল আহমদের বক্তব্য উল্লেখ করা দরকার। একটি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, উপদেষ্টা পরিষদ তার জায়গা নয়। এর চেয়ে দলের ১০ টাকার সদস্য থাকাটাই তার কোছে গৌরবের। 'আমি হয়তো যোগ্যতা অর্জন করতে পারিনি বলেই সভানেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে তার কমিটিতে রাখেননি। কিন্তু যেখানে উনি রেখেছেন সেটা আমার জায়গা নয়। নিজের ক্ষোভ প্রকাশে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তও পিছিয়ে থাকেননি। একাধিক উপলক্ষে তিনি বলেছেন, তাকে এখন 'সংস্কারপন্হী' হওয়ার মূল্য দিতে হচ্ছে। দলীয় কোনো বিষয়ে কথা না বললেও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সরকারের কিছু কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পরোক্ষভাবে তিনি সরকারকেই বিব্রত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওদিকে আমির হোসেন আমু এবং আবদুর রাজ্জাক যদিও প্রকাশ্যে কিছু বলছেন না তবু তাদের সন্দেহের বাইরে রাখা হয়নি। তাদের অতি নীরবতা বরং রহস্যের সৃষ্টি করেছে। তারা রাজধানীর কোনো অনুষ্ঠানেও অংশ নিচ্ছেন না। বলা হচ্ছে, এই দু'জন সম্ভবত ভবিষ্যতের পরিকল্পনা অাঁটছেন। বলা বাহুল্য, কারো কোনো ধরনের পরিকল্পনাই অন্তত আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে কোনো কাজে আসবে না। কারণ, আবারো বলতে হয়, দলটি আওয়ামী লীগ। তার ওপর নেতৃত্বে রয়েছেন শেখ হাসিনা। লেখক : সাংবাদিক
No comments