গাদ্দাফি ও ছেলে সাইফকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের পরোয়ানা জারি
লিবিয়ার পলাতক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি এবং তাঁর ছেলে সাইফ আল-ইসলামকে গ্রেপ্তারের জন্য গতকাল শুক্রবার পরোয়ানা জারি করেছে ইন্টারপোল। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব পুলিশ সংস্থা এই পরোয়ানা জারি করল।
ইন্টারপোল জানায়, আইসিসির কৌঁসুলি লুইস মরিনো-ওকাম্পো তাদের কাছে সহায়তা চাওয়ার এক দিন পরই তারা গাদ্দাফি ও তাঁর ছেলে সাইফ এবং গোয়েন্দাপ্রধান আবদুল্লাহ আল-সেনুশিকে গ্রেপ্তারে জরুরি পরোয়ানা (রেড নোটিশ) জারি করেছে। ইন্টারপোল এখন তার ১৮৮টি সদস্যদেশকে তাদের নিজস্ব জাতীয় আইন অনুযায়ী তাঁদের অবস্থান শনাক্ত এবং আটক করতে আইসিসিকে সহায়তা করার আহ্বান জানাচ্ছে।
অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে লিবিয়ার অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষ বলেছে, মুক্তির লড়াই এখনো শেষ হয়নি।
নাইজারের নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, মুয়াম্মার গাদ্দাফির ১৪ জন কর্মকর্তা নাইজারের উত্তরাঞ্চলীয় শহর আগাদেজে অবস্থান করছেন। আর চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশটি লিবিয়ার পুনর্গঠনে সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
গাদ্দাফির পতনের পর ত্রিপোলিতে দেওয়া প্রথম ভাষণে লিবিয়ার অন্তর্বর্তী মন্ত্রিসভার প্রধান মাহমুদ জিবরিল বলেন, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখনো রয়ে গেছে। গাদ্দাফির অবস্থান সম্পর্কে কোনো কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান মাহমুদ জিবরিল। এর আগে নাইজারে পালিয়ে যাওয়ার খবর অস্বীকার করেন গাদ্দাফি।
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিদিন শত শত কালো আফ্রিকান লিবিয়া থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। দ্য ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) জানায়, প্রতিদিন প্রায় ৩০০ কালো আফ্রিকান সীমান্ত অতিক্রম করে নাইজারে চলে যাচ্ছেন। এই কালো আফ্রিকানরা লিবিয়ার ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের (এনটিসি) সেনাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মাহমুদ জিবরিল গত বৃহস্পতিবার ত্রিপোলিতে বলেন, ‘আমাদের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নিজেদের বিরুদ্ধে জেতা এবং ক্ষমা করার সক্ষমতা অর্জন।’
জিবরিল সতর্ক করে দিয়ে বলেন, গাদ্দাফির অনুগতরা এখনো বেশ কয়েকটি শহর নিয়ন্ত্রণ করছেন। তিনি বলেন, ‘গাদ্দাফির গ্রেপ্তার অথবা নির্মূলের’ মাধ্যমেই কেবল লিবিয়ার মুক্তি-অর্জন লড়াইয়ের শেষ হবে।
উল্লেখ্য, বনি ওয়ালিদ, জুফরা, সাবহা ও কর্নেল গাদ্দাফির জন্মস্থান সার্তে শহর এখনো গাদ্দাফির অনুগতদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বনি ওয়ালিদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন এনটিসির সেনারা। গত বৃহস্পতিবার গাদ্দাফির অনুগতরা সেখান থেকে রকেট হামলা চালান।
বনি ওয়ালিদে গাদ্দাফির অনুগতদের আত্মসমর্পণের জন্য আজ শনিবার পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
বনি ওয়ালিদের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেওয়া নিয়ে কয়েক দিন ধরে আলোচনা চলছে। শহরটিতে গাদ্দাফির মুখপাত্র মুসা ইব্রাহিমসহ সাবেক সরকারের কয়েকজন কর্মকর্তা আটকা পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জেনারেল আলী কানাসহ গাদ্দাফির ১৪ জন কর্মকর্তার একটি দল নাইজারের উত্তরাঞ্চলীয় শহর আগাদেজে অবস্থান করছেন। নাইজারের নিরাপত্তা সূত্রগুলো বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানায়।
সূত্রগুলো জানায়, ১৪ জনের এ দলে দুজন জেনারেলসহ চারজন শীর্ষ কর্মকর্তা রয়েছেন। আলী কানা ছাড়া অন্য জেনারেলের নাম জানা যায়নি। আগাদেজে গাদ্দাফির মালিকানাধীন একটি হোটেলে চার শীর্ষ কর্মকর্তা অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
ইন্টারপোল জানায়, আইসিসির কৌঁসুলি লুইস মরিনো-ওকাম্পো তাদের কাছে সহায়তা চাওয়ার এক দিন পরই তারা গাদ্দাফি ও তাঁর ছেলে সাইফ এবং গোয়েন্দাপ্রধান আবদুল্লাহ আল-সেনুশিকে গ্রেপ্তারে জরুরি পরোয়ানা (রেড নোটিশ) জারি করেছে। ইন্টারপোল এখন তার ১৮৮টি সদস্যদেশকে তাদের নিজস্ব জাতীয় আইন অনুযায়ী তাঁদের অবস্থান শনাক্ত এবং আটক করতে আইসিসিকে সহায়তা করার আহ্বান জানাচ্ছে।
অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে লিবিয়ার অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষ বলেছে, মুক্তির লড়াই এখনো শেষ হয়নি।
নাইজারের নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, মুয়াম্মার গাদ্দাফির ১৪ জন কর্মকর্তা নাইজারের উত্তরাঞ্চলীয় শহর আগাদেজে অবস্থান করছেন। আর চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশটি লিবিয়ার পুনর্গঠনে সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
গাদ্দাফির পতনের পর ত্রিপোলিতে দেওয়া প্রথম ভাষণে লিবিয়ার অন্তর্বর্তী মন্ত্রিসভার প্রধান মাহমুদ জিবরিল বলেন, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখনো রয়ে গেছে। গাদ্দাফির অবস্থান সম্পর্কে কোনো কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান মাহমুদ জিবরিল। এর আগে নাইজারে পালিয়ে যাওয়ার খবর অস্বীকার করেন গাদ্দাফি।
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিদিন শত শত কালো আফ্রিকান লিবিয়া থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। দ্য ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) জানায়, প্রতিদিন প্রায় ৩০০ কালো আফ্রিকান সীমান্ত অতিক্রম করে নাইজারে চলে যাচ্ছেন। এই কালো আফ্রিকানরা লিবিয়ার ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের (এনটিসি) সেনাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মাহমুদ জিবরিল গত বৃহস্পতিবার ত্রিপোলিতে বলেন, ‘আমাদের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নিজেদের বিরুদ্ধে জেতা এবং ক্ষমা করার সক্ষমতা অর্জন।’
জিবরিল সতর্ক করে দিয়ে বলেন, গাদ্দাফির অনুগতরা এখনো বেশ কয়েকটি শহর নিয়ন্ত্রণ করছেন। তিনি বলেন, ‘গাদ্দাফির গ্রেপ্তার অথবা নির্মূলের’ মাধ্যমেই কেবল লিবিয়ার মুক্তি-অর্জন লড়াইয়ের শেষ হবে।
উল্লেখ্য, বনি ওয়ালিদ, জুফরা, সাবহা ও কর্নেল গাদ্দাফির জন্মস্থান সার্তে শহর এখনো গাদ্দাফির অনুগতদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বনি ওয়ালিদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন এনটিসির সেনারা। গত বৃহস্পতিবার গাদ্দাফির অনুগতরা সেখান থেকে রকেট হামলা চালান।
বনি ওয়ালিদে গাদ্দাফির অনুগতদের আত্মসমর্পণের জন্য আজ শনিবার পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
বনি ওয়ালিদের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেওয়া নিয়ে কয়েক দিন ধরে আলোচনা চলছে। শহরটিতে গাদ্দাফির মুখপাত্র মুসা ইব্রাহিমসহ সাবেক সরকারের কয়েকজন কর্মকর্তা আটকা পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জেনারেল আলী কানাসহ গাদ্দাফির ১৪ জন কর্মকর্তার একটি দল নাইজারের উত্তরাঞ্চলীয় শহর আগাদেজে অবস্থান করছেন। নাইজারের নিরাপত্তা সূত্রগুলো বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানায়।
সূত্রগুলো জানায়, ১৪ জনের এ দলে দুজন জেনারেলসহ চারজন শীর্ষ কর্মকর্তা রয়েছেন। আলী কানা ছাড়া অন্য জেনারেলের নাম জানা যায়নি। আগাদেজে গাদ্দাফির মালিকানাধীন একটি হোটেলে চার শীর্ষ কর্মকর্তা অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
No comments