অর্থমন্ত্রীর স্বীকারোক্তি
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত স্বীকার করলেন, দুর্নীতির কারণে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ সম্পর্কে খারাপ ধারণা রয়েছে। কিন্তু ‘শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ’ হিসেবে আমাদের এ বৈশ্বিক পরিচিতির কলঙ্ক ঘোচাতে তাঁদের সরকার কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কি না, নিলে কোন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে, সে সম্পর্কে কিছু বলেননি। বাংলাদেশের মানুষ ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিপুল ভোটে জয়ী করেছিল যেসব কারণে, তার মধ্যে একটা ছিল এই যে, আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারে অঙ্গীকার করেছিল, ক্ষমতায় গেলে তারা দুর্নীতি দমনের অভিযান আরও জোরদার করবে, দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আরও শক্তিশালী করবে। কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখছি এর উল্টোটা: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুদক যেটুকু স্বাধীনতার সঙ্গে কাজ করতে পেরেছিল, এখন তা-ও পারছে না। দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমানের ভাষ্যের অনুসরণে বলা যায়: তথাকথিত এ স্বাধীন সংস্থাটিকে নখ-দন্তহীন করে ফেলা হয়েছে।
শনিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত তামেশু সিনোসুকার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষা ৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ পিছিয়ে যাচ্ছে ঋণদাতা দুটি সংস্থা বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মধ্যে মতদ্বৈধতার কারণে। মতদ্বৈধতার কারণ হচ্ছে দুর্নীতি। পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজটি পেতে চায় যেসব প্রতিষ্ঠান, তাদের মধ্যে কারা দুর্নীতিবাজ, কারা নয়—এ নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারছে না এ দুটি প্রতিষ্ঠান। বিশ্বব্যাংকের কালো তালিকায় যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম আছে, এডিবির কালো তালিকায় তাদের নাম নেই। আবার এডিবির কালো তালিকায় যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম আছে, বিশ্বব্যাংকের কালো তালিকায় তাদের নাম নেই। ফলে নির্মাণকাজের জন্য দরপত্র আহ্বানের কাজটা পড়ে গেছে জটিলতায়। অর্থমন্ত্রী জানাচ্ছেন, পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করতে সরকারের নিজের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু প্রস্তাবিত পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতি হতে পারে—এই আশঙ্কা থেকেই তো সংস্থা দুটির মধ্যে মতদ্বৈধতা দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন হলো, কীভাবে বিচার করা যাবে, কোন দাতা সংস্থার কালো তালিকা সঠিক, কোনটির বেঠিক? এ সমস্যার সমাধান কী?
অর্থমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী অক্টোবরের মধ্যে বিশ্বব্যাংক ও এডিবির মধ্যকার মতদ্বৈধ সমস্যাটির নিরসন হবে; কিন্তু কেমন করে হবে, আমরা তা বুঝতে পারছি না। কোন সংস্থা কোন কোন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকা থেকে সাদা তালিকায় পার করে দিয়ে দরপত্র দাখিলের যোগ্য করে তুলবে? কিসের ভিত্তিতে তারা তা করবে?
বিদেশিরা বলছে বলে নয়, বিদেশিদের তৈরি করা দুর্নীতির সূচকে আমরা শীর্ষ সারিতে অবস্থান করি বলে নয়, আমাদের সব সরকারি কাজে দুর্নীতির চর্চা কঠোরভাবে দমন করতে হবে এ দেশের জনগণের দিকে তাকিয়ে। পদ্মা সেতু নির্মাণের খরচ জোগাবে বাংলাদেশের জনগণ, ঋণদাতাদের ঋণ সুদে-আসলে পরিশোধও করতে হবে দরিদ্র এ জনগণকেই। সুতরাং সরকারের সব দায় চূড়ান্তভাবে জনগণের কাছেই। নির্বাচনী অঙ্গীকারের কথা ভুলে যাওয়া চলবে না। দুদককে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। সব বড় প্রকল্পের পরিপূর্ণ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত তামেশু সিনোসুকার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষা ৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ পিছিয়ে যাচ্ছে ঋণদাতা দুটি সংস্থা বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মধ্যে মতদ্বৈধতার কারণে। মতদ্বৈধতার কারণ হচ্ছে দুর্নীতি। পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজটি পেতে চায় যেসব প্রতিষ্ঠান, তাদের মধ্যে কারা দুর্নীতিবাজ, কারা নয়—এ নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারছে না এ দুটি প্রতিষ্ঠান। বিশ্বব্যাংকের কালো তালিকায় যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম আছে, এডিবির কালো তালিকায় তাদের নাম নেই। আবার এডিবির কালো তালিকায় যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম আছে, বিশ্বব্যাংকের কালো তালিকায় তাদের নাম নেই। ফলে নির্মাণকাজের জন্য দরপত্র আহ্বানের কাজটা পড়ে গেছে জটিলতায়। অর্থমন্ত্রী জানাচ্ছেন, পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করতে সরকারের নিজের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু প্রস্তাবিত পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতি হতে পারে—এই আশঙ্কা থেকেই তো সংস্থা দুটির মধ্যে মতদ্বৈধতা দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন হলো, কীভাবে বিচার করা যাবে, কোন দাতা সংস্থার কালো তালিকা সঠিক, কোনটির বেঠিক? এ সমস্যার সমাধান কী?
অর্থমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী অক্টোবরের মধ্যে বিশ্বব্যাংক ও এডিবির মধ্যকার মতদ্বৈধ সমস্যাটির নিরসন হবে; কিন্তু কেমন করে হবে, আমরা তা বুঝতে পারছি না। কোন সংস্থা কোন কোন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকা থেকে সাদা তালিকায় পার করে দিয়ে দরপত্র দাখিলের যোগ্য করে তুলবে? কিসের ভিত্তিতে তারা তা করবে?
বিদেশিরা বলছে বলে নয়, বিদেশিদের তৈরি করা দুর্নীতির সূচকে আমরা শীর্ষ সারিতে অবস্থান করি বলে নয়, আমাদের সব সরকারি কাজে দুর্নীতির চর্চা কঠোরভাবে দমন করতে হবে এ দেশের জনগণের দিকে তাকিয়ে। পদ্মা সেতু নির্মাণের খরচ জোগাবে বাংলাদেশের জনগণ, ঋণদাতাদের ঋণ সুদে-আসলে পরিশোধও করতে হবে দরিদ্র এ জনগণকেই। সুতরাং সরকারের সব দায় চূড়ান্তভাবে জনগণের কাছেই। নির্বাচনী অঙ্গীকারের কথা ভুলে যাওয়া চলবে না। দুদককে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। সব বড় প্রকল্পের পরিপূর্ণ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
No comments