নাদাল-জোকোভিচ ফাইনাল
এক পাশে স্পেন, অন্য পাশে সার্বিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের দর্শক আজ সমর্থন দেবে কাকে? ফর্ম, এক নম্বর তারকার মুকুট, বছরে দুটো গ্র্যান্ড স্লাম জয়—এসব বিবেচনায় নিলে নোভাক জোকোভিচ। আর ইউএস ওপেনের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন, এই বিবেচনায় রাফায়েল নাদাল। তবে সমর্থনের পাল্লাটা পরশু সেমিফাইনাল শেষে ভারী করে নিয়েছেন এই স্প্যানিয়ার্ড। গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন ৯/১১-এর এক দশক পূর্তিতে।
আজ ইউএস ওপেনের ফাইনালে স্বাগতিক দর্শকদের সমর্থন নাদালের খুবই দরকার। প্রতিপক্ষ হিসেবে যাঁকে পাচ্ছেন, সেই জোকোভিচের বিপক্ষে এ বছর পাঁচ ম্যাচের প্রতিটিতেই হেরেছেন। যে জোকোভিচ এই মৌসুমে ৬৫ ম্যাচের ৬৩টাই জিতেছেন। শুধু তা-ই নয়, এই জোকোভিচ পরশু সেমিফাইনালে রজার ফেদেরারের বিপক্ষে ম্যাচ জিতেছেন একেবারে খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে।
প্রথম দুটো সেট জিতে নিয়েছিলেন ফেদেরার। পরের দুটো সেটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান জোকোভিচ। কিন্তু পঞ্চম সেটে পিছিয়ে গিয়েছিলেন ৩-৫-এ। ম্যাচ পয়েন্টের জন্য সার্ভ করছিলেন ফেদেরার। একটা পয়েন্ট পেলেই ফাইনালে উঠে যেতেন। কিন্তু সেখান থেকে ব্রেক করে করে শেষ পর্যন্ত অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচটাই জিতে নেন জোকোভিচ। জেতেন ৬-৭ (৭/৯), ৪-৬, ৬-৩, ৬-২, ৭-৫ গেমে।
অন্য সেমিফাইনালে অবশ্য এতটা নাটক হয়নি। একটা সেট হারলেও নাদাল অনায়াসে ৬-৪, ৬-২, ৩-৬, ৬-২ গেমে হারিয়েছেন অ্যান্ডি মারেকে। ফলে আরও একটি মৌসুম কোনো গ্র্যান্ড স্লাম না জিতেই শেষ করতে হলো এই ব্রিটিশকে। তবে মারের পরাজয় নয়, সবাইকে ভাবাচ্ছে এভাবে জিততে জিততেও হেরে যাওয়া ফেদেরারের পরাজয়।
প্রথম দুটো সেট জেতা, পঞ্চম সেটে ম্যাচ পয়েন্টের জন্য সার্ভ করতে থাকা একটা খেলোয়াড় যখন হেরে যান; তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। সেসব প্রশ্ন আরও জোরালো হচ্ছে নামটা ফেদেরার বলেই। ২০১০ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পর এ নিয়ে টানা সাতটি গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টে কোনো শিরোপা জিততে পারলেন না। রেকর্ড ১৬টি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপার মালিক এই মৌসুমে কোনো টুর্নামেন্টই জিততে পারেননি। ২০০২ সালের পর এই প্রথম শিরোপা ছাড়াই একটা মৌসুম শেষ করতে হলো ফেদেরারকে।
স্বাভাবিকভাবেই এই জয়ের ফলে মানসিকভাবে এগিয়ে থাকবেন জোকোভিচ। প্রথম দুটো সেট হেরেও ম্যাচ জেতার দৃষ্টান্ত এমনিতেই খুব বেশি নেই গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টগুলোয়। তা ছাড়া আজ নাদালের বিপক্ষে তাঁকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে ইন্ডিয়ান ওয়েলস, মায়ামি, রোম, মাদ্রিদ আর গত উইম্বলডনে পাওয়া জয়ও। যদিও এই টুর্নামেন্টে নাদালকে মনে হয়েছে নিজের সেরা ফর্মে আছেন। নাদাল আত্মবিশ্বাসীও, ‘ওর বিপক্ষে এ বছর আমি আমার মানসিক পারফরম্যান্স নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নই। কারণ এমন অনেক মুহূর্ত এসেছে, যখন ঠিক শতভাগ মনে হয়নি আমি জিততে পারি। এটা অনেক বড় একটা সমস্যা। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখলে আপনি যেভাবে খেলবেন, বিশ্বাস না রাখতে পারলে সেভাবে খেলবেন না।’
নাদাল-জোকোভিচ ফাইনাল, ফেদেরারের পরাজয় এসব ছাপিয়েও কিন্তু আলোচনায় চলে আসছে সেরেনা উইলিয়ামসের আবার ফাইনালে ওঠা। ইনজুরির কারণে লম্বা ছুটি নিয়ে আবার টেনিসে ফেরা সেরেনা গতকাল ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন সামান্থা স্টোসুরের। গতকালই আবার ছিল ৯/১১-এর এক দশক পূর্তি। সেমিফাইনাল শেষে সেরেনা বলেছিলেন, টুইন টাওয়ারের বিমান হামলায় নিহতদের স্মরণেই এই ম্যাচটা খেলবেন তিনি।
আজ ইউএস ওপেনের ফাইনালে স্বাগতিক দর্শকদের সমর্থন নাদালের খুবই দরকার। প্রতিপক্ষ হিসেবে যাঁকে পাচ্ছেন, সেই জোকোভিচের বিপক্ষে এ বছর পাঁচ ম্যাচের প্রতিটিতেই হেরেছেন। যে জোকোভিচ এই মৌসুমে ৬৫ ম্যাচের ৬৩টাই জিতেছেন। শুধু তা-ই নয়, এই জোকোভিচ পরশু সেমিফাইনালে রজার ফেদেরারের বিপক্ষে ম্যাচ জিতেছেন একেবারে খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে।
প্রথম দুটো সেট জিতে নিয়েছিলেন ফেদেরার। পরের দুটো সেটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান জোকোভিচ। কিন্তু পঞ্চম সেটে পিছিয়ে গিয়েছিলেন ৩-৫-এ। ম্যাচ পয়েন্টের জন্য সার্ভ করছিলেন ফেদেরার। একটা পয়েন্ট পেলেই ফাইনালে উঠে যেতেন। কিন্তু সেখান থেকে ব্রেক করে করে শেষ পর্যন্ত অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচটাই জিতে নেন জোকোভিচ। জেতেন ৬-৭ (৭/৯), ৪-৬, ৬-৩, ৬-২, ৭-৫ গেমে।
অন্য সেমিফাইনালে অবশ্য এতটা নাটক হয়নি। একটা সেট হারলেও নাদাল অনায়াসে ৬-৪, ৬-২, ৩-৬, ৬-২ গেমে হারিয়েছেন অ্যান্ডি মারেকে। ফলে আরও একটি মৌসুম কোনো গ্র্যান্ড স্লাম না জিতেই শেষ করতে হলো এই ব্রিটিশকে। তবে মারের পরাজয় নয়, সবাইকে ভাবাচ্ছে এভাবে জিততে জিততেও হেরে যাওয়া ফেদেরারের পরাজয়।
প্রথম দুটো সেট জেতা, পঞ্চম সেটে ম্যাচ পয়েন্টের জন্য সার্ভ করতে থাকা একটা খেলোয়াড় যখন হেরে যান; তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। সেসব প্রশ্ন আরও জোরালো হচ্ছে নামটা ফেদেরার বলেই। ২০১০ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পর এ নিয়ে টানা সাতটি গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টে কোনো শিরোপা জিততে পারলেন না। রেকর্ড ১৬টি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপার মালিক এই মৌসুমে কোনো টুর্নামেন্টই জিততে পারেননি। ২০০২ সালের পর এই প্রথম শিরোপা ছাড়াই একটা মৌসুম শেষ করতে হলো ফেদেরারকে।
স্বাভাবিকভাবেই এই জয়ের ফলে মানসিকভাবে এগিয়ে থাকবেন জোকোভিচ। প্রথম দুটো সেট হেরেও ম্যাচ জেতার দৃষ্টান্ত এমনিতেই খুব বেশি নেই গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টগুলোয়। তা ছাড়া আজ নাদালের বিপক্ষে তাঁকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে ইন্ডিয়ান ওয়েলস, মায়ামি, রোম, মাদ্রিদ আর গত উইম্বলডনে পাওয়া জয়ও। যদিও এই টুর্নামেন্টে নাদালকে মনে হয়েছে নিজের সেরা ফর্মে আছেন। নাদাল আত্মবিশ্বাসীও, ‘ওর বিপক্ষে এ বছর আমি আমার মানসিক পারফরম্যান্স নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নই। কারণ এমন অনেক মুহূর্ত এসেছে, যখন ঠিক শতভাগ মনে হয়নি আমি জিততে পারি। এটা অনেক বড় একটা সমস্যা। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখলে আপনি যেভাবে খেলবেন, বিশ্বাস না রাখতে পারলে সেভাবে খেলবেন না।’
নাদাল-জোকোভিচ ফাইনাল, ফেদেরারের পরাজয় এসব ছাপিয়েও কিন্তু আলোচনায় চলে আসছে সেরেনা উইলিয়ামসের আবার ফাইনালে ওঠা। ইনজুরির কারণে লম্বা ছুটি নিয়ে আবার টেনিসে ফেরা সেরেনা গতকাল ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন সামান্থা স্টোসুরের। গতকালই আবার ছিল ৯/১১-এর এক দশক পূর্তি। সেমিফাইনাল শেষে সেরেনা বলেছিলেন, টুইন টাওয়ারের বিমান হামলায় নিহতদের স্মরণেই এই ম্যাচটা খেলবেন তিনি।
No comments