বাধ্যতামূলক জাতীয় পরিচয়পত্র
নির্বাচনে ভোট দেওয়ার বাইরেও জাতীয় পরিচয়পত্রের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নাগরিকদের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আমরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। তবে জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার আগে কিছু বিষয় নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মনে করি।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনের বর্তমান ধারা অনুযায়ী, বর্তমানে পরিচয়পত্র ব্যবহার বাধ্যতামূলক নয়। আইনে যেকোনো ধরনের সেবা বা নাগরিক সুবিধা পেতে পরিচয়পত্র প্রদর্শন ও অনুলিপি জমা দেওয়ার কথা বলা আছে। তবে সারা দেশের নাগরিকদের অনুকূলে পরিচয়পত্র প্রদানের আগ পর্যন্ত এর ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা যাবে না এবং এ জন্য কোনো নাগরিককে তাঁর অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। প্রশ্ন হচ্ছে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পরিচয়পত্রের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার আগে সব নাগরিককে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করা সম্ভব কি না। বিভিন্ন কারণে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন থেকে যারা বাদ পড়েছে, তাদের ক্ষেত্রে কী হবে?
এই প্রশ্নগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে চাই, জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করার আগে জাতীয় পরিচয়পত্রের নিবন্ধন থেকে যারা বাদ পড়েছে তাদের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ দিতে হবে। আইন অনুযায়ী প্রতিবছর নির্ধারিত সময়ে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনাও জরুরি।
আরও যে বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে তা হচ্ছে, বর্তমান জাতীয় পরিচয়পত্রের নিবন্ধনের সময় নাগরিকদের সম্পর্কে যে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, সেখানে অনেকের তথ্যে ভুলভ্রান্তি রয়েছে। নামের বানান, জন্মতারিখ বা ঠিকানা—এ ধরনের ক্ষেত্রেও ভুল তথ্য রয়েছে অনেক পরিচয়পত্রে। এসব ভুলত্রুটি সংশোধন করার আগে পরিচয়পত্র ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হলে যাচাই করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি দেখা দিতে পারে।
বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে, বিশেষ করে, সেবা বা বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সে অনুযায়ী অনলাইনে পরিচয়পত্র যাচাই ও নাগরিকদের সাধারণ তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ থাকবে। এ ছাড়া পুলিশও নাগরিকদের এই তথ্য জানার সুযোগ পাবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় বিধিবিধান তৈরির কাজও শেষ হয়েছে। আমরা এই উদ্যোগকে ইতিবাচক বলে মনে করি। পরিচয়পত্রের ব্যবহার বাধ্যতামূলক ও তা যাচাইয়ের কাজটি অনলাইনে করা গেলে অনেক ধরনের জালিয়াতি এড়ানো সম্ভব হবে, অপরাধপ্রবণতা দমনেও তা ভূমিকা পালন করবে। তবে এর আগের করণীয়গুলো অবশ্যই যথাযথভাবে করতে হবে।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনের বর্তমান ধারা অনুযায়ী, বর্তমানে পরিচয়পত্র ব্যবহার বাধ্যতামূলক নয়। আইনে যেকোনো ধরনের সেবা বা নাগরিক সুবিধা পেতে পরিচয়পত্র প্রদর্শন ও অনুলিপি জমা দেওয়ার কথা বলা আছে। তবে সারা দেশের নাগরিকদের অনুকূলে পরিচয়পত্র প্রদানের আগ পর্যন্ত এর ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা যাবে না এবং এ জন্য কোনো নাগরিককে তাঁর অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। প্রশ্ন হচ্ছে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পরিচয়পত্রের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার আগে সব নাগরিককে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করা সম্ভব কি না। বিভিন্ন কারণে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন থেকে যারা বাদ পড়েছে, তাদের ক্ষেত্রে কী হবে?
এই প্রশ্নগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে চাই, জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করার আগে জাতীয় পরিচয়পত্রের নিবন্ধন থেকে যারা বাদ পড়েছে তাদের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ দিতে হবে। আইন অনুযায়ী প্রতিবছর নির্ধারিত সময়ে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনাও জরুরি।
আরও যে বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে তা হচ্ছে, বর্তমান জাতীয় পরিচয়পত্রের নিবন্ধনের সময় নাগরিকদের সম্পর্কে যে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, সেখানে অনেকের তথ্যে ভুলভ্রান্তি রয়েছে। নামের বানান, জন্মতারিখ বা ঠিকানা—এ ধরনের ক্ষেত্রেও ভুল তথ্য রয়েছে অনেক পরিচয়পত্রে। এসব ভুলত্রুটি সংশোধন করার আগে পরিচয়পত্র ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হলে যাচাই করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি দেখা দিতে পারে।
বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে, বিশেষ করে, সেবা বা বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সে অনুযায়ী অনলাইনে পরিচয়পত্র যাচাই ও নাগরিকদের সাধারণ তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ থাকবে। এ ছাড়া পুলিশও নাগরিকদের এই তথ্য জানার সুযোগ পাবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় বিধিবিধান তৈরির কাজও শেষ হয়েছে। আমরা এই উদ্যোগকে ইতিবাচক বলে মনে করি। পরিচয়পত্রের ব্যবহার বাধ্যতামূলক ও তা যাচাইয়ের কাজটি অনলাইনে করা গেলে অনেক ধরনের জালিয়াতি এড়ানো সম্ভব হবে, অপরাধপ্রবণতা দমনেও তা ভূমিকা পালন করবে। তবে এর আগের করণীয়গুলো অবশ্যই যথাযথভাবে করতে হবে।
No comments