১০০ দিনে লিবিয়ায় ন্যাটোর পাঁচ হাজারবার হামলা
লিবিয়ায় সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর বেসামরিক লোকজনকে রক্ষার নামে সেখানে অভিযান শুরু করে পশ্চিমা দেশগুলো। পরে সেই অভিযানের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোর হতে। ন্যাটোর অভিযানের ১০০ দিন পূর্ণ হয়েছে গতকাল সোমবার। তাদের বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বহু লোক হতাহত হলেও দৃশ্যত কোনো সাফল্য এখনো পায়নি ন্যাটো বাহিনী।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ১৯৭৩ নম্বর প্রস্তাব পাস হওয়ার পর পরই গত ১৯ মার্চ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে প্রথম হামলা চালায় ফ্রান্সের জঙ্গি বিমান। শুরু হয় অপারেশন ওডিসি ডন। কিন্তু এর কয়েক দিনের মধ্যে পশ্চিমা দেশগুলো এই অভিযানের দায়িত্ব তুলে দেয় ন্যাটোর হাতে। তখন অভিযানের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘অপারেশন ইউনিফাইড প্রটেক্টর’।
এর পর থেকে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি ও এর আশপাশের এলাকা এবং পূর্বে ব্রেগা থেকে পশ্চিমে মিসরাতা পর্যন্ত এলাকায় এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজারবার হামলা চালিয়েছে ন্যাটো বাহিনী। অর্থাৎ গত ১০০ দিনে গড়ে প্রায় ৫০টি করে হামলা চালানো হয়েছে।
লিবিয়ার বেসামরিক লোকজনকে রক্ষার জন্য সেখানে অভিযানের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল নিরাপত্তা পরিষদের ১৯৭৩ নম্বর প্রস্তাবে। গাদ্দাফি বাহিনী যাতে বিদ্রোহীদের ওপর বিমান হামলা না চালাতে পারে, সে জন্য লিবিয়ার ওপর নো-ফ্লাই জোন আরোপ করে নিরাপত্তা পরিষদ। নো-ফ্লাই জোন বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় ন্যাটোকে।
কিন্তু গত ১০০ দিনের অভিযানে ন্যাটো বাহিনীর দৃশ্যত কোনো সাফল্য নেই, যদিও তারা সাফল্য দাবি করে। গাদ্দাফি বাহিনী এখনো যথারীতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। দুই পক্ষ সমানে লড়াই করে যাচ্ছে। এতে হতাহত হচ্ছে বেসামরিক লোকজন। একই সঙ্গে গাদ্দাফি বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের ওপর হামলার কথা বলে ন্যাটো বাহিনী যেসব বিমান হামলা চালাচ্ছে, তাতেও মারা যাচ্ছে অনেক বেসামরিক নিরপরাধ মানুষ।
এর পরও ন্যাটো কর্তৃপক্ষ তাদের অভিযানের সাফল্য দাবি করছে। সংস্থার মুখপাত্র ওয়ানা লুঙ্গেসকু বলেন, ‘তিন মাস আগে গাদ্দাফি বাহিনীর হামলার হুমকির মুখে ছিল বেনগাজি শহর। মিসরাতা শহর তারা অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। আর এখন সেখানে দেখুন, অবস্থার তুলনা করুন। গাদ্দাফি বাহিনী এখন আর ভয়াবহ কোনো হুমকি নয়, যদিও তারা টিকে আছে।’
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারিতে সংঘাত শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত লিবিয়ায় নিহত হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। দেশ ছেড়ে পালিয়েছে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ এবং দেশের মধ্যেই ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ।
কিন্তু এখনো পর্যন্ত লিবিয়ায় সংঘাত বন্ধের কোনো আশা দেখা যাচ্ছে না। আর এই দীর্ঘ অভিযান নিয়ে ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর মধ্যেও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ইতালিসহ কয়েকটি দেশ এখন চাইছে সেখানে যুদ্ধবিরতির ব্যবস্থা করা হোক।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ১৯৭৩ নম্বর প্রস্তাব পাস হওয়ার পর পরই গত ১৯ মার্চ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে প্রথম হামলা চালায় ফ্রান্সের জঙ্গি বিমান। শুরু হয় অপারেশন ওডিসি ডন। কিন্তু এর কয়েক দিনের মধ্যে পশ্চিমা দেশগুলো এই অভিযানের দায়িত্ব তুলে দেয় ন্যাটোর হাতে। তখন অভিযানের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘অপারেশন ইউনিফাইড প্রটেক্টর’।
এর পর থেকে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি ও এর আশপাশের এলাকা এবং পূর্বে ব্রেগা থেকে পশ্চিমে মিসরাতা পর্যন্ত এলাকায় এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজারবার হামলা চালিয়েছে ন্যাটো বাহিনী। অর্থাৎ গত ১০০ দিনে গড়ে প্রায় ৫০টি করে হামলা চালানো হয়েছে।
লিবিয়ার বেসামরিক লোকজনকে রক্ষার জন্য সেখানে অভিযানের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল নিরাপত্তা পরিষদের ১৯৭৩ নম্বর প্রস্তাবে। গাদ্দাফি বাহিনী যাতে বিদ্রোহীদের ওপর বিমান হামলা না চালাতে পারে, সে জন্য লিবিয়ার ওপর নো-ফ্লাই জোন আরোপ করে নিরাপত্তা পরিষদ। নো-ফ্লাই জোন বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় ন্যাটোকে।
কিন্তু গত ১০০ দিনের অভিযানে ন্যাটো বাহিনীর দৃশ্যত কোনো সাফল্য নেই, যদিও তারা সাফল্য দাবি করে। গাদ্দাফি বাহিনী এখনো যথারীতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। দুই পক্ষ সমানে লড়াই করে যাচ্ছে। এতে হতাহত হচ্ছে বেসামরিক লোকজন। একই সঙ্গে গাদ্দাফি বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের ওপর হামলার কথা বলে ন্যাটো বাহিনী যেসব বিমান হামলা চালাচ্ছে, তাতেও মারা যাচ্ছে অনেক বেসামরিক নিরপরাধ মানুষ।
এর পরও ন্যাটো কর্তৃপক্ষ তাদের অভিযানের সাফল্য দাবি করছে। সংস্থার মুখপাত্র ওয়ানা লুঙ্গেসকু বলেন, ‘তিন মাস আগে গাদ্দাফি বাহিনীর হামলার হুমকির মুখে ছিল বেনগাজি শহর। মিসরাতা শহর তারা অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। আর এখন সেখানে দেখুন, অবস্থার তুলনা করুন। গাদ্দাফি বাহিনী এখন আর ভয়াবহ কোনো হুমকি নয়, যদিও তারা টিকে আছে।’
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারিতে সংঘাত শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত লিবিয়ায় নিহত হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। দেশ ছেড়ে পালিয়েছে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ এবং দেশের মধ্যেই ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ।
কিন্তু এখনো পর্যন্ত লিবিয়ায় সংঘাত বন্ধের কোনো আশা দেখা যাচ্ছে না। আর এই দীর্ঘ অভিযান নিয়ে ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর মধ্যেও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ইতালিসহ কয়েকটি দেশ এখন চাইছে সেখানে যুদ্ধবিরতির ব্যবস্থা করা হোক।
No comments