অর্থবছরের ১১ মাসে লক্ষ্যমাত্রার ৮৯ শতাংশ কৃষিঋণ বিতরণ
চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) যে পরিমাণ কৃষিঋণ বিতরণ করা হয়েছে, তা বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার প্রায় সাড়ে ৮৯ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে ব্যাংকগুলো সামগ্রিকভাবে ১১ হাজার ২১০ কোটি ৩২ লাখ টাকা কৃষিঋণ হিসেবে বিতরণ করেছে। আর ২০০৯-১০ অর্থবছরের একই সময়ে বিতরণ করা কৃষিঋণের পরিমাণ ছিল নয় হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা।
অর্থাৎ গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে কৃষিঋণ বিতরণে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় সাড়ে ১৩ শতাংশ।
এ থেকে প্রতীয়মান হয়, কৃষিঋণ বিতরণের গতিময়তা খুব বাড়েনি। ফেব্রুয়ারি মাসে ৮৭৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকার কৃষিঋণ বিতরণের পর মার্চ মাসে তা বেড়ে হয় এক হাজার ১৬৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। তবে এপ্রিল মাসে তা সামান্য কমে হয় এক হাজার ১২৬ কোটি টাকা। আর মে মাসে তা আরও কমে হয়েছে ৯২৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
অর্থবছরের ১১ মাসে লক্ষ্যমাত্রার ৮৯ শতাংশ ঋণ বিতরণ হওয়ায় বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে শেষ মাসে বাকি ১১ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে হবে। এবার কৃষিঋণ বিতরণের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা ১২ হাজার ৬১৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা, সেহেতু অর্থবছরের শেষ মাসে এক হাজার ৪০৭ কোটি টাকা বিতরণ করতে হবে।
এ থেকে ধারণা করা যায় যে শেষ পর্যন্ত চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরে কৃষিঋণ বিতরণের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না। তবে মোট বিতরণ লক্ষ্যমাত্রার খুব কাছাকাছি থাকবে।
আবার চলতি অর্থবছর ১১ মাসে বিতরণ করা কৃষিঋণ গত অর্থবছরের বিতরণ করা ঋণের চেয়ে দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি। ২০০৯-১০ অর্থবছরে কৃষিঋণ বাবদ ১১ হাজার ১১৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছিল। আর গত অর্থবছর কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ হাজার ৫১২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, সাম্প্রতিককালে শুধু ২০০৭-০৮ ও ২০০৮-০৯ অর্থবছরে কৃষিঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, ১১ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কৃষিঋণ বিতরণ করা হয়েছে ডিসেম্বর মাসে, যার পরিমাণ এক হাজার ৫০৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। আর সবচেয়ে কম কৃষিঋণ বিতরণ করা হয়েছে আগস্ট মাসে, যার পরিমাণ ৬৬৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংক কৃষিঋণ বিতরণে গতিশীলতা বাড়ানোর জন্য অনেক দিন ধরেই নানা ধরনের নির্দেশনা দিয়ে আসছে। কৃষকদের কাছে ব্যাংকিং সেবা সহজে পৌঁছে দিতে ৯০ লাখের বেশি ব্যাংক হিসাব খোলা হয়েছে।
সরকার ২০১১-১২ অর্থবছরে ১৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তাঁর বাজেট বক্তৃতায় এ তথ্য উল্লেখ করেছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে বকেয়া কৃষিঋণ আদায়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৯২০ কোটি ১২ লাখ টাকা। আর ২০০৯-১০ অর্থবছরের একই সময়ে আদায় করা বকেয়া ঋণের পরিমাণ ছিল নয় হাজার ৪১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
অর্থাৎ গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে বকেয়া কৃষিঋণ আদায় বেড়েছে ২০ শতাংশ।
এই সময়কালের মধ্যে মার্চ মাসে সর্বোচ্চ এক হাজার ৪৬৮ কোটি ৬১ লাখ টাকার বকেয়া কৃষিঋণ আদায় করা হয়েছে। আর জানুয়ারি মাসে সর্বনিম্ন ৬১০ কোটি ৭৩ লাখ টাকার কৃষিঋণ আদায় করা হয়েছে।
এতে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে ব্যাংকগুলো সামগ্রিকভাবে ১১ হাজার ২১০ কোটি ৩২ লাখ টাকা কৃষিঋণ হিসেবে বিতরণ করেছে। আর ২০০৯-১০ অর্থবছরের একই সময়ে বিতরণ করা কৃষিঋণের পরিমাণ ছিল নয় হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা।
অর্থাৎ গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে কৃষিঋণ বিতরণে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় সাড়ে ১৩ শতাংশ।
এ থেকে প্রতীয়মান হয়, কৃষিঋণ বিতরণের গতিময়তা খুব বাড়েনি। ফেব্রুয়ারি মাসে ৮৭৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকার কৃষিঋণ বিতরণের পর মার্চ মাসে তা বেড়ে হয় এক হাজার ১৬৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। তবে এপ্রিল মাসে তা সামান্য কমে হয় এক হাজার ১২৬ কোটি টাকা। আর মে মাসে তা আরও কমে হয়েছে ৯২৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
অর্থবছরের ১১ মাসে লক্ষ্যমাত্রার ৮৯ শতাংশ ঋণ বিতরণ হওয়ায় বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে শেষ মাসে বাকি ১১ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে হবে। এবার কৃষিঋণ বিতরণের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা ১২ হাজার ৬১৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা, সেহেতু অর্থবছরের শেষ মাসে এক হাজার ৪০৭ কোটি টাকা বিতরণ করতে হবে।
এ থেকে ধারণা করা যায় যে শেষ পর্যন্ত চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরে কৃষিঋণ বিতরণের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না। তবে মোট বিতরণ লক্ষ্যমাত্রার খুব কাছাকাছি থাকবে।
আবার চলতি অর্থবছর ১১ মাসে বিতরণ করা কৃষিঋণ গত অর্থবছরের বিতরণ করা ঋণের চেয়ে দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি। ২০০৯-১০ অর্থবছরে কৃষিঋণ বাবদ ১১ হাজার ১১৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছিল। আর গত অর্থবছর কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ হাজার ৫১২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, সাম্প্রতিককালে শুধু ২০০৭-০৮ ও ২০০৮-০৯ অর্থবছরে কৃষিঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, ১১ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কৃষিঋণ বিতরণ করা হয়েছে ডিসেম্বর মাসে, যার পরিমাণ এক হাজার ৫০৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। আর সবচেয়ে কম কৃষিঋণ বিতরণ করা হয়েছে আগস্ট মাসে, যার পরিমাণ ৬৬৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংক কৃষিঋণ বিতরণে গতিশীলতা বাড়ানোর জন্য অনেক দিন ধরেই নানা ধরনের নির্দেশনা দিয়ে আসছে। কৃষকদের কাছে ব্যাংকিং সেবা সহজে পৌঁছে দিতে ৯০ লাখের বেশি ব্যাংক হিসাব খোলা হয়েছে।
সরকার ২০১১-১২ অর্থবছরে ১৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তাঁর বাজেট বক্তৃতায় এ তথ্য উল্লেখ করেছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে বকেয়া কৃষিঋণ আদায়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৯২০ কোটি ১২ লাখ টাকা। আর ২০০৯-১০ অর্থবছরের একই সময়ে আদায় করা বকেয়া ঋণের পরিমাণ ছিল নয় হাজার ৪১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
অর্থাৎ গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে বকেয়া কৃষিঋণ আদায় বেড়েছে ২০ শতাংশ।
এই সময়কালের মধ্যে মার্চ মাসে সর্বোচ্চ এক হাজার ৪৬৮ কোটি ৬১ লাখ টাকার বকেয়া কৃষিঋণ আদায় করা হয়েছে। আর জানুয়ারি মাসে সর্বনিম্ন ৬১০ কোটি ৭৩ লাখ টাকার কৃষিঋণ আদায় করা হয়েছে।
No comments