‘সংকট উত্তরণে’ সিরিয়ায় ভিন্নমতাবলম্বীদের বৈঠক
সিরিয়ার চলমান সংকট নিরসনের উপায় খুঁজতে সে দেশের প্রায় ১৫০ জন ভিন্নমতাবলম্বী বৈঠক করেছেন। গতকাল সোমবার ঘোষণা দিয়ে রাজধানী দামেস্কের একটি হোটেলে তাঁরা আলোচনায় বসেন। পাঁচ দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা বাথ পার্টির শাসনামলে এই প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে ভিন্নমতাবলম্বীদের বৈঠক হলো।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বৈঠকে যাঁরা অংশ নিয়েছেন, তাঁদের সবাই ভিন্নমতাবলম্বী ও সরকারের কট্টর সমালোচক, তবে তাঁদের কেউ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন।
সিরিয়ার জাতীয় সংগীত গেয়ে তাঁরা বৈঠকের সূচনা করেন। এ ছাড়া গত মার্চ থেকে শুরু হওয়া সরকারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ হওয়া সামরিক ও বেসামরিক লোকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাঁরা এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান লিগ ফর হিউম্যান রাইটসের সভাপতি আবদেল করিম রিহাবি বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় হিসেবে একটি জাতীয় কৌশলনীতির সূত্রপাত করতেই আমরা বৈঠকে বসতে যাচ্ছি।’ তিনি বলেন, রাজপথে যারা বিক্ষোভ করছে তাদের পক্ষ নিয়ে কথা বলা এ বৈঠকের উদ্দেশ্য নয়।
সরকারের সমালোচনা করার কারণে পাঁচ বছর জেল খেটে আসা মানবাধিকারকর্মী আনওয়ার বুন্নি বলেছেন, আগেভাগে ঘোষণা দিয়ে এ ধরনের বৈঠক করার ঘটনা সিরিয়াতে এটাই প্রথম।
এ বৈঠকের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়নি। তবে বৈঠকে সরকার কোনো রকম বাধা না দেওয়ায় এতে সরকারের মৌন সম্মতি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আনওয়ার বুন্নি বলেন, জনগণকে যদি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করতে দেওয়া হয়, রাজনৈতিক বন্দীদের যদি মুক্তি দেওয়া হয় এবং বিরোধীদের মেনে নিয়ে বিক্ষোভ থামাতে যদি বল প্রয়োগ না করা হয়, তাহলে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের প্রস্তাবিত ‘জাতীয় সংলাপ’ মেনে নেওয়া ও তাতে সরকারবিরোধীদের যোগ দেওয়া উচিত।
প্রেসিডেন্ট আসাদ গত ২০ জুন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে নতুন সংবিধানের সূচনা হতে পারে, এমনকি ক্ষমতাসীন বাথ পার্টির একতরফা ক্ষমতা গ্রহণেরও অবসান হতে পারে। আসাদ বলেছেন, বিশৃঙ্খলার মধ্যে তিনি কোনো সংস্কার করতে রাজি নন। তবে বিরোধীদের পক্ষ থেকে ওই দিনই ঘোষণা করা হয়, আসাদ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কোনো সংলাপেই তাঁরা অংশ নেবেন না।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দমন অভিযানের মুখে ইতিমধ্যে ১১ হাজার সিরিয়ার পার্শ্ববর্তী দেশ তুরস্কে এবং কয়েক শ লোক লেবাননে পালিয়ে গেছে। লেবাননে অবস্থানরত বিবিসির সাংবাদিক জিম ম্যুর বলেছেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের অনেকেই ভাবছেন, একদিকে যখন সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন চলছে, তখন ভিন্নমতাবলম্বীদের এ বৈঠক সরকারি দমন-পীড়নকে বৈধতা এনে দিতে পারে।
সিরিয়ার টেলিভিশন চ্যানেল বারাদা টিভির সম্পাদক মালিক আল আবদেহ্ বিবিসির ওয়ার্ল্ড টুডে অনুষ্ঠানে বলেছেন, এ ধরনের বৈঠকে সরকার অবশ্যই খুশি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যাঁরা বৈঠকে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে মাত্র তিন-চারজন জেল খেটেছেন। বাকিদের কেউই সরকারবিরোধী বলে স্বীকৃত ও পরিচিত নন। সুতরাং এটাকে বিরোধীদের বৈঠক বলা যাবে না। এটাকে বড়জোর সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের আলোচনা বলা যেতে পারে।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বৈঠকে যাঁরা অংশ নিয়েছেন, তাঁদের সবাই ভিন্নমতাবলম্বী ও সরকারের কট্টর সমালোচক, তবে তাঁদের কেউ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন।
সিরিয়ার জাতীয় সংগীত গেয়ে তাঁরা বৈঠকের সূচনা করেন। এ ছাড়া গত মার্চ থেকে শুরু হওয়া সরকারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ হওয়া সামরিক ও বেসামরিক লোকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাঁরা এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান লিগ ফর হিউম্যান রাইটসের সভাপতি আবদেল করিম রিহাবি বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় হিসেবে একটি জাতীয় কৌশলনীতির সূত্রপাত করতেই আমরা বৈঠকে বসতে যাচ্ছি।’ তিনি বলেন, রাজপথে যারা বিক্ষোভ করছে তাদের পক্ষ নিয়ে কথা বলা এ বৈঠকের উদ্দেশ্য নয়।
সরকারের সমালোচনা করার কারণে পাঁচ বছর জেল খেটে আসা মানবাধিকারকর্মী আনওয়ার বুন্নি বলেছেন, আগেভাগে ঘোষণা দিয়ে এ ধরনের বৈঠক করার ঘটনা সিরিয়াতে এটাই প্রথম।
এ বৈঠকের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়নি। তবে বৈঠকে সরকার কোনো রকম বাধা না দেওয়ায় এতে সরকারের মৌন সম্মতি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আনওয়ার বুন্নি বলেন, জনগণকে যদি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করতে দেওয়া হয়, রাজনৈতিক বন্দীদের যদি মুক্তি দেওয়া হয় এবং বিরোধীদের মেনে নিয়ে বিক্ষোভ থামাতে যদি বল প্রয়োগ না করা হয়, তাহলে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের প্রস্তাবিত ‘জাতীয় সংলাপ’ মেনে নেওয়া ও তাতে সরকারবিরোধীদের যোগ দেওয়া উচিত।
প্রেসিডেন্ট আসাদ গত ২০ জুন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে নতুন সংবিধানের সূচনা হতে পারে, এমনকি ক্ষমতাসীন বাথ পার্টির একতরফা ক্ষমতা গ্রহণেরও অবসান হতে পারে। আসাদ বলেছেন, বিশৃঙ্খলার মধ্যে তিনি কোনো সংস্কার করতে রাজি নন। তবে বিরোধীদের পক্ষ থেকে ওই দিনই ঘোষণা করা হয়, আসাদ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কোনো সংলাপেই তাঁরা অংশ নেবেন না।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দমন অভিযানের মুখে ইতিমধ্যে ১১ হাজার সিরিয়ার পার্শ্ববর্তী দেশ তুরস্কে এবং কয়েক শ লোক লেবাননে পালিয়ে গেছে। লেবাননে অবস্থানরত বিবিসির সাংবাদিক জিম ম্যুর বলেছেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের অনেকেই ভাবছেন, একদিকে যখন সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন চলছে, তখন ভিন্নমতাবলম্বীদের এ বৈঠক সরকারি দমন-পীড়নকে বৈধতা এনে দিতে পারে।
সিরিয়ার টেলিভিশন চ্যানেল বারাদা টিভির সম্পাদক মালিক আল আবদেহ্ বিবিসির ওয়ার্ল্ড টুডে অনুষ্ঠানে বলেছেন, এ ধরনের বৈঠকে সরকার অবশ্যই খুশি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যাঁরা বৈঠকে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে মাত্র তিন-চারজন জেল খেটেছেন। বাকিদের কেউই সরকারবিরোধী বলে স্বীকৃত ও পরিচিত নন। সুতরাং এটাকে বিরোধীদের বৈঠক বলা যাবে না। এটাকে বড়জোর সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের আলোচনা বলা যেতে পারে।
No comments