আলোচনার বাইরে থাকতে রাজি গাদ্দাফি
লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি দেশটিতে চার মাসব্যাপী সংঘাত নিরসনে আলোচনার বাইরে থাকতে রাজি হয়েছেন। আফ্রিকান ইউনিয়নের (এইউ) নেতারা দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী প্রিটোরিয়ায় গতকাল রোববার এক বৈঠকের পর এ কথা জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় গাদ্দাফির বাহিনী ও তাঁর শাসনের বিরোধিতাকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের অবসানের লক্ষ্যে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
কঙ্গো, মালি, মৌরিতানিয়া ও উগান্ডার রাষ্ট্রপ্রধানেরা বৈঠকে অংশ নেন। এতে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা।
বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে এইউ নেতারা বলেন, এইউর উচ্চপর্যায়ের অ্যাডহক কমিটি সমঝোতা প্রক্রিয়ার বাইরে থাকতে রাজি হওয়ায় গাদ্দাফিকে অভিনন্দন জানায়।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা বলেছেন, সামরিক জোট ন্যাটো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের কথা বলে লিবিয়ায় হামলাকে জায়েজ করতে চাইছে। কিন্তু ওই প্রস্তাবে লিবিয়ায় ‘সরকার পরিবর্তন বা গাদ্দাফিকে হত্যার’ কথা বলা হয়নি।
গতকাল রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায় এ কথা বলেন প্রেসিডেন্ট জুমা। চার মাস ধরে চলা লিবিয়া-সংকটের সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে প্রিটোরিয়ায় আলোচনা করেন আফ্রিকান ইউনিয়নের (এইউ) নেতারা।
এর আগে লিবিয়ার বিদ্রোহী নেতারা জানান, তাঁরা আশা করছেন, গাদ্দাফি চলমান সংকট সমাধানের লক্ষ্যে ‘শিগগিরই’ নতুন প্রস্তাব পাঠাবেন।
ফ্রান্স ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যস্থতায় বিরোধীদের কাছে একটি নতুন সমঝোতা প্রস্তাব পাঠানোর কথা রয়েছে গাদ্দাফির। তবে এতে তাঁর পদত্যাগের বিষয়টি থাকবে কি না, সে সম্পর্কে কোনো আভাস পাওয়া যায়নি।
প্রেসিডেন্ট জুমা একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে ছাড় দেওয়ার জন্য লিবিয়ার নেতা গাদ্দাফি এবং বিদ্রোহীদের গঠিত ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের (এনটিসি) নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যুদ্ধে লিবিয়ার বেসামরিক জনগণ নিহত হচ্ছে, অবকাঠামো ধ্বংস হচ্ছে। যুদ্ধের কারণে পুরো অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
এইউ নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার আলোচনায় প্রেসিডেন্ট জুমা আরও বলেন, লিবিয়া-সংকটের সমাধান রাজনৈতিকভাবেই হতে হবে এবং এটা লিবিয়ার জনগণের হাতেই রয়েছে। লিবিয়া কর্তৃপক্ষ ও এনটিসিকে আরও সাহসী হয়ে কাজ করতে হবে। সংকট সমাধানে নেতৃত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, লিবিয়ার জনগণ যত দ্রুত সম্ভব এ দ্বন্দ্বের শেষ দেখতে চায়। তারা দেখতে চায়, গণতান্ত্রিক একটি প্রক্রিয়ার সূচনা।
ন্যাটো ও এর মিত্র দেশগুলোর লিবিয়া অভিযানের সমালোচনা করে প্রেসিডেন্ট জুমা বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে লিবিয়ার বেসামরিক জনগণকে রক্ষার কথা বলা হয়েছে। তাদের মানবিক সহায়তা দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে কোনোভাবেই লিবিয়ার সরকার পরিবর্তন বা রাজনৈতিক হত্যার বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
গত শনিবার এনটিসির ভাইস চেয়ারম্যান আবদেল হাফিজ ঘোগা বলেন, ‘আমরা লিবিয়ার জনগণের জীবন রক্ষা করতে চাই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বর্তমান সংকটের সমাধান চাই।
সেনা-বিদ্রোহীসংঘর্ষ: লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ইয়াফরেন শহরে গতকালগাদ্দাফির অনুগত বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী সেনাদের সংঘর্ষ হয়েছে।
লিবিয়ায় গাদ্দাফির বাহিনী ও তাঁর শাসনের বিরোধিতাকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের অবসানের লক্ষ্যে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
কঙ্গো, মালি, মৌরিতানিয়া ও উগান্ডার রাষ্ট্রপ্রধানেরা বৈঠকে অংশ নেন। এতে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা।
বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে এইউ নেতারা বলেন, এইউর উচ্চপর্যায়ের অ্যাডহক কমিটি সমঝোতা প্রক্রিয়ার বাইরে থাকতে রাজি হওয়ায় গাদ্দাফিকে অভিনন্দন জানায়।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা বলেছেন, সামরিক জোট ন্যাটো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের কথা বলে লিবিয়ায় হামলাকে জায়েজ করতে চাইছে। কিন্তু ওই প্রস্তাবে লিবিয়ায় ‘সরকার পরিবর্তন বা গাদ্দাফিকে হত্যার’ কথা বলা হয়নি।
গতকাল রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায় এ কথা বলেন প্রেসিডেন্ট জুমা। চার মাস ধরে চলা লিবিয়া-সংকটের সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে প্রিটোরিয়ায় আলোচনা করেন আফ্রিকান ইউনিয়নের (এইউ) নেতারা।
এর আগে লিবিয়ার বিদ্রোহী নেতারা জানান, তাঁরা আশা করছেন, গাদ্দাফি চলমান সংকট সমাধানের লক্ষ্যে ‘শিগগিরই’ নতুন প্রস্তাব পাঠাবেন।
ফ্রান্স ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যস্থতায় বিরোধীদের কাছে একটি নতুন সমঝোতা প্রস্তাব পাঠানোর কথা রয়েছে গাদ্দাফির। তবে এতে তাঁর পদত্যাগের বিষয়টি থাকবে কি না, সে সম্পর্কে কোনো আভাস পাওয়া যায়নি।
প্রেসিডেন্ট জুমা একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে ছাড় দেওয়ার জন্য লিবিয়ার নেতা গাদ্দাফি এবং বিদ্রোহীদের গঠিত ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের (এনটিসি) নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যুদ্ধে লিবিয়ার বেসামরিক জনগণ নিহত হচ্ছে, অবকাঠামো ধ্বংস হচ্ছে। যুদ্ধের কারণে পুরো অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
এইউ নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার আলোচনায় প্রেসিডেন্ট জুমা আরও বলেন, লিবিয়া-সংকটের সমাধান রাজনৈতিকভাবেই হতে হবে এবং এটা লিবিয়ার জনগণের হাতেই রয়েছে। লিবিয়া কর্তৃপক্ষ ও এনটিসিকে আরও সাহসী হয়ে কাজ করতে হবে। সংকট সমাধানে নেতৃত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, লিবিয়ার জনগণ যত দ্রুত সম্ভব এ দ্বন্দ্বের শেষ দেখতে চায়। তারা দেখতে চায়, গণতান্ত্রিক একটি প্রক্রিয়ার সূচনা।
ন্যাটো ও এর মিত্র দেশগুলোর লিবিয়া অভিযানের সমালোচনা করে প্রেসিডেন্ট জুমা বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে লিবিয়ার বেসামরিক জনগণকে রক্ষার কথা বলা হয়েছে। তাদের মানবিক সহায়তা দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে কোনোভাবেই লিবিয়ার সরকার পরিবর্তন বা রাজনৈতিক হত্যার বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
গত শনিবার এনটিসির ভাইস চেয়ারম্যান আবদেল হাফিজ ঘোগা বলেন, ‘আমরা লিবিয়ার জনগণের জীবন রক্ষা করতে চাই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বর্তমান সংকটের সমাধান চাই।
সেনা-বিদ্রোহীসংঘর্ষ: লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ইয়াফরেন শহরে গতকালগাদ্দাফির অনুগত বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী সেনাদের সংঘর্ষ হয়েছে।
No comments