চট্টগ্রামে ফুটবল-হতাশা
মোহামেডান—প্রথম ‘বি’ লিগে ষষ্ঠ, দ্বিতীয়বার পঞ্চম, ২০০৯ সালের তৃতীয় আসরে নবম স্থান।
আবাহনী—প্রথম দুই আসরে নবম ও তৃতীয় আসরে একাদশ স্থানে থেকে কোনোক্রমে অস্তিত্ব রক্ষা।
ক্রমেই নিচে নামতে থাকা চট্টগ্রামের এই দল দুটি এবার বাংলাদেশ লিগ থেকে অবনমিত। দাপটের সঙ্গে ‘বি’ লিগ শুরু করার পর চতুর্থ আসরেই চট্টগ্রামের মুছে যাওয়া দেখে হতাশ স্থানীয় ফুটবল অঙ্গন। কণ্ঠে ক্ষোভ ও হতাশা ঢেলে চট্টগ্রাম মোহামেডানের সাবেক কোচ নজরুল ইসলাম (লেদু) বললেন, ‘এখানে কোচের চেয়ে কর্মকর্তা বড়।’ দলটির বর্তমান অধিনায়ক ফরহাদেরই যেন প্রতিধ্বনি।
নজরুল ইসলাম ২০০৩ সাল থেকে চট্টগ্রাম মোহামেডানের দায়িত্ব নিয়ে স্থানীয় লিগে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন করে তোলেন। ‘বি’ লিগে দুই বছর সাফল্যের সঙ্গেই দলকে টেনে নিয়ে তৃতীয় আসরের শুরুতে হন বরখাস্ত।
তিনি বলেন, ‘ চট্টগ্রামের ফুটবল ঐতিহ্য হারিয়ে ঘরে ফিরে এসেছে। স্থানীয় লিগে খেলা খেলোয়াড়েরা ঢাকার ক্লাবের দৃষ্টি কাড়তে পারবে না। ফলে জাতীয় দলে স্থানীয় খেলোয়াড়দের প্রতিনিধিত্ব কমে যাবে।’
বর্তমানে মামুন ও ইউসুফ জাতীয় দলে চট্টগ্রামের ঝান্ডা কোনো রকম টিকিয়ে রেখেছেন। অথচ এঁদের পূর্বসূরিদের মিছিলটা ছিল বড় ও উজ্জ্বল আরমান আজিজ, জাহিদ পারভেজ, আসাদ, মতিউর মুন্না, ফরহাদ, টিপু , খসরু, মান্নান, এফ আই কামাল, পান্না নন্দী। সবচেয়ে ঔজ্জ্বল্য ছড়িয়েছেন আশীষ ভদ্র।
এবারের ফলাফলে আশীষও হতাশ। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক বললেন, ‘চট্টগ্রামের ফুটবল আরও খারাপ হবে। যোগ্য লোক নেই। চেয়ার দখলে রাখা লোকেদের ফুটবলের উন্নয়নে মন নেই। যেনতেনভাবে একটি লিগ শেষ করার চিন্তা সবার মধ্যে। এভাবে ফুটবলার উঠবে না।’
বড় দুই দলের এই হতাশার মধ্যে আজ থেকেই চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে নতুন ফুটবল মৌসুম। শুরু দ্বিতীয় বিভাগ দিয়ে। এরপর পর্যায়ক্রমে চলবে দ্বিতীয় বিভাগ সুপার লিগ ও প্রিমিয়ার লিগ। কিন্তু দলগুলো কতটা প্রস্তুত হয়ে নামছে? বাংলাদেশ লিগে খেলা আবাহনী ও মোহামেডানের মতো নয়তো!
এবার বাংলাদেশ লিগের শুরু থেকেই দল দুটির সংকট চলছিল। আবাহনীর নিয়মিত কোচ আবুল কাশেম মাঝপথে ইস্তফা দেন। মোহামেডানের অনুশীলনও ছিল অনিয়মিত।
মোহামেডানের ম্যানেজার মোহাম্মদ ইউসুফ বিষয়টি অস্বীকার করেননি, ‘আমাদের টাকার সমস্যা ছিল। কর্মকর্তারা আগের মতো উদ্যমী ছিলেন না। আমি আর শামীম ভাই (সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন শামীম) ছাড়া আর কেউ মাঠে ছিল না। টাকার কারণে প্র্যাকটিসও ঠিকমতো হয়নি।’
পেশাদার লিগে আগের আসরগুলোয় চট্টগ্রামের দুই দল বিশেষ করে মোহামেডানকে ঘিরে কর্মকর্তা ও সমর্থকদের ভিড় থাকত। কিন্তু এবার ছিল ভিন্ন চেহারা। তবে ইউসুফ তাদের কয়েকজন বিদেশি খেলোয়াড় ও লিগের পাতানো খেলাকেও দুষেছেন।
আবাহনীর পরবর্তী কোচ সাইফুল আলম মনে করেন, ফুটবল কমিটির দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়হীনতার কারণে দলের অবনমন হয়েছে।
আবাহনী—প্রথম দুই আসরে নবম ও তৃতীয় আসরে একাদশ স্থানে থেকে কোনোক্রমে অস্তিত্ব রক্ষা।
ক্রমেই নিচে নামতে থাকা চট্টগ্রামের এই দল দুটি এবার বাংলাদেশ লিগ থেকে অবনমিত। দাপটের সঙ্গে ‘বি’ লিগ শুরু করার পর চতুর্থ আসরেই চট্টগ্রামের মুছে যাওয়া দেখে হতাশ স্থানীয় ফুটবল অঙ্গন। কণ্ঠে ক্ষোভ ও হতাশা ঢেলে চট্টগ্রাম মোহামেডানের সাবেক কোচ নজরুল ইসলাম (লেদু) বললেন, ‘এখানে কোচের চেয়ে কর্মকর্তা বড়।’ দলটির বর্তমান অধিনায়ক ফরহাদেরই যেন প্রতিধ্বনি।
নজরুল ইসলাম ২০০৩ সাল থেকে চট্টগ্রাম মোহামেডানের দায়িত্ব নিয়ে স্থানীয় লিগে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন করে তোলেন। ‘বি’ লিগে দুই বছর সাফল্যের সঙ্গেই দলকে টেনে নিয়ে তৃতীয় আসরের শুরুতে হন বরখাস্ত।
তিনি বলেন, ‘ চট্টগ্রামের ফুটবল ঐতিহ্য হারিয়ে ঘরে ফিরে এসেছে। স্থানীয় লিগে খেলা খেলোয়াড়েরা ঢাকার ক্লাবের দৃষ্টি কাড়তে পারবে না। ফলে জাতীয় দলে স্থানীয় খেলোয়াড়দের প্রতিনিধিত্ব কমে যাবে।’
বর্তমানে মামুন ও ইউসুফ জাতীয় দলে চট্টগ্রামের ঝান্ডা কোনো রকম টিকিয়ে রেখেছেন। অথচ এঁদের পূর্বসূরিদের মিছিলটা ছিল বড় ও উজ্জ্বল আরমান আজিজ, জাহিদ পারভেজ, আসাদ, মতিউর মুন্না, ফরহাদ, টিপু , খসরু, মান্নান, এফ আই কামাল, পান্না নন্দী। সবচেয়ে ঔজ্জ্বল্য ছড়িয়েছেন আশীষ ভদ্র।
এবারের ফলাফলে আশীষও হতাশ। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক বললেন, ‘চট্টগ্রামের ফুটবল আরও খারাপ হবে। যোগ্য লোক নেই। চেয়ার দখলে রাখা লোকেদের ফুটবলের উন্নয়নে মন নেই। যেনতেনভাবে একটি লিগ শেষ করার চিন্তা সবার মধ্যে। এভাবে ফুটবলার উঠবে না।’
বড় দুই দলের এই হতাশার মধ্যে আজ থেকেই চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে নতুন ফুটবল মৌসুম। শুরু দ্বিতীয় বিভাগ দিয়ে। এরপর পর্যায়ক্রমে চলবে দ্বিতীয় বিভাগ সুপার লিগ ও প্রিমিয়ার লিগ। কিন্তু দলগুলো কতটা প্রস্তুত হয়ে নামছে? বাংলাদেশ লিগে খেলা আবাহনী ও মোহামেডানের মতো নয়তো!
এবার বাংলাদেশ লিগের শুরু থেকেই দল দুটির সংকট চলছিল। আবাহনীর নিয়মিত কোচ আবুল কাশেম মাঝপথে ইস্তফা দেন। মোহামেডানের অনুশীলনও ছিল অনিয়মিত।
মোহামেডানের ম্যানেজার মোহাম্মদ ইউসুফ বিষয়টি অস্বীকার করেননি, ‘আমাদের টাকার সমস্যা ছিল। কর্মকর্তারা আগের মতো উদ্যমী ছিলেন না। আমি আর শামীম ভাই (সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন শামীম) ছাড়া আর কেউ মাঠে ছিল না। টাকার কারণে প্র্যাকটিসও ঠিকমতো হয়নি।’
পেশাদার লিগে আগের আসরগুলোয় চট্টগ্রামের দুই দল বিশেষ করে মোহামেডানকে ঘিরে কর্মকর্তা ও সমর্থকদের ভিড় থাকত। কিন্তু এবার ছিল ভিন্ন চেহারা। তবে ইউসুফ তাদের কয়েকজন বিদেশি খেলোয়াড় ও লিগের পাতানো খেলাকেও দুষেছেন।
আবাহনীর পরবর্তী কোচ সাইফুল আলম মনে করেন, ফুটবল কমিটির দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়হীনতার কারণে দলের অবনমন হয়েছে।
No comments