আফগানিস্তানে রকেট হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই গত রোববার অভিযোগ করেছেন, তাঁর দেশের পূর্বাঞ্চলীয় দুটি প্রদেশে তিন সপ্তাহে ৪৭০টি রকেট হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এতে ১২টি শিশুসহ অন্তত ৩৬ জন নিহত হয়েছে।
তবে কারজাইয়ের এ অভিযোগ অস্বীকার করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বলেছে, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ইচ্ছাকৃত কোনো গোলা নিক্ষেপ করা হয়নি। সেনা মুখপাত্র মেজর জেনারেল আতাহার আব্বাস গতকাল সোমবার বলেছেন, আফগান সীমান্তের কাছে পাকিস্তান ভূখণ্ডে জঙ্গিদের লক্ষ্য করে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান চলাকালে দুর্ঘটনাবশত আফগান ভূখণ্ডে কয়েকটি রকেট চলে যেতে পারে।
আফগানিস্তানের সীমান্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, কুনার ও নানগারহার প্রদেশে এ রকেট হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরপর সেখান থেকে প্রায় দুই হাজার পরিবার পালিয়ে গেছে।
সম্প্রতি ওই প্রদেশ দুটি থেকে ন্যাটো বাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এই সুযোগে পাকিস্তানি তালেবানেরা সেখানকার বেসামরিক লোকজনের সঙ্গে মিশে গেছে। তাঁরা জানান, আফগান প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে কারজাই বলেন, এই রকেট হামলার পেছনে পাকিস্তানের সরকারি বাহিনীর হাত রয়েছে। তাঁদের এক্ষুণি এটা বন্ধ করা উচিত। তিনি বলেন, ‘আর যদি পাকিস্তান এটা করে না থাকে, তাহলে তাদের স্পষ্ট করা উচিত, কারা এই হামলার পেছনে দায়ী।’
আফগান প্রেসিডেন্ট বলেন, তেহরানে গত শনিবার সন্ত্রাসবাদবিরোধী সম্মেলনে এই রকেট হামলা নিয়ে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ জহির আজিমি এ হামলা প্রসঙ্গে কথা বলেন এবং সতর্ক করে দেন যে আফগানিস্তান এর পাল্টা জবাব দেবে। আজিমিকে বরাত দিয়ে এপি বলেছে, পাকিস্তান সরকারের বোঝা উচিত, বেসামরিক লোকজনকে হত্যার পরিণতি ভালো নয়।
আফগান প্রেসিডেন্ট রকেট হামলার বিষয়টি নিয়ে আফগানিস্তানে নিযুক্ত ন্যাটো কমান্ডার জেনারেল ডেভিড পেট্রাউস ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত কার্ল আইকেনবেরির সঙ্গেও আলোচনা করেছেন।
তবে একজন আফগান কর্মকর্তা বিবিসিকে জানান, পাকিস্তানের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তাঁকে বলেছেন যে সীমান্ত এলাকায় তালেবানের সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর লড়াই চলাকালে আফগান ভূখণ্ডে রকেট পড়েছে।
আফগান কর্মকর্তা আজিমি বলেন, পাকিস্তানের রকেট হামলার জবাবে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী পূর্বাঞ্চলীয় খোস্ত ও পাকতিকা প্রদেশ থেকে পাকিস্তানে গত শুক্রবার অন্তত দুই দফা গোলা নিক্ষেপ করেছে।
আফগানিস্তানের সীমান্তে নিযুক্ত পুলিশ বাহিনীর মুখপাত্র ইদ্রিস মোহাম্মদ বলেছেন, ‘কুনার ও নানগাহারে ছোড়া রকেট পাকিস্তানের দিক থেকেই এসেছে। নিরীহ আফগানদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় আফগান পুলিশকে ভারী অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে। আমরা শুধু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের অপেক্ষায় আছি।’
আজিমি জানান, আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে পাকিস্তান সরকারের প্রতি এ গোলা নিক্ষেপের ঘটনা বন্ধ এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে ২ মে আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন হত্যাকাণ্ডের পর আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে তালেবানের হামলা বেড়ে গেছে।
তবে কারজাইয়ের এ অভিযোগ অস্বীকার করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বলেছে, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ইচ্ছাকৃত কোনো গোলা নিক্ষেপ করা হয়নি। সেনা মুখপাত্র মেজর জেনারেল আতাহার আব্বাস গতকাল সোমবার বলেছেন, আফগান সীমান্তের কাছে পাকিস্তান ভূখণ্ডে জঙ্গিদের লক্ষ্য করে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান চলাকালে দুর্ঘটনাবশত আফগান ভূখণ্ডে কয়েকটি রকেট চলে যেতে পারে।
আফগানিস্তানের সীমান্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, কুনার ও নানগারহার প্রদেশে এ রকেট হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরপর সেখান থেকে প্রায় দুই হাজার পরিবার পালিয়ে গেছে।
সম্প্রতি ওই প্রদেশ দুটি থেকে ন্যাটো বাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এই সুযোগে পাকিস্তানি তালেবানেরা সেখানকার বেসামরিক লোকজনের সঙ্গে মিশে গেছে। তাঁরা জানান, আফগান প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে কারজাই বলেন, এই রকেট হামলার পেছনে পাকিস্তানের সরকারি বাহিনীর হাত রয়েছে। তাঁদের এক্ষুণি এটা বন্ধ করা উচিত। তিনি বলেন, ‘আর যদি পাকিস্তান এটা করে না থাকে, তাহলে তাদের স্পষ্ট করা উচিত, কারা এই হামলার পেছনে দায়ী।’
আফগান প্রেসিডেন্ট বলেন, তেহরানে গত শনিবার সন্ত্রাসবাদবিরোধী সম্মেলনে এই রকেট হামলা নিয়ে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ জহির আজিমি এ হামলা প্রসঙ্গে কথা বলেন এবং সতর্ক করে দেন যে আফগানিস্তান এর পাল্টা জবাব দেবে। আজিমিকে বরাত দিয়ে এপি বলেছে, পাকিস্তান সরকারের বোঝা উচিত, বেসামরিক লোকজনকে হত্যার পরিণতি ভালো নয়।
আফগান প্রেসিডেন্ট রকেট হামলার বিষয়টি নিয়ে আফগানিস্তানে নিযুক্ত ন্যাটো কমান্ডার জেনারেল ডেভিড পেট্রাউস ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত কার্ল আইকেনবেরির সঙ্গেও আলোচনা করেছেন।
তবে একজন আফগান কর্মকর্তা বিবিসিকে জানান, পাকিস্তানের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তাঁকে বলেছেন যে সীমান্ত এলাকায় তালেবানের সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর লড়াই চলাকালে আফগান ভূখণ্ডে রকেট পড়েছে।
আফগান কর্মকর্তা আজিমি বলেন, পাকিস্তানের রকেট হামলার জবাবে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী পূর্বাঞ্চলীয় খোস্ত ও পাকতিকা প্রদেশ থেকে পাকিস্তানে গত শুক্রবার অন্তত দুই দফা গোলা নিক্ষেপ করেছে।
আফগানিস্তানের সীমান্তে নিযুক্ত পুলিশ বাহিনীর মুখপাত্র ইদ্রিস মোহাম্মদ বলেছেন, ‘কুনার ও নানগাহারে ছোড়া রকেট পাকিস্তানের দিক থেকেই এসেছে। নিরীহ আফগানদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় আফগান পুলিশকে ভারী অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে। আমরা শুধু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের অপেক্ষায় আছি।’
আজিমি জানান, আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে পাকিস্তান সরকারের প্রতি এ গোলা নিক্ষেপের ঘটনা বন্ধ এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে ২ মে আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন হত্যাকাণ্ডের পর আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে তালেবানের হামলা বেড়ে গেছে।
No comments