হাইকোর্টের রায় স্থগিত করলেন সুপ্রিম কোর্ট
ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভেঙে রামমন্দির নির্মাণের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ওই ভূমির স্বত্ব নিয়ে মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। গতকাল সোমবার বিচারক আফতাব আলম ও আর এম লোধার সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।
সুপ্রিম কোর্টে গতকালই ছিল মামলাটির প্রথম শুনানি। মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিতর্কিত ভূমির ওপর স্থিতাবস্থা থাকবে বলেও নির্দেশ দেন আদালত। এতে মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো পক্ষই ভূমিটি ব্যবহার করতে পারবে না।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে এলাহাবাদের হাইকোর্টের রায়ে উত্তরাঞ্চলীয় শহর অযোধ্যায় ওই ভূমি তিন ভাগ করে একটি অংশ মুসলিম, আরেকটি হিন্দু ও অন্যটি স্থানীয় হিন্দু ট্রাস্টের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে হিন্দু ও মুসলিম উভয় পক্ষ থেকে একাধিক আপিলের আবেদনপত্র জমা পড়ে। এর মধ্যে রয়েছে নির্মোহি আখাড়া, অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা, জামায়েত উলামা-ই-হিন্দ ও সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড।
গতকাল মামলার রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার সময় বিচারকেরা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এলাহাবাদের হাইকোর্ট কিসের ভিত্তিতে ওই বিতর্কিত ভূমি তিন ভাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন, তা তাঁদের বোধগম্য নয়। কারণ মামলার কোনো পক্ষই ভূমিটির ভাগ চেয়ে আবেদন করেনি।
হাইকোর্টে রায়কে ‘পুরোপুরি আজব’ বলে মন্তব্য করেন বিচারক আফতাব আলম। বিচারক আর এম লোধা বলেন, যে বিষয়টি মামলায় কখনো উত্থাপিত হয়নি, সে বিষয়ের ওপর রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সুপ্রিম কোর্ট থেকে গতকাল বলা হয়, মামলায় যে তিন পক্ষ রয়েছে, তারা প্রত্যেকেই বিতর্কিত ভূমি নিজেদের বলে দাবি করেছে। কোনো পক্ষই ওই ভূমির খণ্ডিত অংশ দাবি করেনি। কাজেই হাইকোর্টের এই রায় মেনে নেওয়া যায় না। এ ব্যাপারে আরও শুনানি হবে বলে আদালত জানান। তবে পরবর্তী শুনানির তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকেরা বলেন, ‘মামলাটি আমরা ভালোভাবে খতিয়ে দেখব। শুনানি চলাকালে হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা থাকবে।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর রামমন্দির গড়ার লক্ষ্যে উগ্রপন্থী হিন্দুরা ষোড়শ শতাব্দীর বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলে। তাদের মতে, মোগল সম্রাট বাবর ওই মসজিদটি এমন স্থানে নির্মাণ করেন, যেখানে হিন্দুধর্মের অবতার রামের জন্মস্থানকে মহিমান্বিত করতে একটি মন্দির নির্মাণের কথা ছিল। বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনার জেরে ব্যাপকভাবে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। এতে দুই হাজারের বেশি লোক নিহত হয়।
সুপ্রিম কোর্টে গতকালই ছিল মামলাটির প্রথম শুনানি। মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিতর্কিত ভূমির ওপর স্থিতাবস্থা থাকবে বলেও নির্দেশ দেন আদালত। এতে মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো পক্ষই ভূমিটি ব্যবহার করতে পারবে না।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে এলাহাবাদের হাইকোর্টের রায়ে উত্তরাঞ্চলীয় শহর অযোধ্যায় ওই ভূমি তিন ভাগ করে একটি অংশ মুসলিম, আরেকটি হিন্দু ও অন্যটি স্থানীয় হিন্দু ট্রাস্টের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে হিন্দু ও মুসলিম উভয় পক্ষ থেকে একাধিক আপিলের আবেদনপত্র জমা পড়ে। এর মধ্যে রয়েছে নির্মোহি আখাড়া, অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা, জামায়েত উলামা-ই-হিন্দ ও সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড।
গতকাল মামলার রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার সময় বিচারকেরা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এলাহাবাদের হাইকোর্ট কিসের ভিত্তিতে ওই বিতর্কিত ভূমি তিন ভাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন, তা তাঁদের বোধগম্য নয়। কারণ মামলার কোনো পক্ষই ভূমিটির ভাগ চেয়ে আবেদন করেনি।
হাইকোর্টে রায়কে ‘পুরোপুরি আজব’ বলে মন্তব্য করেন বিচারক আফতাব আলম। বিচারক আর এম লোধা বলেন, যে বিষয়টি মামলায় কখনো উত্থাপিত হয়নি, সে বিষয়ের ওপর রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সুপ্রিম কোর্ট থেকে গতকাল বলা হয়, মামলায় যে তিন পক্ষ রয়েছে, তারা প্রত্যেকেই বিতর্কিত ভূমি নিজেদের বলে দাবি করেছে। কোনো পক্ষই ওই ভূমির খণ্ডিত অংশ দাবি করেনি। কাজেই হাইকোর্টের এই রায় মেনে নেওয়া যায় না। এ ব্যাপারে আরও শুনানি হবে বলে আদালত জানান। তবে পরবর্তী শুনানির তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকেরা বলেন, ‘মামলাটি আমরা ভালোভাবে খতিয়ে দেখব। শুনানি চলাকালে হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা থাকবে।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর রামমন্দির গড়ার লক্ষ্যে উগ্রপন্থী হিন্দুরা ষোড়শ শতাব্দীর বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলে। তাদের মতে, মোগল সম্রাট বাবর ওই মসজিদটি এমন স্থানে নির্মাণ করেন, যেখানে হিন্দুধর্মের অবতার রামের জন্মস্থানকে মহিমান্বিত করতে একটি মন্দির নির্মাণের কথা ছিল। বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনার জেরে ব্যাপকভাবে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। এতে দুই হাজারের বেশি লোক নিহত হয়।
No comments