ন্যাটোর অবহেলায় আফ্রিকার ৬১ অভিবাসীর মৃত্যু!
ন্যাটো বাহিনী ও ইতালির উপকূলীয় রক্ষীদের অবহেলায় আফ্রিকার ৬১ জন নাগরিকের করুণ মৃত্যু হয়েছে বলে যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানা গেছে। চলমান যুদ্ধের বিভীষিকা থেকে বাঁচতে এসব অভিবাসী লিবিয়া থেকে একটি বড় নৌকায় করে ইতালির দিকে যাচ্ছিলেন। ভূমধ্যসাগরে বিরূপ পরিস্থিতিতে ইতালির রক্ষী ও ন্যাটো বাহিনীর কাছে বারবার সহায়তা চেয়েও তাঁরা পাননি। এতে ক্ষুৎপিপাসায় নৌকার ৬১ জন যাত্রী সাগরেই মারা যান। গত রোববার এ প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৫ মার্চ লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে আফ্রিকার ৭২ জন অভিবাসী নিয়ে ইঞ্জিনচালিত একটি বড় নৌকা রওনা হয়। এতে ইথিওপিয়ার ৪৭ জন, নাইজেরিয়ার সাত, ইরিত্রিয়ার সাত, ঘানার ছয় ও সুদানের পাঁচজন নাগরিক ছিলেন। এর মধ্যে ২০ জন নারী ও তিনজন শিশু ছিল। তাঁদের লক্ষ্য ছিল ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইতালির লামপেদুসা দ্বীপে পৌঁছানো। কিন্তু জ্বালানি, খাদ্য ও পানির অভাবে তাঁরা কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েন।
মরতে মরতে বেঁচে যাওয়া নৌকার নয়জন যাত্রীর একজন ইথিওপিয়ার আবু কুরকে বলেন, নৌকার স্যাটেলাইট ফোন থেকে ইতালির উপকূলীয় রক্ষী ও ন্যাটোর যুদ্ধজাহাজে যোগাযোগ করে সহায়তার জন্য বারবার ধরনা দেন তাঁরা। কিন্তু তারা কেউ কান দেয়নি। এর মধ্যে খাবার ও পানি ফুরিয়ে গেলে চরম দুরবস্থার মধ্যে পড়েন তাঁরা। ২৭ মার্চ নৌকার জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে এটি স্রোতের টানে দিগ্ভ্রান্ত হয়ে ভেসে যেতে থাকে। ২৯ বা ৩০ মার্চের দিকে নৌকাটি ন্যাটোর একটি বিমানবাহী রণতরীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সেনাদের দৃষ্টি আকর্ষণের অনেক চেষ্টা করেও তাঁরা ব্যর্থ হন।
এভাবে সহায়তা না পেয়ে খাদ্য ও পানির অভাবে একে একে নৌকার ৬১ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। কুরকেসহ ১১ জন মরো মরো হয়ে বেঁচে থাকেন।
কুরকে বলেন, জীবন ধারণের জন্য তাঁকে পানির বদলে নিজের মূত্র পান করতে হয়েছে। খেতে হয়েছে দুই টিউব টুথপেস্ট।
১০ এপ্রিল নৌকাটি অবশেষে ডাঙায় গিয়ে ভেড়ে। তবে তা সেই লিবিয়ায়ই। যুদ্ধবিক্ষুব্ধ মিসরাতা শহরের কাছাকাছি জায়গায় পৌঁছান তাঁরা। একজন অভিবাসী মাটিতে পা রাখার পরপরই মারা যান। বাকি আটজনকে গ্রেপ্তার করে গাদ্দাফির অনুগত সেনারা। চার দিন কারাগারে আটকে রাখা হয় তাঁদের। এর মধ্যে মারা যান আরও একজন।
ছাড়া পাওয়ার পর ত্রিপোলির একটি বাড়িতে আত্মগোপন করেন নয়জন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেখানেই তাঁরা অবস্থান করছিলেন। সাংবাদিকদের তাঁরা বলেন, ইউরোপীয় কোনো দেশে আশ্রয়ের আশ্বাস পেলে আবারও তাঁরা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে প্রস্তুত।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৫ মার্চ লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে আফ্রিকার ৭২ জন অভিবাসী নিয়ে ইঞ্জিনচালিত একটি বড় নৌকা রওনা হয়। এতে ইথিওপিয়ার ৪৭ জন, নাইজেরিয়ার সাত, ইরিত্রিয়ার সাত, ঘানার ছয় ও সুদানের পাঁচজন নাগরিক ছিলেন। এর মধ্যে ২০ জন নারী ও তিনজন শিশু ছিল। তাঁদের লক্ষ্য ছিল ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইতালির লামপেদুসা দ্বীপে পৌঁছানো। কিন্তু জ্বালানি, খাদ্য ও পানির অভাবে তাঁরা কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েন।
মরতে মরতে বেঁচে যাওয়া নৌকার নয়জন যাত্রীর একজন ইথিওপিয়ার আবু কুরকে বলেন, নৌকার স্যাটেলাইট ফোন থেকে ইতালির উপকূলীয় রক্ষী ও ন্যাটোর যুদ্ধজাহাজে যোগাযোগ করে সহায়তার জন্য বারবার ধরনা দেন তাঁরা। কিন্তু তারা কেউ কান দেয়নি। এর মধ্যে খাবার ও পানি ফুরিয়ে গেলে চরম দুরবস্থার মধ্যে পড়েন তাঁরা। ২৭ মার্চ নৌকার জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে এটি স্রোতের টানে দিগ্ভ্রান্ত হয়ে ভেসে যেতে থাকে। ২৯ বা ৩০ মার্চের দিকে নৌকাটি ন্যাটোর একটি বিমানবাহী রণতরীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সেনাদের দৃষ্টি আকর্ষণের অনেক চেষ্টা করেও তাঁরা ব্যর্থ হন।
এভাবে সহায়তা না পেয়ে খাদ্য ও পানির অভাবে একে একে নৌকার ৬১ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। কুরকেসহ ১১ জন মরো মরো হয়ে বেঁচে থাকেন।
কুরকে বলেন, জীবন ধারণের জন্য তাঁকে পানির বদলে নিজের মূত্র পান করতে হয়েছে। খেতে হয়েছে দুই টিউব টুথপেস্ট।
১০ এপ্রিল নৌকাটি অবশেষে ডাঙায় গিয়ে ভেড়ে। তবে তা সেই লিবিয়ায়ই। যুদ্ধবিক্ষুব্ধ মিসরাতা শহরের কাছাকাছি জায়গায় পৌঁছান তাঁরা। একজন অভিবাসী মাটিতে পা রাখার পরপরই মারা যান। বাকি আটজনকে গ্রেপ্তার করে গাদ্দাফির অনুগত সেনারা। চার দিন কারাগারে আটকে রাখা হয় তাঁদের। এর মধ্যে মারা যান আরও একজন।
ছাড়া পাওয়ার পর ত্রিপোলির একটি বাড়িতে আত্মগোপন করেন নয়জন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেখানেই তাঁরা অবস্থান করছিলেন। সাংবাদিকদের তাঁরা বলেন, ইউরোপীয় কোনো দেশে আশ্রয়ের আশ্বাস পেলে আবারও তাঁরা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে প্রস্তুত।
No comments