বন্দী নির্যাতনের পক্ষে চেনি ও রামসফেল্ডের সাফাই
বন্দীদের ওপর ওয়াটারবোর্ডিংসহ বর্বর নির্যাতন কৌশলের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের প্রশাসনের শীর্ষ দুই কর্মকর্তা। আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধের অন্যতম রূপকার এই দুজন হলেন মার্কিন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডোনাল্ড রামসফেল্ড। ডিক চেনি বলেছেন, ‘ওসামা বিন লাদেনকে খুঁজে পেতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে ওয়াটারবোর্ডিংয়ের (পানিতে চুবিয়ে নির্যাতন) মতো কৌশল।’ আর রামসফেল্ড ওয়াটারবোর্ডিং আবারও চালু করার পক্ষে।
ডিক চেনি গত রোববার ‘ফক্স নিউজ সানডে’ অনুষ্ঠানে বলেন, ‘শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের মতে লাদেনের অবস্থান নিশ্চিত হতে আগের তথ্য তাঁদের সহায়তা করেছে। সন্দেহভাজন বন্দীদের নিষ্ঠুর প্রক্রিয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের সুফল মিলেছে।’ বন্দীদের নিষ্ঠুর নির্যাতন করে জিজ্ঞাসাবাদের পন্থা আবারও চালু করা উচিত কি না জানতে চাইলে চেনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে এর সমর্থন করি।’
সিবিএস টেলিভিশনের ‘ফেইস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে রামসফেল্ড বলেন, সিআইএর সাবেক তিন পরিচালক তাঁকে জানিয়েছেন, বন্দীদের জিজ্ঞাসাবাদে ওয়াটারবোর্ডিং পন্থা অবলম্বনের ফলেই তাঁরা আল-কায়েদা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পান। ওই তথ্য পরেও সুফল বয়ে এনেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, সিআইএ যে ধরনের পথ অনুসরণ করেছিল, তা কাজে দিয়েছে। সন্দেহভাজন বন্দীদের জিজ্ঞাসাবাদে ওই ধরনের কৌশল রদ করা ভুল হবে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের শাসনামলে কিউবায় মার্কিন বন্দিশালা গুয়ানতানামো বেতে বন্দীদের ওপর বর্বর নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। তবে ২০০৯ সালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দায়িত্ব নেওয়ার পর বন্দীদের জিজ্ঞাসাবাদের নামে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বন্ধের নির্দেশ দেন। তখন ওবামা বলেছিলেন, বুশের সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াইয়ের সময় বন্দীদের জিজ্ঞাসাবাদে যে ধরনের নির্যাতন করা হয়েছিল সেগুলো ভুল ছিল।
১ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আল-কায়েদাপ্রধান ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার পর সেই পুরোনো বিতর্ক আবারও চাঙা হয়ে উঠেছে। কারণ সিআইএর দাবি, আল-কায়েদা বন্দীদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের সূত্র ধরেই তারা লাদেনের এক ঘনিষ্ঠ বার্তাবাহক সম্পর্কে জানতে পারে। পরে ওই বার্তাবাহককে অনুসরণ করে ওই বাড়িটি শনাক্ত করা হয়।
ডিক চেনি গত রোববার ‘ফক্স নিউজ সানডে’ অনুষ্ঠানে বলেন, ‘শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের মতে লাদেনের অবস্থান নিশ্চিত হতে আগের তথ্য তাঁদের সহায়তা করেছে। সন্দেহভাজন বন্দীদের নিষ্ঠুর প্রক্রিয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের সুফল মিলেছে।’ বন্দীদের নিষ্ঠুর নির্যাতন করে জিজ্ঞাসাবাদের পন্থা আবারও চালু করা উচিত কি না জানতে চাইলে চেনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে এর সমর্থন করি।’
সিবিএস টেলিভিশনের ‘ফেইস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে রামসফেল্ড বলেন, সিআইএর সাবেক তিন পরিচালক তাঁকে জানিয়েছেন, বন্দীদের জিজ্ঞাসাবাদে ওয়াটারবোর্ডিং পন্থা অবলম্বনের ফলেই তাঁরা আল-কায়েদা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পান। ওই তথ্য পরেও সুফল বয়ে এনেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, সিআইএ যে ধরনের পথ অনুসরণ করেছিল, তা কাজে দিয়েছে। সন্দেহভাজন বন্দীদের জিজ্ঞাসাবাদে ওই ধরনের কৌশল রদ করা ভুল হবে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের শাসনামলে কিউবায় মার্কিন বন্দিশালা গুয়ানতানামো বেতে বন্দীদের ওপর বর্বর নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। তবে ২০০৯ সালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দায়িত্ব নেওয়ার পর বন্দীদের জিজ্ঞাসাবাদের নামে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বন্ধের নির্দেশ দেন। তখন ওবামা বলেছিলেন, বুশের সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াইয়ের সময় বন্দীদের জিজ্ঞাসাবাদে যে ধরনের নির্যাতন করা হয়েছিল সেগুলো ভুল ছিল।
১ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আল-কায়েদাপ্রধান ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার পর সেই পুরোনো বিতর্ক আবারও চাঙা হয়ে উঠেছে। কারণ সিআইএর দাবি, আল-কায়েদা বন্দীদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের সূত্র ধরেই তারা লাদেনের এক ঘনিষ্ঠ বার্তাবাহক সম্পর্কে জানতে পারে। পরে ওই বার্তাবাহককে অনুসরণ করে ওই বাড়িটি শনাক্ত করা হয়।
No comments