ইসরায়েলকে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে মেনে নিতে রাজি ছিল পিএলও
শান্তিচুক্তির আওতায় ৫০ লাখেরও বেশি শরণার্থীর মধ্য থেকে মাত্র ১০ হাজার শরণার্থী ও তাদের পরিবার ইসরায়েলে ফেরত যেতে পারবে—ফিলিস্তিনি আলোচকেরা ব্যক্তিগতভাবে ইসরায়েলের এই প্রস্তাবে সম্মত হয়েছিলেন। আল-জাজিরার ফাঁস করা গোপন নথি থেকে এই তথ্য জানা গেছে। ইসরায়েলকে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে—ইসরায়েলের এই দাবিও মেনে নিতে সম্মত ছিলেন পিএলও নেতারা।
আল-জাজিরা জানায়, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা ব্যর্থ শান্তি আলোচনার বিপুল পরিমাণ নথি তাদের হাতে এসেছে। এসব নথি থেকে সর্বশেষ এই তথ্যগুলো বেরিয়ে এসেছে।
আল-জাজিরার এসব নথি প্রকাশের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন পশ্চিম তীরের অনেক লোক। সেখানে বিক্ষোভও হয়েছে। তবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নেতারা নথি ফাঁসের এই ঘটনাকে ‘প্রচারণার খেলা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। সর্বশেষ ফাঁস করা নথিতে দেখা যায়, ২০০৭-০৮ সালে তৎকালীন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিপি লিভনি একটি ভূমিবিনিময় চুক্তির আওতায় ইসরায়েলের কিছু আরব নাগরিককে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে ফেরত পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
জিপি লিভনি ব্যক্তিগতভাবে ব্যাখ্যা করেন, ‘১৯৬৭ সালের সীমান্তের উভয় পাশে বেশকিছু ফিলিস্তিনি গ্রাম আছে। বেইট সাফাফা, বারতা, বাকা-আল-শারকিয়া ও বাকা-আল-গারবিয়ার মতো কিছু গ্রামের ব্যাপারে আমাদের সিদ্ধান্তে পৌঁছানো দরকার।’ এর আগে তিনি বিষয়টি পরিষ্কার করেন যে এ ধরনের বিনিময়ের অর্থ হচ্ছে ‘অধিবাসীদের বিনিময়’। তবে ফিলিস্তিনি আলোচকেরা ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
নথিপত্রে আরও দেখা যায়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ও অন্য মার্কিন কর্মকর্তারা মাহমুদ আব্বাস ও প্রধানমন্ত্রী সালাম ফায়েদ ছাড়া অন্য কোনো ফিলিস্তিনি নেতৃত্বকে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
২০০৮ সালে তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিৎসা রাইস প্রস্তাব দেন যে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের দক্ষিণ আমেরিকায় পুনর্বাসন করা যেতে পারে।
২০০৯ সালের ২৪ মার্চ ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছিলেন, ইসরায়েলকে ৫০ লাখ অথবা ১০ লাখ শরণার্থী ফিরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া অযৌক্তিক হবে। নথিপত্রে দেখা যায়, তৎকালীন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট প্রাথমিকভাবে পাঁচ বছরে মাত্র পাঁচ হাজার ফিলিস্তিনি শরণার্থীকে গ্রহণ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
তবে মাহমুদ আব্বাস এই প্রস্তাবকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে নাকচ করে দিয়েছিলেন।
একই বছরের ১৬ জুন এক বৈঠকে প্রধান ফিলিস্তিনি আলোচক সায়েব এরাকাত জানান, ওলমার্ট আগামী ১০ বছর প্রতিবছরে এক হাজার করে শরণার্থী গ্রহণ করতে রাজি হয়েছেন।
তবে ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ান জানায়, ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা ইসরায়েলের বেঁধে দেওয়া ১০ হাজারের সংখ্যাটি মেনে নেন।
নথিপত্রে আরও দেখা যায়, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে গাজায় ইসরায়েলের ২২ দিনের ধ্বংসাত্মক অভিযান শুরুর আগে ফিলিস্তিনি নেতৃত্বকে আগাম সতর্কসংকেত দিয়েছিল ইসরায়েল।
ইসরায়েলকে সুনির্দিষ্টভাবে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে মেনে নেওয়ার ব্যাপারে এরাকাত ব্যক্তিগতভাবে ইসরায়েলি আলোচকদের বলেছেন, ‘আপনি যদি চান আপনাদের দেশকে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে অভিহিত করা হোক, তাহলে আপনি যা চান, তা বলতে পারেন।’ তিনি তাঁর কর্মচারীকে ব্যক্তিগতভাবে বলেছিলেন যে এটা কোনো ইস্যু নয়।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নেতারা জনসম্মুখে ইসরায়েলকে কোনো ধর্মীয় দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে।
আল-জাজিরা জানায়, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা ব্যর্থ শান্তি আলোচনার বিপুল পরিমাণ নথি তাদের হাতে এসেছে। এসব নথি থেকে সর্বশেষ এই তথ্যগুলো বেরিয়ে এসেছে।
আল-জাজিরার এসব নথি প্রকাশের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন পশ্চিম তীরের অনেক লোক। সেখানে বিক্ষোভও হয়েছে। তবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নেতারা নথি ফাঁসের এই ঘটনাকে ‘প্রচারণার খেলা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। সর্বশেষ ফাঁস করা নথিতে দেখা যায়, ২০০৭-০৮ সালে তৎকালীন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিপি লিভনি একটি ভূমিবিনিময় চুক্তির আওতায় ইসরায়েলের কিছু আরব নাগরিককে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে ফেরত পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
জিপি লিভনি ব্যক্তিগতভাবে ব্যাখ্যা করেন, ‘১৯৬৭ সালের সীমান্তের উভয় পাশে বেশকিছু ফিলিস্তিনি গ্রাম আছে। বেইট সাফাফা, বারতা, বাকা-আল-শারকিয়া ও বাকা-আল-গারবিয়ার মতো কিছু গ্রামের ব্যাপারে আমাদের সিদ্ধান্তে পৌঁছানো দরকার।’ এর আগে তিনি বিষয়টি পরিষ্কার করেন যে এ ধরনের বিনিময়ের অর্থ হচ্ছে ‘অধিবাসীদের বিনিময়’। তবে ফিলিস্তিনি আলোচকেরা ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
নথিপত্রে আরও দেখা যায়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ও অন্য মার্কিন কর্মকর্তারা মাহমুদ আব্বাস ও প্রধানমন্ত্রী সালাম ফায়েদ ছাড়া অন্য কোনো ফিলিস্তিনি নেতৃত্বকে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
২০০৮ সালে তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিৎসা রাইস প্রস্তাব দেন যে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের দক্ষিণ আমেরিকায় পুনর্বাসন করা যেতে পারে।
২০০৯ সালের ২৪ মার্চ ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছিলেন, ইসরায়েলকে ৫০ লাখ অথবা ১০ লাখ শরণার্থী ফিরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া অযৌক্তিক হবে। নথিপত্রে দেখা যায়, তৎকালীন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট প্রাথমিকভাবে পাঁচ বছরে মাত্র পাঁচ হাজার ফিলিস্তিনি শরণার্থীকে গ্রহণ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
তবে মাহমুদ আব্বাস এই প্রস্তাবকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে নাকচ করে দিয়েছিলেন।
একই বছরের ১৬ জুন এক বৈঠকে প্রধান ফিলিস্তিনি আলোচক সায়েব এরাকাত জানান, ওলমার্ট আগামী ১০ বছর প্রতিবছরে এক হাজার করে শরণার্থী গ্রহণ করতে রাজি হয়েছেন।
তবে ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ান জানায়, ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা ইসরায়েলের বেঁধে দেওয়া ১০ হাজারের সংখ্যাটি মেনে নেন।
নথিপত্রে আরও দেখা যায়, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে গাজায় ইসরায়েলের ২২ দিনের ধ্বংসাত্মক অভিযান শুরুর আগে ফিলিস্তিনি নেতৃত্বকে আগাম সতর্কসংকেত দিয়েছিল ইসরায়েল।
ইসরায়েলকে সুনির্দিষ্টভাবে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে মেনে নেওয়ার ব্যাপারে এরাকাত ব্যক্তিগতভাবে ইসরায়েলি আলোচকদের বলেছেন, ‘আপনি যদি চান আপনাদের দেশকে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে অভিহিত করা হোক, তাহলে আপনি যা চান, তা বলতে পারেন।’ তিনি তাঁর কর্মচারীকে ব্যক্তিগতভাবে বলেছিলেন যে এটা কোনো ইস্যু নয়।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নেতারা জনসম্মুখে ইসরায়েলকে কোনো ধর্মীয় দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে।
No comments