পাকিস্তানে মানবাধিকার রক্ষায় ২০১০ ছিল বিপর্যয়ের বছর
পাকিস্তানে মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে ২০১০ সাল ছিল ‘বিপর্যয়ের বছর’। গত বছর তালেবানের তৎপরতা ও ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের ঠেকাতে সরকারের অগ্রগতি খুব সামান্য। এমনকি জঙ্গি তৎপরতায় দেশটির বিভিন্ন সংস্থার লোকজনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদ রয়েছে। গত সোমবার প্রকাশিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) ২০১১ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
এইচআরডব্লিউর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ গবেষক আলী দাইয়ান হাসান বলেন, পাকিস্তানে ফাঁকা মাঠে যে তালেবান উৎপীড়ন চলছে তা নয় বরং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনের ছত্রচ্ছায়ায় এসব ঘটছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বছর পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় কয়েক শ লোক নিহত হয়েছে। কমপক্ষে ১১ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপরও হামলার মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে।
করাচিতে জোড়া বোমা হামলায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের কমপক্ষে ৮০ জন মারা গেছে। এ ছাড়া একটি সুফি মাজারে বোমা হামলায় কয়েক ডজন লোক নিহত হয়।
ধর্মের সমালোচনা বন্ধে প্রণীত ব্লাসফেমি আইন সংস্কারের পক্ষে কথা বলায় পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নর সালমান তাসির নিজের দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। তাসিরের মতোই এ আইনের সমালোচনা করায় ক্ষমতাসীন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা শেরি রেহমানকে উগ্রপন্থীরা হত্যার হুমকি দিচ্ছে। প্রাণভয়ে এখন শেরি রেহমানকে ঘরে অবরুদ্ধ হয়ে থাকতে হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিপিপি ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শের ধারক ও বাহক বলে স্বীকৃত। কিন্তু ওই দলের নেতা হয়েও প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ গিলানি জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ করতে খুব কম কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কমিশন পাকিস্তানের (এইচআরডব্লিউপি) চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বলেন, ধর্মভিত্তিক দলগুলো ব্লাসফেমি আইনকে সামনে রেখে সরকারকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সরকারও তা মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছে।
এইচআরডব্লিউ দাবি করেছে, প্রথম দিকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় তালেবানের তৎপরতা থাকলেও পরে তা দেশের অন্যান্য এলাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তালেবান দমনে সামরিক বাহিনী অভিযান চালানোর সময় তারা গণহত্যার মতো ঘটনাও ঘটিয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তালেবান সদস্য সন্দেহে হাজার হাজার লোককে সেনাবাহিনী গোপনে আটকে রেখেছে। তাদের মধ্য থেকে বহু লোককে ফায়ারিং স্কোয়াডে নিয়ে সেনারা গুলি করে হত্যা করেছে। এ রকম একটি গণহত্যার ভিডিও ফুটেজ তাদের হাতে রয়েছে বলে তারা দাবি করেছে।
এইচআরডব্লিউর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ গবেষক আলী দাইয়ান হাসান বলেন, পাকিস্তানে ফাঁকা মাঠে যে তালেবান উৎপীড়ন চলছে তা নয় বরং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনের ছত্রচ্ছায়ায় এসব ঘটছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বছর পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় কয়েক শ লোক নিহত হয়েছে। কমপক্ষে ১১ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপরও হামলার মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে।
করাচিতে জোড়া বোমা হামলায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের কমপক্ষে ৮০ জন মারা গেছে। এ ছাড়া একটি সুফি মাজারে বোমা হামলায় কয়েক ডজন লোক নিহত হয়।
ধর্মের সমালোচনা বন্ধে প্রণীত ব্লাসফেমি আইন সংস্কারের পক্ষে কথা বলায় পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নর সালমান তাসির নিজের দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। তাসিরের মতোই এ আইনের সমালোচনা করায় ক্ষমতাসীন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা শেরি রেহমানকে উগ্রপন্থীরা হত্যার হুমকি দিচ্ছে। প্রাণভয়ে এখন শেরি রেহমানকে ঘরে অবরুদ্ধ হয়ে থাকতে হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিপিপি ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শের ধারক ও বাহক বলে স্বীকৃত। কিন্তু ওই দলের নেতা হয়েও প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ গিলানি জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ করতে খুব কম কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কমিশন পাকিস্তানের (এইচআরডব্লিউপি) চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বলেন, ধর্মভিত্তিক দলগুলো ব্লাসফেমি আইনকে সামনে রেখে সরকারকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সরকারও তা মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছে।
এইচআরডব্লিউ দাবি করেছে, প্রথম দিকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় তালেবানের তৎপরতা থাকলেও পরে তা দেশের অন্যান্য এলাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তালেবান দমনে সামরিক বাহিনী অভিযান চালানোর সময় তারা গণহত্যার মতো ঘটনাও ঘটিয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তালেবান সদস্য সন্দেহে হাজার হাজার লোককে সেনাবাহিনী গোপনে আটকে রেখেছে। তাদের মধ্য থেকে বহু লোককে ফায়ারিং স্কোয়াডে নিয়ে সেনারা গুলি করে হত্যা করেছে। এ রকম একটি গণহত্যার ভিডিও ফুটেজ তাদের হাতে রয়েছে বলে তারা দাবি করেছে।
No comments