অস্ট্রেলিয়া দিবস ক্লার্কের দিন?
অ্যাশেজে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে সবাই যেন ভুলেই গিয়েছিল, ওয়ানডে ৎঙ্কিংয়ের এক নম্বর দলটি এখনো অস্ট্রেলিয়া। সাত ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম তিনটি জিতে সে কথা মনে করিয়ে দিল চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। রক্তের গন্ধ পেয়ে যেমন শিকারসন্ধানী হয়ে পড়ে বাঘ, অস্ট্রেলিয়াও কি তবে গন্ধ পাচ্ছে বিশ্বকাপের?
মাইকেল ক্লার্কের কথা শুনলে পরীক্ষায় ফার্স্ট হওয়ার পর কপট আক্ষেপ করা ছাত্রটির কথা মনে হতে পারে অনেকের। অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক যে বলছেন, ম্যাচের ফলের দিকে তাকিয়ে আত্মতৃপ্তিতে ভুগলে ভুল করবে দল। কারণ, উন্নতির আরও সুযোগ দেখছেন তিনি, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছি, দল সেই গতিটাও ফিরে পাচ্ছে। কিন্তু এখনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে আমরা পৌঁছাইনি। বিশ্বকাপের আগে সেখানে পৌঁছানোর ভালো সুযোগ থাকছে।’
ক্লার্ক যে লক্ষ্যের কথা বলছেন, সেদিকে আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়া হতে পারে আজই। অস্ট্রেলিয়ার জন্য বাড়তি প্রেরণা, আজ অ্যাডিলেডে জিতলে তিন ম্যাচ বাকি থাকতেই মীমাংসা হয়ে যাবে সিরিজের। এই সমীকরণই ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলতে যথেষ্ট। সঙ্গে যোগ হয়েছে এই তথ্যটাও—অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের সর্বশেষ ওয়ানডে জয়টি ২৮ বছর আগের!
এরপর অবশ্য এ মাঠে দুদল মাত্র চারটিই ওয়ানডে খেলেছে। সর্বশেষ ম্যাচটি তিন বছর আগে, যে ম্যাচে ১১০ রানে অলআউট হয়ে ইংল্যান্ড হেরেছিল ৯ উইকেটে। ‘উন্নতির আরও অনেক সুযোগ আছে’—ক্লার্কের এই কথায় দল অনুপ্রাণিত হলে ইংল্যান্ডের দুঃখ আরও বাড়বে।
ইংল্যান্ডের কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের মনে যা-ই থাক, মুখে কোনো দুশ্চিন্তার প্রকাশ নেই। এমনও একটা কথা রটেছে, এই সিরিজটা ইংল্যান্ড নাকি গা বাঁচিয়ে খেলছে বিশ্বকাপের জন্য। ফ্লাওয়ার সেই ধারণাও উড়িয়ে দিলেন, ‘শুরুটা আমাদের খারাপ হয়েছে। শেষটা আমরা ভালো করতে চাই। শুধু বিশ্বকাপের প্রস্তুতি বলে নয়, শেষ চারটি ম্যাচে ভালো এবং কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলার মতো ক্রিকেট খেলা আমাদের জন্য আসলেই জরুরি।’
দুশ্চিন্তার মধ্যে দুশ্চিন্তা হয়ে থাকছে গ্রায়েম সোয়ানের চোট। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের অন্যতম অস্ত্রকে আর খেলানোর ঝুঁকি নেয়নি দল। সোয়ান দেশে ফিরে যাচ্ছেন। অবশ্য অ্যাশেজের পর নবজাতককে সময় দিতে দেশে ফিরে যাওয়া জেমস অ্যান্ডারসন ফিরে এসেছেন। আজ মাঠেও নামবেন। গত ম্যাচে না খেলা কেভিন পিটারসেনও থাকছেন।
অস্ট্রেলিয়াও একেবারে দুশ্চিন্তামুক্ত নয়। সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা খোদ তাদের অধিনায়কই। মাইকেল ক্লার্ক টানা তিনটি জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন, কিন্তু সেই নেতৃত্ব ব্যাট হাতে হয়নি। প্রথম ম্যাচে ৫৭ বলে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ৩৬, এরপর ১০ আর গত ম্যাচে ৯। পুরো গ্রীষ্মেই রানখরায় ভুগতে থাকা ক্লার্ক অবশ্য দলের নির্বাচক গ্রেগ চ্যাপেলের সমর্থন পাচ্ছেন, ‘ওকে সমর্থন দেওয়ার অনেক কারণই আছে। ওর অধিনায়কত্বে আমরা মুগ্ধ। প্রথম তিন ম্যাচে তো সেটি ছিল দুর্দান্ত। শুধু ম্যাচ জেতা নয়; ওর কৌশল, বোলার পরিবর্তন—সবকিছুই দারুণ ছিল।’
অ্যাশেজের আগে অনেকে মাইক হাসিকেও বাদ দেওয়ার জন্য তাঁদের চাপ দিয়েছিলেন সেই তথ্য মনে করিয়ে দিয়ে চ্যাপেল বলেন, হাসির মতো ক্লার্কও নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদান ঠিকই দেবেন। ক্লার্ক নিজেও বুঝতে পারছেন, সময় এসেছে কিছু করার, ‘কঠোর পরিশ্রম করে গেলে সেটার ফল আমি পাবই। এই ফর্ম অবশ্যই পাল্টাবে। সেই ফর্ম ফিরে পাওয়ার সবচেয়ে শুভ দিন হতে পারে আগামীকাল (আজ), অস্ট্রেলিয়া দিবস।’
দেখা যাক, অস্ট্রেলিয়া দিবস ‘ক্লার্কের দিন’ হয়ে ওঠে কি না!
মাইকেল ক্লার্কের কথা শুনলে পরীক্ষায় ফার্স্ট হওয়ার পর কপট আক্ষেপ করা ছাত্রটির কথা মনে হতে পারে অনেকের। অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক যে বলছেন, ম্যাচের ফলের দিকে তাকিয়ে আত্মতৃপ্তিতে ভুগলে ভুল করবে দল। কারণ, উন্নতির আরও সুযোগ দেখছেন তিনি, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছি, দল সেই গতিটাও ফিরে পাচ্ছে। কিন্তু এখনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে আমরা পৌঁছাইনি। বিশ্বকাপের আগে সেখানে পৌঁছানোর ভালো সুযোগ থাকছে।’
ক্লার্ক যে লক্ষ্যের কথা বলছেন, সেদিকে আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়া হতে পারে আজই। অস্ট্রেলিয়ার জন্য বাড়তি প্রেরণা, আজ অ্যাডিলেডে জিতলে তিন ম্যাচ বাকি থাকতেই মীমাংসা হয়ে যাবে সিরিজের। এই সমীকরণই ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলতে যথেষ্ট। সঙ্গে যোগ হয়েছে এই তথ্যটাও—অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের সর্বশেষ ওয়ানডে জয়টি ২৮ বছর আগের!
এরপর অবশ্য এ মাঠে দুদল মাত্র চারটিই ওয়ানডে খেলেছে। সর্বশেষ ম্যাচটি তিন বছর আগে, যে ম্যাচে ১১০ রানে অলআউট হয়ে ইংল্যান্ড হেরেছিল ৯ উইকেটে। ‘উন্নতির আরও অনেক সুযোগ আছে’—ক্লার্কের এই কথায় দল অনুপ্রাণিত হলে ইংল্যান্ডের দুঃখ আরও বাড়বে।
ইংল্যান্ডের কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের মনে যা-ই থাক, মুখে কোনো দুশ্চিন্তার প্রকাশ নেই। এমনও একটা কথা রটেছে, এই সিরিজটা ইংল্যান্ড নাকি গা বাঁচিয়ে খেলছে বিশ্বকাপের জন্য। ফ্লাওয়ার সেই ধারণাও উড়িয়ে দিলেন, ‘শুরুটা আমাদের খারাপ হয়েছে। শেষটা আমরা ভালো করতে চাই। শুধু বিশ্বকাপের প্রস্তুতি বলে নয়, শেষ চারটি ম্যাচে ভালো এবং কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলার মতো ক্রিকেট খেলা আমাদের জন্য আসলেই জরুরি।’
দুশ্চিন্তার মধ্যে দুশ্চিন্তা হয়ে থাকছে গ্রায়েম সোয়ানের চোট। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের অন্যতম অস্ত্রকে আর খেলানোর ঝুঁকি নেয়নি দল। সোয়ান দেশে ফিরে যাচ্ছেন। অবশ্য অ্যাশেজের পর নবজাতককে সময় দিতে দেশে ফিরে যাওয়া জেমস অ্যান্ডারসন ফিরে এসেছেন। আজ মাঠেও নামবেন। গত ম্যাচে না খেলা কেভিন পিটারসেনও থাকছেন।
অস্ট্রেলিয়াও একেবারে দুশ্চিন্তামুক্ত নয়। সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা খোদ তাদের অধিনায়কই। মাইকেল ক্লার্ক টানা তিনটি জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন, কিন্তু সেই নেতৃত্ব ব্যাট হাতে হয়নি। প্রথম ম্যাচে ৫৭ বলে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ৩৬, এরপর ১০ আর গত ম্যাচে ৯। পুরো গ্রীষ্মেই রানখরায় ভুগতে থাকা ক্লার্ক অবশ্য দলের নির্বাচক গ্রেগ চ্যাপেলের সমর্থন পাচ্ছেন, ‘ওকে সমর্থন দেওয়ার অনেক কারণই আছে। ওর অধিনায়কত্বে আমরা মুগ্ধ। প্রথম তিন ম্যাচে তো সেটি ছিল দুর্দান্ত। শুধু ম্যাচ জেতা নয়; ওর কৌশল, বোলার পরিবর্তন—সবকিছুই দারুণ ছিল।’
অ্যাশেজের আগে অনেকে মাইক হাসিকেও বাদ দেওয়ার জন্য তাঁদের চাপ দিয়েছিলেন সেই তথ্য মনে করিয়ে দিয়ে চ্যাপেল বলেন, হাসির মতো ক্লার্কও নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদান ঠিকই দেবেন। ক্লার্ক নিজেও বুঝতে পারছেন, সময় এসেছে কিছু করার, ‘কঠোর পরিশ্রম করে গেলে সেটার ফল আমি পাবই। এই ফর্ম অবশ্যই পাল্টাবে। সেই ফর্ম ফিরে পাওয়ার সবচেয়ে শুভ দিন হতে পারে আগামীকাল (আজ), অস্ট্রেলিয়া দিবস।’
দেখা যাক, অস্ট্রেলিয়া দিবস ‘ক্লার্কের দিন’ হয়ে ওঠে কি না!
No comments