এবার মিসরে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ
এবার মিসরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার সে দেশের হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। পুলিশ লাঠিপেটা, জলকামান ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিউনিসিয়ায় সরকারবিরোধী সফল বিক্ষোভে উৎসাহিত হয়ে মিসরের লোকজন সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট ফেসবুক ও টুইটারের মাধ্যমে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিক্ষোভের আয়োজন করে। সরকার বিক্ষোভ দমনে টুইটারের নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিয়েছে। নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে কায়রোর মুঠোফোন নেটওয়ার্কে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মিসরের সরকার ও বিক্ষোভকারী উভয় পক্ষকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিশ্বাস করে, মিসরের সরকারের ভিত্তি মজবুত।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, রাজধানী কায়রোতে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে। সেখানে প্রায় ১৫ হাজার লোক বিক্ষোভে অংশ নেয়। একই সময় কায়রোর বাইরে আলেক্সান্দ্রিয়া, মানসুরা, টান্টা, আসওয়ান ও আসিউত শহরেও বিক্ষোভ হয়েছে। কায়রোর পরে বড় বিক্ষোভটি হয়েছে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেক্সান্দ্রিয়ায়। সব শহরে বিক্ষোভকারীরা মিসরের পতাকা হাতে ‘মোবারক নিপাত যাক’ বলে স্লোগান দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কায়রোতে বিক্ষোভ দমনে ২০ থেকে ৩০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীরা কেন্দ্রীয় তাহরির স্কয়ারের দিকে অগ্রসর হয়। এ সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করলে বিক্ষোভকারীরা কিছুক্ষণের জন্য ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে আবার তারা সংঘবদ্ধ হয়ে বিক্ষোভ করে। তখন পার্লামেন্টের পার্শ্ববর্তী সড়কেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। জবাবে পুলিশ জলকামান নিক্ষেপ করে।
বন্দরনগর ইসমাইলিয়ায় হওয়া বিক্ষোভে সহস্রাধিক লোক অংশ নেয়। তারা সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে এই বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে, আরব বিশ্বের নেতাদের তিউনিসিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট জয়নুল আবেদিন বেন আলীর ভাগ্য বরণ করতে হবে। বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘এর পরের জয়নুল আবেদিন বেন আলী কে?’ বলে স্লোগান দেয়। সম্প্রতি ব্যাপক গণ-আন্দোলনের মুখে বেন আলীর ২৩ বছরের ক্ষমতার অবসান ঘটে।
মিসরের একজন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা বিক্ষোভকারীদের কখনো ক্ষতি করব না। কেননা, তারা আমাদের দেশেরই নাগরিক।’
১৯৮১ সাল থেকে মিসরের শাসনক্ষমতায় রয়েছেন হোসনি মোবারক। মোবারকের পর তাঁর ছেলে গামালকে একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট করা হতে পারে এমন জনশ্রুতি রয়েছে।
তিউনিসিয়ায় সরকারবিরোধী সফল বিক্ষোভে উৎসাহিত হয়ে মিসরের লোকজন সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট ফেসবুক ও টুইটারের মাধ্যমে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিক্ষোভের আয়োজন করে। সরকার বিক্ষোভ দমনে টুইটারের নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিয়েছে। নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে কায়রোর মুঠোফোন নেটওয়ার্কে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মিসরের সরকার ও বিক্ষোভকারী উভয় পক্ষকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিশ্বাস করে, মিসরের সরকারের ভিত্তি মজবুত।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, রাজধানী কায়রোতে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে। সেখানে প্রায় ১৫ হাজার লোক বিক্ষোভে অংশ নেয়। একই সময় কায়রোর বাইরে আলেক্সান্দ্রিয়া, মানসুরা, টান্টা, আসওয়ান ও আসিউত শহরেও বিক্ষোভ হয়েছে। কায়রোর পরে বড় বিক্ষোভটি হয়েছে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেক্সান্দ্রিয়ায়। সব শহরে বিক্ষোভকারীরা মিসরের পতাকা হাতে ‘মোবারক নিপাত যাক’ বলে স্লোগান দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কায়রোতে বিক্ষোভ দমনে ২০ থেকে ৩০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীরা কেন্দ্রীয় তাহরির স্কয়ারের দিকে অগ্রসর হয়। এ সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করলে বিক্ষোভকারীরা কিছুক্ষণের জন্য ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে আবার তারা সংঘবদ্ধ হয়ে বিক্ষোভ করে। তখন পার্লামেন্টের পার্শ্ববর্তী সড়কেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। জবাবে পুলিশ জলকামান নিক্ষেপ করে।
বন্দরনগর ইসমাইলিয়ায় হওয়া বিক্ষোভে সহস্রাধিক লোক অংশ নেয়। তারা সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে এই বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে, আরব বিশ্বের নেতাদের তিউনিসিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট জয়নুল আবেদিন বেন আলীর ভাগ্য বরণ করতে হবে। বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘এর পরের জয়নুল আবেদিন বেন আলী কে?’ বলে স্লোগান দেয়। সম্প্রতি ব্যাপক গণ-আন্দোলনের মুখে বেন আলীর ২৩ বছরের ক্ষমতার অবসান ঘটে।
মিসরের একজন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা বিক্ষোভকারীদের কখনো ক্ষতি করব না। কেননা, তারা আমাদের দেশেরই নাগরিক।’
১৯৮১ সাল থেকে মিসরের শাসনক্ষমতায় রয়েছেন হোসনি মোবারক। মোবারকের পর তাঁর ছেলে গামালকে একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট করা হতে পারে এমন জনশ্রুতি রয়েছে।
No comments