প্রকৃতি- 'জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃক্ষশত্রু' by মেহেদী উল্লাহ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের ছুটিতে আবারও গাছ কেটেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ১৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি গেটসংলগ্ন সড়কদ্বীপের প্রায় ৩০টি দেবদারু ও ঝাউগাছ কেটে ফেলা হয়েছে। নির্বিচারে কেন এ বৃক্ষনিধন? বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা মনগড়া উত্তর দিয়েছেন। কারণ তাঁরা নিজেরাই জানেন না এত গাছ একসঙ্গে কাটার সদুত্তর কী? এ গাছগুলোই এত দিন ক্যাম্পাসের শ্রীবৃদ্ধি করেছে। পাশেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতিচর্চার মুক্তমঞ্চ। পরিবেশের পাশাপাশি ক্যাম্পাসের আচার-অনুষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ববাহক ছিল গাছগুলো। সংগঠনগুলোর উৎসবের আগে গাছগুলোতে চোখ রাখলেই বোঝা যেত মুক্তমঞ্চের আসছে অনুষ্ঠানটি কী ধরনের। উৎসবের ধরন-আমেজ ফুটিয়ে তোলা হতো সড়কদ্বীপ ও আশপাশে।
প্রশাসন ভাবছে, বৃক্ষে নয়, ফুলের গাছ দিয়ে সৌন্দর্য বাড়ানো হবে। কিন্তু এ জন্য তো তারা কার্যরত সৌন্দর্য ও তার গুরুত্ব ধ্বংস করে অন্য সৌন্দর্য গড়তে পারে না। বস্তুত এ গাছগুলোর ক্ষতিকর কোনো দিকই ছিল না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃক্ষ নিধনের এ ঘটনা প্রশ্ন দাঁড় করায়, সৌন্দর্য ধ্বংস করে, পরিবেশের ক্ষতি করে, মানুষের বন্ধুকে নিধন করে এ কোন উন্নয়ন? জাহাঙ্গীরনগরের এই ঘটনা সরকারের দৃষ্টিগোচরীভূত নিশ্চয়ই হয়েছে। দেশের সবচেয়ে উঁচু শহীদ মিনারটি যেহেতু তাদের সীমানায় তাই তারা ঢাকা-আরিচা থেকে দেশবাসীকে এটি দেখাতেই পারে। কিন্তু এর আগে পত্রিকায় দেখেছি, কুকুর ঘুমাচ্ছে, যে কেউ জুতা নিয়ে যখন তখন উঠছে_কোনো নির্দেশনা পর্যন্ত নেই। ফলে শহীদ মিনারের প্রতি তাদের কতটা টান তাতেই বোঝা যায়। গাছগুলো যেদিন কাটা হয় সেদিনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে পরিবেশ আইন-২০১০ নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়। প্রকৃতপক্ষে সরকারের চিন্তার সঙ্গে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক চিন্তা কাঠামোর সাদৃশ্য যে নেই তা এ ঘটনায় পরিষ্কার! জাবিতে এর আগেও কাটা হয়েছে শতাধিক গাছ। এ গাছগুলো কেন তাদের শত্রুতে পরিণত হল তা আমাদের বোধগম্য নয়। বাস্তবতা এমন, এর বদলে যদি আরেক প্রশাসন আসে তারাও ঠিক একই কাজ করবে! কারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চরিত্র পাল্টে উচ্চশিক্ষা ধ্বংস ও বাণিজ্যিকীকরণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে একটি মহল। প্রশাসন যখন যেখান থেকে পারছে অর্থ আয়ের অপকৌশল বেছে নিচ্ছে। তাই এ বৃক্ষনিধন বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। ইউজিসির ২০ বছর মেয়াদি উচ্চশিক্ষার কৌশলপত্রের অনুসরণে একে 'প্রাইভেট' বানানো হচ্ছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে ধীরে ধীরে নিজস্ব আয়ে চলতে হবে_এ নীতির বাস্তবায়ন হচ্ছে। নষ্ট করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতির পরিবেশ। এখন আর শিক্ষার্থীরা আগের মতো সংগঠিত ও অধিকার-সচেতন নয়। তাই প্রশাসনের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে প্রতিবাদ জানানোর সাধ্য তাদের নেই।
প্রশাসন ভাবছে, বৃক্ষে নয়, ফুলের গাছ দিয়ে সৌন্দর্য বাড়ানো হবে। কিন্তু এ জন্য তো তারা কার্যরত সৌন্দর্য ও তার গুরুত্ব ধ্বংস করে অন্য সৌন্দর্য গড়তে পারে না। বস্তুত এ গাছগুলোর ক্ষতিকর কোনো দিকই ছিল না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃক্ষ নিধনের এ ঘটনা প্রশ্ন দাঁড় করায়, সৌন্দর্য ধ্বংস করে, পরিবেশের ক্ষতি করে, মানুষের বন্ধুকে নিধন করে এ কোন উন্নয়ন? জাহাঙ্গীরনগরের এই ঘটনা সরকারের দৃষ্টিগোচরীভূত নিশ্চয়ই হয়েছে। দেশের সবচেয়ে উঁচু শহীদ মিনারটি যেহেতু তাদের সীমানায় তাই তারা ঢাকা-আরিচা থেকে দেশবাসীকে এটি দেখাতেই পারে। কিন্তু এর আগে পত্রিকায় দেখেছি, কুকুর ঘুমাচ্ছে, যে কেউ জুতা নিয়ে যখন তখন উঠছে_কোনো নির্দেশনা পর্যন্ত নেই। ফলে শহীদ মিনারের প্রতি তাদের কতটা টান তাতেই বোঝা যায়। গাছগুলো যেদিন কাটা হয় সেদিনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে পরিবেশ আইন-২০১০ নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়। প্রকৃতপক্ষে সরকারের চিন্তার সঙ্গে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক চিন্তা কাঠামোর সাদৃশ্য যে নেই তা এ ঘটনায় পরিষ্কার! জাবিতে এর আগেও কাটা হয়েছে শতাধিক গাছ। এ গাছগুলো কেন তাদের শত্রুতে পরিণত হল তা আমাদের বোধগম্য নয়। বাস্তবতা এমন, এর বদলে যদি আরেক প্রশাসন আসে তারাও ঠিক একই কাজ করবে! কারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চরিত্র পাল্টে উচ্চশিক্ষা ধ্বংস ও বাণিজ্যিকীকরণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে একটি মহল। প্রশাসন যখন যেখান থেকে পারছে অর্থ আয়ের অপকৌশল বেছে নিচ্ছে। তাই এ বৃক্ষনিধন বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। ইউজিসির ২০ বছর মেয়াদি উচ্চশিক্ষার কৌশলপত্রের অনুসরণে একে 'প্রাইভেট' বানানো হচ্ছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে ধীরে ধীরে নিজস্ব আয়ে চলতে হবে_এ নীতির বাস্তবায়ন হচ্ছে। নষ্ট করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতির পরিবেশ। এখন আর শিক্ষার্থীরা আগের মতো সংগঠিত ও অধিকার-সচেতন নয়। তাই প্রশাসনের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে প্রতিবাদ জানানোর সাধ্য তাদের নেই।
========================
ইতিহাস- 'ইতিহাসে মওলানা ভাসানীর আসন' by সৈয়দ আবুল মকসুদ ইতিহাস- 'টিকে থাকুক ‘টেগর লজ’' by আশীষ-উর-রহমান আলোচনা- 'কর্মশক্তি ও টাকার অপচয়!' by রোজিনা ইসলাম রাজনৈতিক আলোচনা- 'আশির দশকে রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন' by আবুল কাসেম ফজলুল হক আলোচনা- 'বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব আকাশচুম্বী' by ড. নিয়াজ আহম্মেদ ইতিহাস- 'প্রত্যন্ত জনপদে ইতিহাস-সঙ্গী হয়ে' by সাযযাদ কাদির আন্তর্জাতিক- 'জাতিসংঘ বনাম যুক্তরাষ্ট্র' by শহিদুল শহিদুল ইসলাম গল্পালোচনা- 'দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ?' by মহসীন মহসীন হাবিব স্বাস্থ্য আলোচনা- 'প্রসূতিসেবায় পিছিয়ে দেশ' by শেখ সাবিহা আলম রাজনৈতিক আলোচনা- 'বন্দিত কান্না, নিন্দিত হরতাল আর রাজকীয় অশ্রুপাতের গল্প' by ফারুক ওয়াসিফ খবর- উত্তর কোরিয়ার নতুন পরমাণু প্ল্যান্ট দেখে 'তাজ্জব' মার্কিন বিজ্ঞানীরা গল্পসল্প- 'মুজিব একবার আসিয়া সোনার বাংলা যাওরে দেখিয়ারে' by মোস্তফা হোসেইন আন্তর্জাতিক- 'ওবামা কি ক্লিনটনের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করবেন?' by সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী কৃষি আলোচনা- 'পোষের শেষ মাঘের বারো' by ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস মণিপুরি মহা রাসলীলা উৎসবের ইতিকথা by মুজিবুর রহমান
কালের কন্ঠ এর সৌজন্যে
লেখকঃ মেহেদী উল্লাহ
লেখা'টি পড়া হয়েছে...
ইতিহাস- 'ইতিহাসে মওলানা ভাসানীর আসন' by সৈয়দ আবুল মকসুদ ইতিহাস- 'টিকে থাকুক ‘টেগর লজ’' by আশীষ-উর-রহমান আলোচনা- 'কর্মশক্তি ও টাকার অপচয়!' by রোজিনা ইসলাম রাজনৈতিক আলোচনা- 'আশির দশকে রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন' by আবুল কাসেম ফজলুল হক আলোচনা- 'বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব আকাশচুম্বী' by ড. নিয়াজ আহম্মেদ ইতিহাস- 'প্রত্যন্ত জনপদে ইতিহাস-সঙ্গী হয়ে' by সাযযাদ কাদির আন্তর্জাতিক- 'জাতিসংঘ বনাম যুক্তরাষ্ট্র' by শহিদুল শহিদুল ইসলাম গল্পালোচনা- 'দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ?' by মহসীন মহসীন হাবিব স্বাস্থ্য আলোচনা- 'প্রসূতিসেবায় পিছিয়ে দেশ' by শেখ সাবিহা আলম রাজনৈতিক আলোচনা- 'বন্দিত কান্না, নিন্দিত হরতাল আর রাজকীয় অশ্রুপাতের গল্প' by ফারুক ওয়াসিফ খবর- উত্তর কোরিয়ার নতুন পরমাণু প্ল্যান্ট দেখে 'তাজ্জব' মার্কিন বিজ্ঞানীরা গল্পসল্প- 'মুজিব একবার আসিয়া সোনার বাংলা যাওরে দেখিয়ারে' by মোস্তফা হোসেইন আন্তর্জাতিক- 'ওবামা কি ক্লিনটনের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করবেন?' by সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী কৃষি আলোচনা- 'পোষের শেষ মাঘের বারো' by ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস মণিপুরি মহা রাসলীলা উৎসবের ইতিকথা by মুজিবুর রহমান
কালের কন্ঠ এর সৌজন্যে
লেখকঃ মেহেদী উল্লাহ
লেখা'টি পড়া হয়েছে...
No comments