ন্যাটোর নতুন পরিকল্পনা মার্কিন ‘ব্যর্থতার প্রতীক’: তালেবান
আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার ও দেশটির সেনাদের হাতে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে ন্যাটোর পরিকল্পনাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ব্যর্থতার প্রতীক’ বলে আখ্যা দিয়েছে তালেবান গোষ্ঠী। কট্টরপন্থী এই গোষ্ঠীর মতে, সদস্যদেশগুলোর কাছ থেকে অতিরিক্ত সামরিক সহায়তার আশ্বাস না পাওয়ায় ন্যাটো এ পরিকল্পনা নিয়েছে।
আগামী বছরের শুরুতে আফগান যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সেনা প্রত্যাহার ও ২০১৪ সালের মধ্যে নিরাপত্তার পুরো দায়িত্ব দেশটির সেনাদের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গত শনিবার পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে এ-সংক্রান্ত একটি পরিকল্পনা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ও ন্যাটোর মহাসচিব অ্যান্ডার্স রাসমুসেন এতে স্বাক্ষর করেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, আফগানিস্তানে সামনের দিনগুলোতে বিদেশি সেনাদের কঠিন যুদ্ধের মুখে পড়তে হবে। দেশটি ২০১৪ সালের মধ্যে সেনা অভিযানের বিষয়টি একেবারে নাকচ করে দেয়নি।
লিসবন চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল তালেবান এ প্রতিক্রিয়া জানায়। তালেবানের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আফগানিস্তানের জনগণ এবং বিশ্বের স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষের জন্য এটি সুসংবাদ। এটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ব্যর্থতার প্রতীক। ‘লিসবন বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামিক এমিরেট অব আফগানিস্তানের প্রতিক্রিয়া’ শীর্ষক ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দখলদারেরা গত নয় বছরে কাবুলে কোনো সরকারব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেনি। ভবিষ্যতেও তারা কখনো তা করতে পারবে না। তালেবান গোষ্ঠী দাবি করে, আফগানিস্তানে বিদেশি সেনাদের ধ্বংস অনিবার্য। পূর্বসূরিদের মতোই তাদের পরিণতি হবে। সদস্যদেশগুলো দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত না দেওয়ায় ন্যাটো বাধ্য হয়েই নতুন এই পরিকল্পনা নিয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
বিবৃতিতে আবারও আফগানিস্তান থেকে দ্রুত বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের আবেদন জানানো হয়। বলা হয়, বিদেশি সেনারা অর্থহীনভাবে চাপিয়ে দেওয়া এবং জয় সম্ভব নয়—এমন এক যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার এক দিনের জন্যও দেরি করা উচিত নয় বলে উল্লেখ করা হয়।
চলতি বছরের শুরুতে তালেবান দমনে আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে বড় ধরনের অভিযান চালায় ন্যাটো বাহিনী। দেশটির বেশ কিছু এলাকা, বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলে তালেবান গোষ্ঠী এখনো বেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। আফগানিস্তানে বর্তমানে ৪৮টি দেশের দেড় লাখ সেনা রয়েছে।
লিসবনে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ন্যাটোর মহাসচিব অ্যান্ডার্স ফগ রাসমুসেন বলেন, আফগান সেনারা আগামী বছরের শুরুতে কয়েকটি জেলার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবেন। ধীরে ধীরে পুরো দেশের দায়িত্ব তাঁদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে প্রয়োজনে বিদেশি সেনারা সহায়কের ভূমিকা পালন করবেন।
আগামী বছরের শুরুতে আফগান যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সেনা প্রত্যাহার ও ২০১৪ সালের মধ্যে নিরাপত্তার পুরো দায়িত্ব দেশটির সেনাদের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গত শনিবার পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে এ-সংক্রান্ত একটি পরিকল্পনা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ও ন্যাটোর মহাসচিব অ্যান্ডার্স রাসমুসেন এতে স্বাক্ষর করেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, আফগানিস্তানে সামনের দিনগুলোতে বিদেশি সেনাদের কঠিন যুদ্ধের মুখে পড়তে হবে। দেশটি ২০১৪ সালের মধ্যে সেনা অভিযানের বিষয়টি একেবারে নাকচ করে দেয়নি।
লিসবন চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল তালেবান এ প্রতিক্রিয়া জানায়। তালেবানের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আফগানিস্তানের জনগণ এবং বিশ্বের স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষের জন্য এটি সুসংবাদ। এটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ব্যর্থতার প্রতীক। ‘লিসবন বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামিক এমিরেট অব আফগানিস্তানের প্রতিক্রিয়া’ শীর্ষক ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দখলদারেরা গত নয় বছরে কাবুলে কোনো সরকারব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেনি। ভবিষ্যতেও তারা কখনো তা করতে পারবে না। তালেবান গোষ্ঠী দাবি করে, আফগানিস্তানে বিদেশি সেনাদের ধ্বংস অনিবার্য। পূর্বসূরিদের মতোই তাদের পরিণতি হবে। সদস্যদেশগুলো দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত না দেওয়ায় ন্যাটো বাধ্য হয়েই নতুন এই পরিকল্পনা নিয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
বিবৃতিতে আবারও আফগানিস্তান থেকে দ্রুত বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের আবেদন জানানো হয়। বলা হয়, বিদেশি সেনারা অর্থহীনভাবে চাপিয়ে দেওয়া এবং জয় সম্ভব নয়—এমন এক যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার এক দিনের জন্যও দেরি করা উচিত নয় বলে উল্লেখ করা হয়।
চলতি বছরের শুরুতে তালেবান দমনে আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে বড় ধরনের অভিযান চালায় ন্যাটো বাহিনী। দেশটির বেশ কিছু এলাকা, বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলে তালেবান গোষ্ঠী এখনো বেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। আফগানিস্তানে বর্তমানে ৪৮টি দেশের দেড় লাখ সেনা রয়েছে।
লিসবনে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ন্যাটোর মহাসচিব অ্যান্ডার্স ফগ রাসমুসেন বলেন, আফগান সেনারা আগামী বছরের শুরুতে কয়েকটি জেলার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবেন। ধীরে ধীরে পুরো দেশের দায়িত্ব তাঁদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে প্রয়োজনে বিদেশি সেনারা সহায়কের ভূমিকা পালন করবেন।
No comments