সূচনাতেই লুকিয়ে অ্যাশেজের ভবিষ্যৎ
হাজারো দর্শকের গর্জন, ধারাভাষ্যকারদের উত্তেজিত কণ্ঠ ছাপিয়ে প্রথম বলটি করলেন স্টিভ হার্মিসন। ব্যাটসম্যান ছেড়ে দিলেন, আসলে ছাড়তে বাধ্য হলেন। উইকেটকিপার নয়, বলটির ঠিকানা হলো দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের হাত! ২০০৬-০৭ অ্যাশেজ শুরুর সেই বলটিই নাকি নির্ধারণ করে দিয়েছিল পুরো সিরিজের গতিপথ। নন-স্ট্রাইক প্রান্ত থেকে সেই বলটি দেখা ম্যাথু হেইডেনের ধারণা, এবারও অ্যাশেজের গতিপথ ঠিক করে দেবে শুরুর সময়টা।
অনেকের ধারণা, গ্যাবায় হার্মিসনের বিশাল ওয়াইডেই নাকি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড দলের নড়বড়ে মানসিকতা। ৫-০-তে সিরিজ হারের লজ্জা নিয়ে ফিরতে হয় দেশে। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই হেইডেনের ধারণা, অ্যাশেজ জিততে হলে আগে জিততে হবে প্রথম সেশন, ‘হার্মিসনের ওই ডেলিভারিতে ক্রিকেট-বিশ্ব হতবাক হয়ে গিয়েছিল। স্ট্রাইকে থাকা জাস্টিন ল্যাঙ্গারের কথা না-ই বললাম, ও তো ভেবেছিল ভুল উইকেটে ব্যাটিং করছে! এই শুরুই অনেকটা ঠিক করে দিয়েছিল সিরিজের গতিপথ। এবারও প্রথম দুই ঘণ্টা ভালো খেলতে হবে, এটাই পুরো গ্রীষ্মের গতিপথ ঠিক করে দেবে।’
৫১.৬২ গড়ে ৪১৩ রান করে ওই সিরিজে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করায় বড় অবদান ছিল হেইডেনের। ওই অ্যাশেজটাই আবার দুঃসহ অভিজ্ঞতা হয়ে আছে অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের জন্য। অধিনায়ক হিসেবে অ্যাশেজ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলেন, দেশে ফিরেছেন হোয়াইটওয়াশ হয়ে। চোটের কাছে হার মেনে ক্রিকেট ছেড়ে দিয়েছেন, সেই জ্বালা মেটানোর উপায় আর নেই। তবে সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়কের আশা, ‘অ্যান্ডারসন এখন অনেক পরিণত বোলার, পিটারসেন বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন, আছে স্ট্রাউসের মতো ভালো অধিনায়ক, এবার ইংল্যান্ডের সম্ভাবনা দারুণ।’
ফ্লিটনফ-কলিংউডের সঙ্গে একমত নন হেইডেন। গত বছর ক্রিকেটকে বিদায় জানানো অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারের যুক্তিটা অদ্ভুত, ‘সংবাদমাধ্যম আমাদের ক্রিকেটারদের একটু বেশিই সমালোচনা করছে। এটাই ওদের ঐক্যবদ্ধ করবে, অ্যাশেজে ওরা নিজেদের সবটুকু উজাড় করে দেবে।’
অনেকের ধারণা, গ্যাবায় হার্মিসনের বিশাল ওয়াইডেই নাকি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড দলের নড়বড়ে মানসিকতা। ৫-০-তে সিরিজ হারের লজ্জা নিয়ে ফিরতে হয় দেশে। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই হেইডেনের ধারণা, অ্যাশেজ জিততে হলে আগে জিততে হবে প্রথম সেশন, ‘হার্মিসনের ওই ডেলিভারিতে ক্রিকেট-বিশ্ব হতবাক হয়ে গিয়েছিল। স্ট্রাইকে থাকা জাস্টিন ল্যাঙ্গারের কথা না-ই বললাম, ও তো ভেবেছিল ভুল উইকেটে ব্যাটিং করছে! এই শুরুই অনেকটা ঠিক করে দিয়েছিল সিরিজের গতিপথ। এবারও প্রথম দুই ঘণ্টা ভালো খেলতে হবে, এটাই পুরো গ্রীষ্মের গতিপথ ঠিক করে দেবে।’
৫১.৬২ গড়ে ৪১৩ রান করে ওই সিরিজে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করায় বড় অবদান ছিল হেইডেনের। ওই অ্যাশেজটাই আবার দুঃসহ অভিজ্ঞতা হয়ে আছে অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের জন্য। অধিনায়ক হিসেবে অ্যাশেজ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলেন, দেশে ফিরেছেন হোয়াইটওয়াশ হয়ে। চোটের কাছে হার মেনে ক্রিকেট ছেড়ে দিয়েছেন, সেই জ্বালা মেটানোর উপায় আর নেই। তবে সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়কের আশা, ‘অ্যান্ডারসন এখন অনেক পরিণত বোলার, পিটারসেন বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন, আছে স্ট্রাউসের মতো ভালো অধিনায়ক, এবার ইংল্যান্ডের সম্ভাবনা দারুণ।’
ফ্লিটনফ-কলিংউডের সঙ্গে একমত নন হেইডেন। গত বছর ক্রিকেটকে বিদায় জানানো অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারের যুক্তিটা অদ্ভুত, ‘সংবাদমাধ্যম আমাদের ক্রিকেটারদের একটু বেশিই সমালোচনা করছে। এটাই ওদের ঐক্যবদ্ধ করবে, অ্যাশেজে ওরা নিজেদের সবটুকু উজাড় করে দেবে।’
No comments