পার্সেল বোমার মতো হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা আল-কায়েদার
পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে পার্সেল বোমার মতো হামলা ক্রমাগত চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইয়েমেনভিত্তিক আল-কায়েদা। পশ্চিমা দেশগুলোকে বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন করার লক্ষ্যে তারা এ ধরনের হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত শনিবার আল-কায়েদার ইংরেজি সাময়িকী ইন্সপায়ার পর্যবেক্ষণ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা ‘ইন্টেলসেন্টার’ এ তথ্য দিয়েছে।
ওই সাময়িকীতে আল-কায়েদা ইন অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা (একিউএপি) জানায়, গত মাসের শেষের দিকে কার্গো বিমানে করে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে যে পার্সেল বোমা পাঠানো হচ্ছিল, সেটার পেছনে বড় ধরনের কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটানোর উদ্দেশ্য ছিল না। উদ্দেশ্য ছিল বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন করা।
একটি সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক জানায়, ‘আমেরিকার পতন ঘটানোর জন্য আমাদের বড় ধরনের আক্রমণে যাওয়ার কোনো দরকার নেই। পার্সেল বোমার মতো ছোট হামলা চালানো তুলনামূলকভাবে অনেক সহজ। এতে বেশি লোকের প্রয়োজন নেই। অল্প সময়েই এটি করা যায়। এতে খরচও কম।’
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে ইহুদিদের একটি উপাসনালয়ের ঠিকানায় পার্সেলে বিস্ফোরক পাঠানোর সময় ব্রিটেন ও দুবাইয়ে ধরা পড়ে। এরপর ইয়েমেন থেকে আসা কার্গো বিমানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বিশ্বের অনেক দেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
সাময়িকীতে আরও বলা হয়, ‘ওই পার্সেল বোমা পাঠানোর জন্য মাত্র চার হাজার ২০০ ডলার ব্যয় করতে হয়েছে। আর সময় লেগেছে মাত্র তিন মাস। কিন্তু এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে নতুন করে নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তুলতে হয়েছে। তাতে ব্যয় হয়েছে কয়েক শ কোটি ডলার। এ হামলার পরিকল্পনার শুরু থেকেই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল পশ্চিমা বিশ্বকে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন করা।
সাময়িকীতে বলা হয়, দুটি বিষয়ের ওপর আমাদের সাফল্য নির্ধারণ করা হয়। প্রথমটি হলো, আমাদের পাঠানো বোমা আধুনিক নিরাপত্তামূলক যন্ত্রপাতিকে ফাঁকি দিতে সক্ষম। আর দ্বিতীয়টি হলো, ভীতি সৃষ্টির মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলোকে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করানো। আমরা এ ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাব এবং মাঝপথে যদি আমাদের পাঠানো বোমা আটকও করা হয়, তাতেও আমাদের দুঃখ নেই। এ ছাড়া আমরা বিশ্বের অন্যান্য ইসলামি জঙ্গি সংগঠনকে এ ধরনের ছোট ছোট হামলা করার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করব। আমাদের পরিকল্পনা আগে থেকেই শত্রুদের জানাতে চাই। কেননা আমাদের হামলার মূল লক্ষ্য বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটানো নয়।
‘আমাদের এ ধরনের হামলার আরেকটি উদ্দেশ্য হলো, বিমান পরিবহনব্যবস্থায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। কেননা ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা-বাণিজ্য ও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে আকাশপথ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
ওই সাময়িকীতে আল-কায়েদা ইন অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা (একিউএপি) জানায়, গত মাসের শেষের দিকে কার্গো বিমানে করে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে যে পার্সেল বোমা পাঠানো হচ্ছিল, সেটার পেছনে বড় ধরনের কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটানোর উদ্দেশ্য ছিল না। উদ্দেশ্য ছিল বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন করা।
একটি সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক জানায়, ‘আমেরিকার পতন ঘটানোর জন্য আমাদের বড় ধরনের আক্রমণে যাওয়ার কোনো দরকার নেই। পার্সেল বোমার মতো ছোট হামলা চালানো তুলনামূলকভাবে অনেক সহজ। এতে বেশি লোকের প্রয়োজন নেই। অল্প সময়েই এটি করা যায়। এতে খরচও কম।’
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে ইহুদিদের একটি উপাসনালয়ের ঠিকানায় পার্সেলে বিস্ফোরক পাঠানোর সময় ব্রিটেন ও দুবাইয়ে ধরা পড়ে। এরপর ইয়েমেন থেকে আসা কার্গো বিমানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বিশ্বের অনেক দেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
সাময়িকীতে আরও বলা হয়, ‘ওই পার্সেল বোমা পাঠানোর জন্য মাত্র চার হাজার ২০০ ডলার ব্যয় করতে হয়েছে। আর সময় লেগেছে মাত্র তিন মাস। কিন্তু এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে নতুন করে নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তুলতে হয়েছে। তাতে ব্যয় হয়েছে কয়েক শ কোটি ডলার। এ হামলার পরিকল্পনার শুরু থেকেই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল পশ্চিমা বিশ্বকে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন করা।
সাময়িকীতে বলা হয়, দুটি বিষয়ের ওপর আমাদের সাফল্য নির্ধারণ করা হয়। প্রথমটি হলো, আমাদের পাঠানো বোমা আধুনিক নিরাপত্তামূলক যন্ত্রপাতিকে ফাঁকি দিতে সক্ষম। আর দ্বিতীয়টি হলো, ভীতি সৃষ্টির মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলোকে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করানো। আমরা এ ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাব এবং মাঝপথে যদি আমাদের পাঠানো বোমা আটকও করা হয়, তাতেও আমাদের দুঃখ নেই। এ ছাড়া আমরা বিশ্বের অন্যান্য ইসলামি জঙ্গি সংগঠনকে এ ধরনের ছোট ছোট হামলা করার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করব। আমাদের পরিকল্পনা আগে থেকেই শত্রুদের জানাতে চাই। কেননা আমাদের হামলার মূল লক্ষ্য বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটানো নয়।
‘আমাদের এ ধরনের হামলার আরেকটি উদ্দেশ্য হলো, বিমান পরিবহনব্যবস্থায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। কেননা ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা-বাণিজ্য ও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে আকাশপথ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
No comments