জান্তার সঙ্গে কাজ করতে চান সু চি
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি বলেছেন, তিনি সামরিক জান্তার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। জান্তাদের নতুন রাজনৈতিক পদ্ধতি জনগণের সহায়ক হলে তাতে সমর্থন দেওয়ার কথাও বলেছেন সু চি। গত শুক্রবার রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। এদিকে একই দিন সিএনএনকে দেওয়া আরেকটি সাক্ষাৎকারে জান্তা সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কোন্নয়নের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সু চি বলেন, তবে এ ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনকে চোখে গোলাপি কাচের চশমা পরলে চলবে না।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী সু চিকে সে দেশের জান্তা সরকার গত ২১ বছরের মধ্যে অন্তত ১৫ বছর গৃহবন্দী করে রাখে। গত সপ্তাহে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তির পরই জান্তা সরকারকে গণতান্ত্রিক সংস্কারের পথে নিয়ে আসার ব্যাপারে গভীর ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করেন সু চি। রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সামরিক জান্তাকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি আমরা নাকচ করে দিইনি।’
মিয়ানমারে অহিংস উপায়ে একটি শান্তিপূর্ণ বিপ্লব ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে ভাবনা কী—জানতে চাইলে সু চি বলেন, ‘কতগুলো ধাপে বিষয়টি নিয়ে কাজ করা যেতে পারে। এ নিয়ে আমরা এখনো আলোচনা করিনি। তবে সামরিক শাসন আর চাই না, এমনটি বলছি না, বরং একে নাটকীয় পরিবর্তনের চেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন হিসেবে আমরা দেখব। কারণ, নাটক সব সময় মঙ্গলজনক নয়।’
রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার ব্যাপারে সু চি বলেন, ‘আমি একজন রাজনীতিক। ব্যক্তির নিজের কাছে যা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়, তাকে কখনোই সে অবস্থা থেকে বের করে আনা ঠিক নয়। আমি রাজনীতি নিয়ে কাজ করি। সুতরাং আমি একজন রাজনীতিক। মিয়ানমারের জনগণও আমাকে রাজনীতিক হিসেবে দেখতে পছন্দ করে।’
নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও গ্রামে গ্রামে গিয়ে সমর্থকদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার আশা প্রকাশ করেন সু চি।
এদিকে সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সু চি বলেন, ‘অসংখ্য মানুষের মুখ থেকে শোনা যাচ্ছে, মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে হাত মেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন। আমি অবশ্য মনে করি, এটা একটা ভালো উদ্যোগ। তবে আমি আশা করি, ওয়াশিংটন মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক অগ্রগতির বিষয়গুলোর ওপর জোর দেবে। সে ক্ষেত্রে তারা চোখে গোলাপি কাচের চশমা পরবে না। বাস্তব চিত্রটাই দেখবে।’
আশ্রয়কেন্দ্র গুটিয়ে নিতে জান্তার নির্দেশ
মিয়ানমারের জান্তা সরকার সে দেশের একটি বেসরকারি আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ৮২ জন এইচআইভি ও এইডস রোগীকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সু চি গত বুধবার ওই আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে দেখার পরদিনই সরকার এ নির্দেশ দেয়। আশ্রয়কেন্দ্রটির এক মুখপাত্র গতকাল শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
গৃহবন্দী অবস্থা থেকে গত সপ্তাহে মুক্তি পাওয়ার পর রেঙ্গুনের অদূরে ওই আশ্রয়কেন্দ্রটি পরিদর্শনে যান সু চি। সেখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ওষুধসহ সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। একপর্যায়ে তাঁকে দেখতে আসা ছয় শতাধিক মানুষের এক সমাবেশে বক্তব্য দেন সু চি।
গণতন্ত্রপন্থী কর্মী ও ওই আশ্রয়কেন্দ্রের আর্থিক সহায়তা দানকারী ফিউ ফিউ থিন বলেন, সু চির পরিদর্শনের পরদিন সরকার সকল রোগীকে আশ্রয়কেন্দ্র ত্যাগের নির্দেশ পাঠায়। এক সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে ওই নির্দেশে বলা হয়, এ সময়ের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে না গেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মিয়ানমারের আইন অনুযায়ী, ওই আশ্রয়কেন্দ্রের মালিককে দুই সপ্তাহ পরপর সেখানে রাত যাপন করতে আসা মানুষদের থাকার অনুমতি নবায়ন করতে হয়।
অং সান সু চির দলের মুখপাত্র ও ওই আশ্রয়কেন্দ্রের একজন ব্যবস্থাপক জেয়ার বলেন, তাঁর ধারণা, সু চির ওই কেন্দ্রটি পরিদর্শনের জেরেই সরকার চাপ সৃষ্টি করছে।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী সু চিকে সে দেশের জান্তা সরকার গত ২১ বছরের মধ্যে অন্তত ১৫ বছর গৃহবন্দী করে রাখে। গত সপ্তাহে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তির পরই জান্তা সরকারকে গণতান্ত্রিক সংস্কারের পথে নিয়ে আসার ব্যাপারে গভীর ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করেন সু চি। রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সামরিক জান্তাকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি আমরা নাকচ করে দিইনি।’
মিয়ানমারে অহিংস উপায়ে একটি শান্তিপূর্ণ বিপ্লব ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে ভাবনা কী—জানতে চাইলে সু চি বলেন, ‘কতগুলো ধাপে বিষয়টি নিয়ে কাজ করা যেতে পারে। এ নিয়ে আমরা এখনো আলোচনা করিনি। তবে সামরিক শাসন আর চাই না, এমনটি বলছি না, বরং একে নাটকীয় পরিবর্তনের চেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন হিসেবে আমরা দেখব। কারণ, নাটক সব সময় মঙ্গলজনক নয়।’
রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার ব্যাপারে সু চি বলেন, ‘আমি একজন রাজনীতিক। ব্যক্তির নিজের কাছে যা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়, তাকে কখনোই সে অবস্থা থেকে বের করে আনা ঠিক নয়। আমি রাজনীতি নিয়ে কাজ করি। সুতরাং আমি একজন রাজনীতিক। মিয়ানমারের জনগণও আমাকে রাজনীতিক হিসেবে দেখতে পছন্দ করে।’
নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও গ্রামে গ্রামে গিয়ে সমর্থকদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার আশা প্রকাশ করেন সু চি।
এদিকে সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সু চি বলেন, ‘অসংখ্য মানুষের মুখ থেকে শোনা যাচ্ছে, মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে হাত মেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন। আমি অবশ্য মনে করি, এটা একটা ভালো উদ্যোগ। তবে আমি আশা করি, ওয়াশিংটন মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক অগ্রগতির বিষয়গুলোর ওপর জোর দেবে। সে ক্ষেত্রে তারা চোখে গোলাপি কাচের চশমা পরবে না। বাস্তব চিত্রটাই দেখবে।’
আশ্রয়কেন্দ্র গুটিয়ে নিতে জান্তার নির্দেশ
মিয়ানমারের জান্তা সরকার সে দেশের একটি বেসরকারি আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ৮২ জন এইচআইভি ও এইডস রোগীকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সু চি গত বুধবার ওই আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে দেখার পরদিনই সরকার এ নির্দেশ দেয়। আশ্রয়কেন্দ্রটির এক মুখপাত্র গতকাল শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
গৃহবন্দী অবস্থা থেকে গত সপ্তাহে মুক্তি পাওয়ার পর রেঙ্গুনের অদূরে ওই আশ্রয়কেন্দ্রটি পরিদর্শনে যান সু চি। সেখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ওষুধসহ সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। একপর্যায়ে তাঁকে দেখতে আসা ছয় শতাধিক মানুষের এক সমাবেশে বক্তব্য দেন সু চি।
গণতন্ত্রপন্থী কর্মী ও ওই আশ্রয়কেন্দ্রের আর্থিক সহায়তা দানকারী ফিউ ফিউ থিন বলেন, সু চির পরিদর্শনের পরদিন সরকার সকল রোগীকে আশ্রয়কেন্দ্র ত্যাগের নির্দেশ পাঠায়। এক সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে ওই নির্দেশে বলা হয়, এ সময়ের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে না গেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মিয়ানমারের আইন অনুযায়ী, ওই আশ্রয়কেন্দ্রের মালিককে দুই সপ্তাহ পরপর সেখানে রাত যাপন করতে আসা মানুষদের থাকার অনুমতি নবায়ন করতে হয়।
অং সান সু চির দলের মুখপাত্র ও ওই আশ্রয়কেন্দ্রের একজন ব্যবস্থাপক জেয়ার বলেন, তাঁর ধারণা, সু চির ওই কেন্দ্রটি পরিদর্শনের জেরেই সরকার চাপ সৃষ্টি করছে।
No comments