অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেন তাঁরা
তাঁরা সম্ভবত কখনো কল্পনাও করেননি নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে এভাবে ফিরে আসতে পারবেন। কিন্তু ভাগ্যের জোরে তাঁরা বেঁচে গেছেন। তাঁরা হলেন রাজ কুমার নায়ক, তাঁর স্ত্রী প্রতিভা এবং তাঁদের তিন বছরের মেয়ে রিজুল।
রাজ কুমার ইন্দো তিব্বাতিয়ান বর্ডার পুলিশের (আইটিবিপি) ২৪ ব্যাটালিয়নের একজন প্রকৌশলী। মাত্র এক মাস আগে তাঁকে বদলি করা হয়েছে ভারতের কাশ্মীর রাজ্যের লেহ অঞ্চলে।
৫ আগস্ট রাতে অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় আকস্মিকভাবে তলিয়ে যায় লেহ অঞ্চল। মারা যায় অনেক মানুষ। আকস্মিক ওই বন্যা থেকে অলৌকিকভাবে বেঁচে এসেছেন রাজ কুমার আর তাঁর স্ত্রী-কন্যা। তবে স্বামী-স্ত্রী দুজনই আহত হয়েছেন।
ভয়াবহ সেই রাতের বর্ণনা দিচ্ছিলেন রাজ কুমার। তিনি বলেন, ‘প্রায় মধ্যরাত, আরেকটা সকালের জন্য আমরা অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু হঠাৎ দেখলাম ব্যাটালিয়নে আমার বাসার ছাদ দিয়ে পানি পড়ছে। এরপর প্রতিভা রান্নাঘরের দিকে গিয়েই দেখতে পেল, একটা গাড়ি আমাদের বাসার দিকে ছুটে আসছে। প্রথমে ও মনে করেছিল সম্ভবত এটা কোনো মাতাল চালকের কাজ। কিন্তু একটু পরই বুঝতে পারল ঘটনা আসলে তা নয়, গাড়িটা ভেসে আসছে পানির তোড়ে।’
এর পরের কাহিনি প্রতিভাই বললেন। তিনি জানান, তাঁরা তিনজনই দ্রুত ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন। প্রতিভা বলেন, ‘আমার স্বামী এক হাতে রিজুলকে অন্য হাতে আমাকে ধরলেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বামীর হাত থেকে আমি ছুটে গেলাম। এরপর আমি ভেসে চললাম পানির স্রোতের মুখে।’ প্রতিভা ওই রাতে বেঁচে গিয়েছেন, ধসেপড়া মাটির ওপর কোনো রকমে নাকটা বের করে রেখে। পরদিন সকাল ছয়টার দিকে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় গ্রামবাসী। এরপর তাঁকে নিয়ে আসা হয় আইটিবিপির মেডিকেল ক্যাম্পে। সেখানে তিনি খুঁজে পান স্বামী-সন্তানকে।
সবচেয়ে অলৌকিক রিজুলের বেঁচে যাওয়ার ঘটনা। রাজ কুমার প্রিয় সন্তানকে শক্ত হাতে ধরে ঘর ছেড়ে বেরিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু বেশিক্ষণ আঁকড়ে রাখতে পারেননি। একপর্যায়ে তাঁর হাত থেকে ছুটে যায় রিজুল। এরপর পানির স্রোতের মুখে সে গিয়ে ঢোকে আইটিবিপির অফিসার্স মেসের কক্ষের সোফার নিচে।
রাজ কুমার বলেন, ‘পরদিন সকালে সোফার নিচ থেকেই রিজুলকে উদ্ধার করেন আইটিবিপির কর্মকর্তারা। তখন তার চোখ বন্ধ। শরীরের তাপমাত্রা অসম্ভব রকম কম। কিন্তু সৌভাগ্যবশত সে বেঁচে যায়।’ রাজ কুমার নিজে আত্মরক্ষা করেছিলেন একটি রাতের বেশির ভাগ সময় একটি খুঁটি আঁকড়ে ধরে।
রাজ কুমার ইন্দো তিব্বাতিয়ান বর্ডার পুলিশের (আইটিবিপি) ২৪ ব্যাটালিয়নের একজন প্রকৌশলী। মাত্র এক মাস আগে তাঁকে বদলি করা হয়েছে ভারতের কাশ্মীর রাজ্যের লেহ অঞ্চলে।
৫ আগস্ট রাতে অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় আকস্মিকভাবে তলিয়ে যায় লেহ অঞ্চল। মারা যায় অনেক মানুষ। আকস্মিক ওই বন্যা থেকে অলৌকিকভাবে বেঁচে এসেছেন রাজ কুমার আর তাঁর স্ত্রী-কন্যা। তবে স্বামী-স্ত্রী দুজনই আহত হয়েছেন।
ভয়াবহ সেই রাতের বর্ণনা দিচ্ছিলেন রাজ কুমার। তিনি বলেন, ‘প্রায় মধ্যরাত, আরেকটা সকালের জন্য আমরা অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু হঠাৎ দেখলাম ব্যাটালিয়নে আমার বাসার ছাদ দিয়ে পানি পড়ছে। এরপর প্রতিভা রান্নাঘরের দিকে গিয়েই দেখতে পেল, একটা গাড়ি আমাদের বাসার দিকে ছুটে আসছে। প্রথমে ও মনে করেছিল সম্ভবত এটা কোনো মাতাল চালকের কাজ। কিন্তু একটু পরই বুঝতে পারল ঘটনা আসলে তা নয়, গাড়িটা ভেসে আসছে পানির তোড়ে।’
এর পরের কাহিনি প্রতিভাই বললেন। তিনি জানান, তাঁরা তিনজনই দ্রুত ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন। প্রতিভা বলেন, ‘আমার স্বামী এক হাতে রিজুলকে অন্য হাতে আমাকে ধরলেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বামীর হাত থেকে আমি ছুটে গেলাম। এরপর আমি ভেসে চললাম পানির স্রোতের মুখে।’ প্রতিভা ওই রাতে বেঁচে গিয়েছেন, ধসেপড়া মাটির ওপর কোনো রকমে নাকটা বের করে রেখে। পরদিন সকাল ছয়টার দিকে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় গ্রামবাসী। এরপর তাঁকে নিয়ে আসা হয় আইটিবিপির মেডিকেল ক্যাম্পে। সেখানে তিনি খুঁজে পান স্বামী-সন্তানকে।
সবচেয়ে অলৌকিক রিজুলের বেঁচে যাওয়ার ঘটনা। রাজ কুমার প্রিয় সন্তানকে শক্ত হাতে ধরে ঘর ছেড়ে বেরিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু বেশিক্ষণ আঁকড়ে রাখতে পারেননি। একপর্যায়ে তাঁর হাত থেকে ছুটে যায় রিজুল। এরপর পানির স্রোতের মুখে সে গিয়ে ঢোকে আইটিবিপির অফিসার্স মেসের কক্ষের সোফার নিচে।
রাজ কুমার বলেন, ‘পরদিন সকালে সোফার নিচ থেকেই রিজুলকে উদ্ধার করেন আইটিবিপির কর্মকর্তারা। তখন তার চোখ বন্ধ। শরীরের তাপমাত্রা অসম্ভব রকম কম। কিন্তু সৌভাগ্যবশত সে বেঁচে যায়।’ রাজ কুমার নিজে আত্মরক্ষা করেছিলেন একটি রাতের বেশির ভাগ সময় একটি খুঁটি আঁকড়ে ধরে।
No comments