দায়িত্বহীন জাহাজভাঙা শিল্প -ক্রমাগত আইন অমান্য ছাড় পাচ্ছে কিসের বলে
জাহাজভাঙা শিল্পের মালিকদের ক্রমাগত আইন লঙ্ঘন করে যাওয়ার প্রবণতাটি বিস্ময়কর। ১২০টি শিপইয়ার্ডের একটিরও পরিবেশ ছাড়পত্র নেই, নেই শ্রমিকদের স্বাস্থ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার কোনো ব্যবস্থা। অথচ উচ্চ আদালত ২০০৯ সালে এ দুটি বিষয়কেই বাধ্যতামূলক করেছিলেন। নির্দেশ দুটি পালিত না হওয়ায় ক্রমাগত চট্টগ্রাম ও সীতাকুণ্ডের সমুদ্রতীরের পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে, শ্রমিকেরা একের পর এক প্রাণ হারাচ্ছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, তাঁরাই বা এটা কীভাবে পারছেন আর সরকারই বা কেন এত বড় আইন লঙ্ঘনকে ছাড় দিয়ে চলছে?
বিশ্বের অনেক দেশেই পরিবেশের স্বার্থে জাহাজভাঙা শিল্প নিষিদ্ধ। ইউরোপ-আমেরিকাসহ সেসব দেশের বাতিল জাহাজের গন্তব্য হয় বাংলাদেশের মতো কয়েকটি দেশ। এটাই তাদের বাতিল ও বিষাক্ত জাহাজের কবল থেকে রেহাই পাওয়ার লাভজনক পথ। এসব জাহাজ কেবল বিপুল বর্জ্য নিয়েই আসে না, সঙ্গে নিয়ে আসে বিষাক্ত রাসায়নিক। জাহাজ কেটে লোহা বের করার প্রক্রিয়ায় এসব বর্জ্য ও রাসায়নিক সাগর, মাটি ও বায়ুকে ভয়ানকভাবে দূষিত করে। অন্যদিকে, জাহাজ কাটতে গিয়ে বিস্ফোরক ও গ্যাসের শিকার হয়ে শ্রমিকদের মৃত্যু হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশ কেন উন্নত বিশ্বের বাতিল জাহাজ ও বর্জ্যের ভাগাড় হবে? কেন এ শিল্পের মালিকদের মুনাফার খেসারত দেবে বাংলাদেশের পরিবেশ ও মানুষ? জাহাজগুলোকে বর্জ্যমুক্ত করা এবং পরিবেশের ক্ষতির কিছুটা দায় তাই বাতিল জাহাজের বিদেশি বিক্রেতাদেরও নিতে হবে।
এ কথাও ঠিক যে এই শিল্পের মাধ্যমেই বাংলাদেশের লোহা ও ইস্পাতের চাহিদা মিটে থাকে। সে কারণে শিল্পটি বন্ধ করে দেওয়ার বদলে একে যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রণ করাই যুক্তিযুক্ত। এ কারণেই উচ্চ আদালতের নির্দেশ, এ কারণেই পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র নেওয়ার বিধান। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ২০১০ আইনের পরিবেশসম্মত ব্যবস্থাপনাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সঙ্গে বাতিল জাহাজ আমদানি করার সময় রপ্তানিকারক দেশ থেকেই সেসবের বর্জ্য পরিশোধনের নির্দেশও দেওয়া হয়। কিন্তু নির্দেশ পালন তো দূরের কথা, নতুন করে অনুমোদন ছাড়াই আরও ৫২টি ইয়ার্ড চালু হয়। চরম আইন লঙ্ঘনের কাহিনিতে সরকার তথা পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা কি কেবল যাত্রাপালার বিবেকের মতো নীতিকথা আউড়ে যাওয়া? শিল্পমালিকদের অন্যায়টি স্পষ্ট, সরকারের দায়ও কিন্তু কম নয়।
পরিবেশ ও মানুষের কম ক্ষতি করেও এই শিল্প লাভজনকভাবেই চলতে পারে। আইনের প্রয়োগ ও পরিবেশসম্মত নীতিমালার কঠোর বাস্তবায়নের মাধ্যমেই তা করা সম্ভব। শিল্পোদ্যোক্তাদের বুঝতে হবে, মানুষ ও পরিবেশের সঙ্গে খোলাখুলি শত্রুতা করে বেশিদিন তাঁরা এ শিল্প চালাতে পারবেন না। বরং নিয়মনীতি মানার মাধ্যমেই তাঁরা দীর্ঘ মেয়াদে লাভবান হবেন।
বিশ্বের অনেক দেশেই পরিবেশের স্বার্থে জাহাজভাঙা শিল্প নিষিদ্ধ। ইউরোপ-আমেরিকাসহ সেসব দেশের বাতিল জাহাজের গন্তব্য হয় বাংলাদেশের মতো কয়েকটি দেশ। এটাই তাদের বাতিল ও বিষাক্ত জাহাজের কবল থেকে রেহাই পাওয়ার লাভজনক পথ। এসব জাহাজ কেবল বিপুল বর্জ্য নিয়েই আসে না, সঙ্গে নিয়ে আসে বিষাক্ত রাসায়নিক। জাহাজ কেটে লোহা বের করার প্রক্রিয়ায় এসব বর্জ্য ও রাসায়নিক সাগর, মাটি ও বায়ুকে ভয়ানকভাবে দূষিত করে। অন্যদিকে, জাহাজ কাটতে গিয়ে বিস্ফোরক ও গ্যাসের শিকার হয়ে শ্রমিকদের মৃত্যু হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশ কেন উন্নত বিশ্বের বাতিল জাহাজ ও বর্জ্যের ভাগাড় হবে? কেন এ শিল্পের মালিকদের মুনাফার খেসারত দেবে বাংলাদেশের পরিবেশ ও মানুষ? জাহাজগুলোকে বর্জ্যমুক্ত করা এবং পরিবেশের ক্ষতির কিছুটা দায় তাই বাতিল জাহাজের বিদেশি বিক্রেতাদেরও নিতে হবে।
এ কথাও ঠিক যে এই শিল্পের মাধ্যমেই বাংলাদেশের লোহা ও ইস্পাতের চাহিদা মিটে থাকে। সে কারণে শিল্পটি বন্ধ করে দেওয়ার বদলে একে যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রণ করাই যুক্তিযুক্ত। এ কারণেই উচ্চ আদালতের নির্দেশ, এ কারণেই পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র নেওয়ার বিধান। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ২০১০ আইনের পরিবেশসম্মত ব্যবস্থাপনাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সঙ্গে বাতিল জাহাজ আমদানি করার সময় রপ্তানিকারক দেশ থেকেই সেসবের বর্জ্য পরিশোধনের নির্দেশও দেওয়া হয়। কিন্তু নির্দেশ পালন তো দূরের কথা, নতুন করে অনুমোদন ছাড়াই আরও ৫২টি ইয়ার্ড চালু হয়। চরম আইন লঙ্ঘনের কাহিনিতে সরকার তথা পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা কি কেবল যাত্রাপালার বিবেকের মতো নীতিকথা আউড়ে যাওয়া? শিল্পমালিকদের অন্যায়টি স্পষ্ট, সরকারের দায়ও কিন্তু কম নয়।
পরিবেশ ও মানুষের কম ক্ষতি করেও এই শিল্প লাভজনকভাবেই চলতে পারে। আইনের প্রয়োগ ও পরিবেশসম্মত নীতিমালার কঠোর বাস্তবায়নের মাধ্যমেই তা করা সম্ভব। শিল্পোদ্যোক্তাদের বুঝতে হবে, মানুষ ও পরিবেশের সঙ্গে খোলাখুলি শত্রুতা করে বেশিদিন তাঁরা এ শিল্প চালাতে পারবেন না। বরং নিয়মনীতি মানার মাধ্যমেই তাঁরা দীর্ঘ মেয়াদে লাভবান হবেন।
No comments