ভারতীয় ঋণের টাকায় ড্রেজার কেনা হচ্ছে
নৌপথের নাব্যতা বাড়াতে ১৭টি নদী খনন যন্ত্র বা ড্রেজার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৯৪৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভারতের ১০০ কোটি ডলারের ঋণ-সহায়তা থেকে ড্রেজার কেনার জন্য প্রায় সাত কোটি ১৬ লাখ ৯০ হাজার ডলার বরাদ্দ দেওয়া হবে।
নৌ-যোগাযোগব্যবস্থা উন্নয়নের মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় গতকাল মঙ্গলবার ড্রেজার কেনার এই সিদ্ধান্তসহ সাতটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে, যার অর্থমূল্য চার হাজার ২২৮ কোটি টাকা।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত একনেকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একনেকের বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ আমদানি-রপ্তানির জন্য একটি প্রকল্পও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, এ প্রকল্পের আওতায় ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হলে ভারতে রপ্তানির সুযোগও রাখা হয়েছে এ প্রকল্পে।
সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ১৪টি প্রকল্প চিহ্নিত করা হয়েছে। গতকালের বৈঠকে এর মধ্যে দুটি প্রকল্প প্রথমবারের অনুমোদন দেওয়া হলো।
একনেকের বৈঠকে ড্রেজার ক্রয়সংক্রান্ত পৃথক দুটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রকল্পের আওতায় ৬৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা হবে ছয়টি ড্রেজার।
এসব ড্রেজারের একটি ব্যবহার করা হবে মংলা বন্দরের নাব্যতা বাড়ানোর কাজে। অপর তিনটি ড্রেজার ব্যবহার করবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। আর বাকি দুটি দেওয়া হবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (বিডব্লিউডিবি)।
অপর প্রকল্পের আওতায় এক হাজার ৩০৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১টি ড্রেজার ও নদী খননের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনা হবে। এগুলো কেনা হবে ২০১২ সালের জুন মাসের মধ্যে। এ অর্থের পুরোটাই জোগান দেবে বাংলাদেশ সরকার। প্রতিবছর ২১৬ লাখ ঘনমিটার পর্যন্ত নদী খনন ও সংরক্ষণের কাজে এসব ড্রেজার কাজে লাগবে।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, দেশের প্রায় ৩১০টি নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, বন্যানিয়ন্ত্রণ ও সেচব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য সরকারের বড় ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি এরই মধ্যে তিনটি বৈঠক করেছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে ড্রেজার ব্যবহার ও খননকাজের জন্য বিশদ পরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকার নদী খননের জন্য ইতিমধ্যে বেশ কিছু প্রকল্প প্রস্তুত করেছে। এর মধ্যে একটি প্রকল্পের জন্য ব্যয় হবে ১২ হাজার কোটি টাকা। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দাতাদের কাছে ইতিমধ্যে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
একনেকের বৈঠকে বাংলাদেশ (ভেড়ামারা) ও ভারত (বহরমপুর) মধ্যে ৪০০ কেভি গ্রিড বাস্তবায়নের জন্য এক হাজার ৭৯ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৭০০ কোটি টাকা দেবে। বাকি টাকা জোগান দেবে সরকার। ২০১২ সালের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।
প্রকল্প দলিল অনুযায়ী, প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রথম বছরের ২৫০ মেগাওয়াট এবং দ্বিতীয় বছর থেকে পরবর্তী ৩৪ বছর পর্যন্ত ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা যাবে।
একনেকের বৈঠকে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও চারটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন প্রমুখ।
নৌ-যোগাযোগব্যবস্থা উন্নয়নের মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় গতকাল মঙ্গলবার ড্রেজার কেনার এই সিদ্ধান্তসহ সাতটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে, যার অর্থমূল্য চার হাজার ২২৮ কোটি টাকা।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত একনেকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একনেকের বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ আমদানি-রপ্তানির জন্য একটি প্রকল্পও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, এ প্রকল্পের আওতায় ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হলে ভারতে রপ্তানির সুযোগও রাখা হয়েছে এ প্রকল্পে।
সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ১৪টি প্রকল্প চিহ্নিত করা হয়েছে। গতকালের বৈঠকে এর মধ্যে দুটি প্রকল্প প্রথমবারের অনুমোদন দেওয়া হলো।
একনেকের বৈঠকে ড্রেজার ক্রয়সংক্রান্ত পৃথক দুটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রকল্পের আওতায় ৬৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা হবে ছয়টি ড্রেজার।
এসব ড্রেজারের একটি ব্যবহার করা হবে মংলা বন্দরের নাব্যতা বাড়ানোর কাজে। অপর তিনটি ড্রেজার ব্যবহার করবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। আর বাকি দুটি দেওয়া হবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (বিডব্লিউডিবি)।
অপর প্রকল্পের আওতায় এক হাজার ৩০৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১টি ড্রেজার ও নদী খননের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনা হবে। এগুলো কেনা হবে ২০১২ সালের জুন মাসের মধ্যে। এ অর্থের পুরোটাই জোগান দেবে বাংলাদেশ সরকার। প্রতিবছর ২১৬ লাখ ঘনমিটার পর্যন্ত নদী খনন ও সংরক্ষণের কাজে এসব ড্রেজার কাজে লাগবে।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, দেশের প্রায় ৩১০টি নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, বন্যানিয়ন্ত্রণ ও সেচব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য সরকারের বড় ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি এরই মধ্যে তিনটি বৈঠক করেছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে ড্রেজার ব্যবহার ও খননকাজের জন্য বিশদ পরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকার নদী খননের জন্য ইতিমধ্যে বেশ কিছু প্রকল্প প্রস্তুত করেছে। এর মধ্যে একটি প্রকল্পের জন্য ব্যয় হবে ১২ হাজার কোটি টাকা। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দাতাদের কাছে ইতিমধ্যে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
একনেকের বৈঠকে বাংলাদেশ (ভেড়ামারা) ও ভারত (বহরমপুর) মধ্যে ৪০০ কেভি গ্রিড বাস্তবায়নের জন্য এক হাজার ৭৯ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৭০০ কোটি টাকা দেবে। বাকি টাকা জোগান দেবে সরকার। ২০১২ সালের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।
প্রকল্প দলিল অনুযায়ী, প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রথম বছরের ২৫০ মেগাওয়াট এবং দ্বিতীয় বছর থেকে পরবর্তী ৩৪ বছর পর্যন্ত ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা যাবে।
একনেকের বৈঠকে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও চারটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন প্রমুখ।
No comments