ডন সিকিউরিটিজের কার্যক্রম স্থগিত
গ্রাহকদের শেয়ার ও টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য ব্রোকারেজ হাউস ডন সিকিউরিটিজের লেনদেন কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
একই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে গ্রাহকদের টাকা ও শেয়ার ফেরত দিতে। তা না হলে পুঁজিবাজারের আইন অনুযায়ী সদস্যপদ বিক্রি করে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
স্বনিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ গতকাল সোমবার ব্রোকারেজ হাউসটিকে চিঠির মাধ্যমে এ নির্দেশ দিয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকেও এ পদক্ষেপের ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি ডিএসইর উপমহাব্যবস্থাপক ও মনিটরিং দলের প্রধান খন্দকার আসাদ উল্লাহর নেতৃত্বে একটি দল ব্রোকারেজ হাউসটির অস্বাভাবিক কার্যক্রমের ওপর নজর রাখছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় দলটি দেখতে পায়, ব্রোকারেজ হাউসটিতে গ্রাহকদের না জানিয়েই তাঁদের শেয়ার সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। এমনকি শেয়ার বিক্রি বা জমা টাকাও তহবিলে নেই।
মনিটরিং দলের তদন্তে বেরিয়ে আসে, সর্বশেষ গত ৬ জুলাই পর্যন্ত ব্রোকারেজ হাউসটির কাছে গ্রাহকদের মোট পাওনা ছিল দুই কোটি ২৫ লাখ ২৪ হাজার ৬৩৭ টাকা। কিন্তু এর বিপরীতে হাউসের তহবিল ছিল মাত্র ৪০ লাখ ১৬ হাজার টাকার কিছু বেশি। অর্থাৎ, মোট ঘাটতি ছিল দুই কোটি ৬৫ লাখ ৪১ হাজার টাকা।
এ ছাড়া একই দিন দুই কোটি ৯০ লাখ ৩৯ হাজার টাকার সমমূল্যের শেয়ারের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। নগদ টাকা ও শেয়ার মিলিয়ে ব্রোকারেজ হাউসটির মোট ঘাটতির পরিমাণ পাঁচ কোটি ৫৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
সূত্র আরও জানায়, বিভিন্ন সময় গ্রাহকেরা টাকা চাইলে ব্রোকারেজ হাউসটি তাদের হাতে চেক তুলে দিয়েছে। কিন্তু গ্রাহকেরা টাকা তুলতে গিয়ে দেখেন, হাউসের গ্রাহক হিসাবে কোনো টাকা নেই।
এ ছাড়া অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহকদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে যে পরিমাণ শেয়ার থাকার কথা তাও পাওয়া যায়নি। এসব ক্ষেত্রে গ্রাহকদের ব্যাক অফিস থেকে কৃত্রিমভাবে শেয়ারের স্থিতিপত্র বানিয়ে দেখানো হতো। ফলে গ্রাহকেরা মনে করতেন, তাঁদের বিও হিসাবে শেয়ার ঠিকমতোই রয়েছে।
বাজার-সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, ব্রোকারেজ হাউসটি গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই এ কাজ করেছে। এখনই বিষয়টি ধরা না পড়লে হয়তো ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারত। তবে ডিএসইর মনিটরিং দলের চৌকস পদক্ষেপের কারণে সেটি শুরুতেই বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ পদক্ষেপ অন্য ব্রোকারেজ হাউসগুলোকেও সতর্ক করবে বলে তাদের বিশ্বাস।
যোগাযোগ করা হলে এসইসির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ডিএসইর সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এটি নিয়ে এসইসিতে আজ আলোচনা হবে। এ ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী যে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে এসইসি তাই করবে।’
তবে টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ডন সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল হামিদ ভূঁইয়ার প্রতিক্রিয়া জানা সম্ভব হয়নি।
একই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে গ্রাহকদের টাকা ও শেয়ার ফেরত দিতে। তা না হলে পুঁজিবাজারের আইন অনুযায়ী সদস্যপদ বিক্রি করে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
স্বনিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ গতকাল সোমবার ব্রোকারেজ হাউসটিকে চিঠির মাধ্যমে এ নির্দেশ দিয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকেও এ পদক্ষেপের ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি ডিএসইর উপমহাব্যবস্থাপক ও মনিটরিং দলের প্রধান খন্দকার আসাদ উল্লাহর নেতৃত্বে একটি দল ব্রোকারেজ হাউসটির অস্বাভাবিক কার্যক্রমের ওপর নজর রাখছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় দলটি দেখতে পায়, ব্রোকারেজ হাউসটিতে গ্রাহকদের না জানিয়েই তাঁদের শেয়ার সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। এমনকি শেয়ার বিক্রি বা জমা টাকাও তহবিলে নেই।
মনিটরিং দলের তদন্তে বেরিয়ে আসে, সর্বশেষ গত ৬ জুলাই পর্যন্ত ব্রোকারেজ হাউসটির কাছে গ্রাহকদের মোট পাওনা ছিল দুই কোটি ২৫ লাখ ২৪ হাজার ৬৩৭ টাকা। কিন্তু এর বিপরীতে হাউসের তহবিল ছিল মাত্র ৪০ লাখ ১৬ হাজার টাকার কিছু বেশি। অর্থাৎ, মোট ঘাটতি ছিল দুই কোটি ৬৫ লাখ ৪১ হাজার টাকা।
এ ছাড়া একই দিন দুই কোটি ৯০ লাখ ৩৯ হাজার টাকার সমমূল্যের শেয়ারের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। নগদ টাকা ও শেয়ার মিলিয়ে ব্রোকারেজ হাউসটির মোট ঘাটতির পরিমাণ পাঁচ কোটি ৫৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
সূত্র আরও জানায়, বিভিন্ন সময় গ্রাহকেরা টাকা চাইলে ব্রোকারেজ হাউসটি তাদের হাতে চেক তুলে দিয়েছে। কিন্তু গ্রাহকেরা টাকা তুলতে গিয়ে দেখেন, হাউসের গ্রাহক হিসাবে কোনো টাকা নেই।
এ ছাড়া অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহকদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে যে পরিমাণ শেয়ার থাকার কথা তাও পাওয়া যায়নি। এসব ক্ষেত্রে গ্রাহকদের ব্যাক অফিস থেকে কৃত্রিমভাবে শেয়ারের স্থিতিপত্র বানিয়ে দেখানো হতো। ফলে গ্রাহকেরা মনে করতেন, তাঁদের বিও হিসাবে শেয়ার ঠিকমতোই রয়েছে।
বাজার-সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, ব্রোকারেজ হাউসটি গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই এ কাজ করেছে। এখনই বিষয়টি ধরা না পড়লে হয়তো ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারত। তবে ডিএসইর মনিটরিং দলের চৌকস পদক্ষেপের কারণে সেটি শুরুতেই বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ পদক্ষেপ অন্য ব্রোকারেজ হাউসগুলোকেও সতর্ক করবে বলে তাদের বিশ্বাস।
যোগাযোগ করা হলে এসইসির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ডিএসইর সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এটি নিয়ে এসইসিতে আজ আলোচনা হবে। এ ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী যে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে এসইসি তাই করবে।’
তবে টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ডন সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল হামিদ ভূঁইয়ার প্রতিক্রিয়া জানা সম্ভব হয়নি।
No comments