শ্যাম না কুল রাখবেন ফ্যাব্রিগাস
আর্সেনাল না বার্সেলোনা, বার্সেলোনা না আর্সেনাল! শ্যাম রাখি না কুল রাখি! সেস ফ্যাব্রিগাস পড়ে গেছেন এমন মধুর সমস্যায়। শৈশবের ক্লাব বার্সেলোনা হাত বাড়িয়ে ডাকছে তাঁকে, এদিকে আর্সেনালের মায়ার বাঁধন এড়াতে পারছেন না।
ফ্যাব্রিগাসের জন্য আর্সেনালের কাছে ৩ কোটি পাউন্ডের প্রস্তাব পাঠিয়েছিল বার্সেলোনা। আর্সেনাল এমন লোভনীয় প্রস্তাবেও নির্বিকার। বার্সার নতুন সভাপতি স্যান্দ্রো রোসেল ফ্যাব্রিগাসকে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছেন, ‘এ মৌসুমে আমরা আর সেসকে (ফ্যাব্রিগাস) পাচ্ছি না। ওকে বিক্রি করবে না বলে দিয়েছে আর্সেনাল।’
রোসেল হালছাড়া নাবিক হলেও বার্সেলোনা শিবির এখনো ফ্যাব্রিগাসকে পাওয়ার জন্য আকুল। স্পেনের বিশ্বকাপ ফাইনালের জয়সূচক গোলদাতা এবং বার্সার প্লে-মেকার আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা বলেছেন—বন্ধু ফ্যাব্রিগাসকে সতীর্থ হিসেবে পেলে খুব ভালো হয়। আর কোচ পেপ গার্দিওলা বলেছেন, ‘আমরা তো চাই, সে আসুক, কিন্তু আর্সেনাল যদি সমঝোতা করতে না চায়, তার আসা হবে না।’
তাহলে বার্সেলোনায় আসা হবে না ফ্যাব্রিগাসের? কিন্তু বার্সেলোনার জন্যও তো তাঁর মনের মধ্যে বড় একটা জায়গা আছে। বাড়ির পাশের ক্লাব মাতারো দিয়ে ১৯৯৭ সালে ফুটবলে হাতেখড়ি ফ্যাব্রিগাসের। একই বছরে বার্সেলোনার যুবদলে নাম লেখান। ৬ বছর কাটিয়েছেন বার্সার ‘খামারবাড়ি’খ্যাত এই যুব প্রকল্পে। সেখান থেকেই ২০০৩ সালে আর্সেনালের জার্সি গায়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে অভিষেক। এখন তো আর্সেনালের অধিনায়কই তিনি। আর্সেনাল তাদের অধিনায়ককে ছাড়তে চায় না। আর্সেনালের সঙ্গে প্রায় সাত বছরের বন্ধন ছিন্ন করতে চান না ফ্যাব্রিগাস। আবার বালক বেলার ক্লাবের হাতছানিও এড়াতে পারেন না।
ফ্যাব্রিগাসের মনের অবস্থাটা যেন ঠিক ঠিক বুঝতে পারছেন ফ্রান্স ও বার্সেলোনার সাবেক তারকা স্ট্রাইকার থিয়েরি অঁরি। বলেছেন, ‘ফ্যাব্রিগাসের মতো অবস্থায় আমি কোনো দিনও পড়তে চাইতাম না। আমি ঠিক বুঝতে পারছি না কী বলব। তবে আর্সেনালের ভক্ত হিসেবে আমি ফ্যাব্রিগাসকে আর্সেনালেই দেখতে চাইব।’
এদিকে এসি মিলান কর্তারা চাইছেন, এসি মিলানে থেকে যান ব্রাজিলিয়ান প্লে-মেকার রোনালদিনহো। ইতালি ছেড়ে নিজের দেশে পাড়ি জমানোর কথা ভাবছেন বার্সেলোনার সাবেক তারকা। কিন্তু মিলানও চায় না রোনালদিনহো ব্রাজিলে চলে যান।
তবে কোনো মায়ার বাঁধনে নিজেকে জড়াতে চান না রোনালদিনহো। ছুটি কাটিয়ে ব্রাজিল থেকে ফিরছেন তিনি দুটি প্রস্তাব পকেটে নিয়ে। ব্রাজিলের ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গো অনেক আগে থেকেই চাইছে তাঁকে। এর সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) ডেভিড বেকহামের ক্লাব লস অ্যাঞ্জেলেস গ্যালাক্সি (এলএ গ্যালাক্সি)।
সব প্রতিরোধ ভেঙে রোনালদিনহো বোধ হয় মিলান থেকে বেরিয়েই যাচ্ছেন। উপায় না দেখে রোনালদিনহোকে ঠেকাতে শেষ ‘ট্যাকল’টি মিলান করেছে এভাবে—যে দলই চায় না কেন, রোনালদিনহোকে পেতে টেবিলে রাখতে হবে ১০ মিলিয়ন ইউরো।
ইতালির আরেক ক্লাব জুভেন্টাস দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের গোল্ডেন বলজয়ী ডিয়েগো ফোরলানকে নিতে প্রস্তাব দিয়েছে ২০ মিলিয়ন ইউরোর। তবে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ছাড়বেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার, ‘আমার সঙ্গে আরও ৩ বছরের চুক্তি আছে অ্যাটলেটিকোর। আমি এখানে সুখে আছি। এই ক্লাবটিকে আমি খুব ভালোও বাসি এবং এখানেই থেকে যেতে চাই।’
থাকবেন না যাবেন—এই সিদ্ধান্ত ফার্নান্দো তোরেস আর স্টিভেন জেরার্ডের ওপরই ছেড়ে দিয়েছে লিভারপুল। স্পেনের স্ট্রাইকার তোরেসকে পেতে চাইছে চেলসি আর জেরার্ডের ব্যাপারে আগ্রহ আছে রিয়াল মাদ্রিদের। লিভারপুল থেকে দুজনকেই দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য।
দলবদলের বাজারে টাকা-পয়সা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এখন ইউরোপের প্রায় সব বড় দলগুলোই। বিশ্বকাপ শেষ, যাঁরা মাঠ মাতিয়েছেন তাঁদের নিয়েই টানাটানিটা প্রবল। এই যেমন বায়ার্ন মিউনিখের ফিলিপ লামের জন্য হাত বাড়িয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানইউ নাকি চাইছে, আলো ছড়ানো জার্মানির আরেক খেলোয়াড় মেসুত ওজিলকেও। তবে ওজিলকে পাওয়ার দৌড়ে তাদের পেছনে ফেলে দিতে পারে রিয়াল মাদ্রিদ।
ফ্যাব্রিগাসের জন্য আর্সেনালের কাছে ৩ কোটি পাউন্ডের প্রস্তাব পাঠিয়েছিল বার্সেলোনা। আর্সেনাল এমন লোভনীয় প্রস্তাবেও নির্বিকার। বার্সার নতুন সভাপতি স্যান্দ্রো রোসেল ফ্যাব্রিগাসকে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছেন, ‘এ মৌসুমে আমরা আর সেসকে (ফ্যাব্রিগাস) পাচ্ছি না। ওকে বিক্রি করবে না বলে দিয়েছে আর্সেনাল।’
রোসেল হালছাড়া নাবিক হলেও বার্সেলোনা শিবির এখনো ফ্যাব্রিগাসকে পাওয়ার জন্য আকুল। স্পেনের বিশ্বকাপ ফাইনালের জয়সূচক গোলদাতা এবং বার্সার প্লে-মেকার আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা বলেছেন—বন্ধু ফ্যাব্রিগাসকে সতীর্থ হিসেবে পেলে খুব ভালো হয়। আর কোচ পেপ গার্দিওলা বলেছেন, ‘আমরা তো চাই, সে আসুক, কিন্তু আর্সেনাল যদি সমঝোতা করতে না চায়, তার আসা হবে না।’
তাহলে বার্সেলোনায় আসা হবে না ফ্যাব্রিগাসের? কিন্তু বার্সেলোনার জন্যও তো তাঁর মনের মধ্যে বড় একটা জায়গা আছে। বাড়ির পাশের ক্লাব মাতারো দিয়ে ১৯৯৭ সালে ফুটবলে হাতেখড়ি ফ্যাব্রিগাসের। একই বছরে বার্সেলোনার যুবদলে নাম লেখান। ৬ বছর কাটিয়েছেন বার্সার ‘খামারবাড়ি’খ্যাত এই যুব প্রকল্পে। সেখান থেকেই ২০০৩ সালে আর্সেনালের জার্সি গায়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে অভিষেক। এখন তো আর্সেনালের অধিনায়কই তিনি। আর্সেনাল তাদের অধিনায়ককে ছাড়তে চায় না। আর্সেনালের সঙ্গে প্রায় সাত বছরের বন্ধন ছিন্ন করতে চান না ফ্যাব্রিগাস। আবার বালক বেলার ক্লাবের হাতছানিও এড়াতে পারেন না।
ফ্যাব্রিগাসের মনের অবস্থাটা যেন ঠিক ঠিক বুঝতে পারছেন ফ্রান্স ও বার্সেলোনার সাবেক তারকা স্ট্রাইকার থিয়েরি অঁরি। বলেছেন, ‘ফ্যাব্রিগাসের মতো অবস্থায় আমি কোনো দিনও পড়তে চাইতাম না। আমি ঠিক বুঝতে পারছি না কী বলব। তবে আর্সেনালের ভক্ত হিসেবে আমি ফ্যাব্রিগাসকে আর্সেনালেই দেখতে চাইব।’
এদিকে এসি মিলান কর্তারা চাইছেন, এসি মিলানে থেকে যান ব্রাজিলিয়ান প্লে-মেকার রোনালদিনহো। ইতালি ছেড়ে নিজের দেশে পাড়ি জমানোর কথা ভাবছেন বার্সেলোনার সাবেক তারকা। কিন্তু মিলানও চায় না রোনালদিনহো ব্রাজিলে চলে যান।
তবে কোনো মায়ার বাঁধনে নিজেকে জড়াতে চান না রোনালদিনহো। ছুটি কাটিয়ে ব্রাজিল থেকে ফিরছেন তিনি দুটি প্রস্তাব পকেটে নিয়ে। ব্রাজিলের ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গো অনেক আগে থেকেই চাইছে তাঁকে। এর সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) ডেভিড বেকহামের ক্লাব লস অ্যাঞ্জেলেস গ্যালাক্সি (এলএ গ্যালাক্সি)।
সব প্রতিরোধ ভেঙে রোনালদিনহো বোধ হয় মিলান থেকে বেরিয়েই যাচ্ছেন। উপায় না দেখে রোনালদিনহোকে ঠেকাতে শেষ ‘ট্যাকল’টি মিলান করেছে এভাবে—যে দলই চায় না কেন, রোনালদিনহোকে পেতে টেবিলে রাখতে হবে ১০ মিলিয়ন ইউরো।
ইতালির আরেক ক্লাব জুভেন্টাস দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের গোল্ডেন বলজয়ী ডিয়েগো ফোরলানকে নিতে প্রস্তাব দিয়েছে ২০ মিলিয়ন ইউরোর। তবে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ছাড়বেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার, ‘আমার সঙ্গে আরও ৩ বছরের চুক্তি আছে অ্যাটলেটিকোর। আমি এখানে সুখে আছি। এই ক্লাবটিকে আমি খুব ভালোও বাসি এবং এখানেই থেকে যেতে চাই।’
থাকবেন না যাবেন—এই সিদ্ধান্ত ফার্নান্দো তোরেস আর স্টিভেন জেরার্ডের ওপরই ছেড়ে দিয়েছে লিভারপুল। স্পেনের স্ট্রাইকার তোরেসকে পেতে চাইছে চেলসি আর জেরার্ডের ব্যাপারে আগ্রহ আছে রিয়াল মাদ্রিদের। লিভারপুল থেকে দুজনকেই দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য।
দলবদলের বাজারে টাকা-পয়সা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এখন ইউরোপের প্রায় সব বড় দলগুলোই। বিশ্বকাপ শেষ, যাঁরা মাঠ মাতিয়েছেন তাঁদের নিয়েই টানাটানিটা প্রবল। এই যেমন বায়ার্ন মিউনিখের ফিলিপ লামের জন্য হাত বাড়িয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানইউ নাকি চাইছে, আলো ছড়ানো জার্মানির আরেক খেলোয়াড় মেসুত ওজিলকেও। তবে ওজিলকে পাওয়ার দৌড়ে তাদের পেছনে ফেলে দিতে পারে রিয়াল মাদ্রিদ।
No comments