বিএম কলেজে শিক্ষক প্রহার - আর কত ঘটবে, সরকারের টনক আর কবে নড়বে
ছাত্রের হাতে শিক্ষক প্রহার অসভ্যতার এক চরম আচরণ। বরিশালের বিএম কলেজে সেই কাজটি যারা করেছে, অভিযোগ উঠেছে যে তারা ছাত্রলীগের সদস্য। তাদের সহিংসতায় বাধা দেওয়ায় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা তিন শিক্ষককে প্রহারের যত কায়দা আছে, তা প্রয়োগ করে তবেই শান্ত হয়েছে। এই হচ্ছে শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের অবদান (!)। সন্ত্রাসীরা পারে না এমন কোনো কাজ নেই; কিন্তু একের পর এক এমন ঘটনা সংঘটন কীভাবে সম্ভব হচ্ছে, যখন দেশে রয়েছে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার? শিক্ষক নিপীড়নের এইধারা আর কতদিন চলবে, কত অন্যায়ের পর জাতীয়ভাবে এসব বন্ধে জাতীয় আলোড়ন সৃষ্টি হবে?
বনভোজন আয়োজনের কমিটিতে কেন ছাত্রলীগের এক কর্মীর নাম রাখা হলো না, সে জন্য আরেক ছাত্রকে দলবল নিয়ে প্রহার করতে যাওয়াকে কেন্দ্র করেই ঘটনাটি দানা বাঁধে। আহত ওই তিন শিক্ষকের ‘অপরাধ’ হলো, তাঁরা তাঁদের কক্ষে আশ্রয় নেওয়া এক ছাত্রকে বাঁচাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু যে সন্ত্রাসীদের ক্ষমতার পেছনে রাজনৈতিক মদদ আছে, তারা কি কাউকে পরোয়া করে? অতএব, প্রহূত হলেন ওই তিন শিক্ষক। এবং এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, প্রায়ই ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের কর্মীরা এমনটি করে থাকেন। বছরের শুরুতেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে একাধিক শিক্ষককে প্রহূত হতে দেখা গেছে। বরিশালের বিএম কলেজে আবার সেই ন্যক্কারজনক ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হলো।
ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের সঙ্গে জড়িত ছাত্রসংগঠনগুলোতে এ ধরনের সন্ত্রাসীর কোনো অভাব নেই। এবং প্রায়ই দেখা যায়, নিজ নিজ দলের কর্মীদের নিয়ে নেতারা তাঁদের গর্ব প্রকাশে লজ্জা পান না। সাধারণ মানুষের পক্ষে রাজনৈতিক দলের ছাত্রকর্মী আর ক্ষমতাবান দলের মদদ পাওয়া সন্ত্রাসীদের মধ্যে পার্থক্য করার কোনো উপায় থাকে না। সাংগঠনিক কমিটিতে, মিছিলে, মঞ্চে, সন্ত্রাসী কাজকর্মে সন্ত্রাসীরা কিংবা তাদের আশ্রয়দাতারাই থাকে সবার সামনে।
অভিযোগ উঠেছে, কলেজের অধ্যক্ষের প্রশ্রয় পেয়েই সন্ত্রাসীরা এমন বেপরোয়া হতে পেরেছে। যথারীতি তিনি ও কলেজের ছাত্রলীগের নেতারা শিক্ষক-প্রহারের হোতাদের সঙ্গে নিজেদের দূরত্ব প্রমাণ করতে উঠে-পড়ে লেগেছেন। অথচ সরকার জানে, নেতারা জানেন, পুলিশ জানে, সাধারণ মানুষও জানে, কারা সন্ত্রাসী এবং কাদের জন্য শিক্ষাঙ্গনে মাঝেমধ্যেই বর্বরোচিত ঘটনা ঘটছে। শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস নিকৃষ্ট প্রকৃতির সন্ত্রাস। অতীতে মানুষ এ রকম আচরণ ভালোভাবে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।
বনভোজন আয়োজনের কমিটিতে কেন ছাত্রলীগের এক কর্মীর নাম রাখা হলো না, সে জন্য আরেক ছাত্রকে দলবল নিয়ে প্রহার করতে যাওয়াকে কেন্দ্র করেই ঘটনাটি দানা বাঁধে। আহত ওই তিন শিক্ষকের ‘অপরাধ’ হলো, তাঁরা তাঁদের কক্ষে আশ্রয় নেওয়া এক ছাত্রকে বাঁচাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু যে সন্ত্রাসীদের ক্ষমতার পেছনে রাজনৈতিক মদদ আছে, তারা কি কাউকে পরোয়া করে? অতএব, প্রহূত হলেন ওই তিন শিক্ষক। এবং এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, প্রায়ই ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের কর্মীরা এমনটি করে থাকেন। বছরের শুরুতেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে একাধিক শিক্ষককে প্রহূত হতে দেখা গেছে। বরিশালের বিএম কলেজে আবার সেই ন্যক্কারজনক ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হলো।
ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের সঙ্গে জড়িত ছাত্রসংগঠনগুলোতে এ ধরনের সন্ত্রাসীর কোনো অভাব নেই। এবং প্রায়ই দেখা যায়, নিজ নিজ দলের কর্মীদের নিয়ে নেতারা তাঁদের গর্ব প্রকাশে লজ্জা পান না। সাধারণ মানুষের পক্ষে রাজনৈতিক দলের ছাত্রকর্মী আর ক্ষমতাবান দলের মদদ পাওয়া সন্ত্রাসীদের মধ্যে পার্থক্য করার কোনো উপায় থাকে না। সাংগঠনিক কমিটিতে, মিছিলে, মঞ্চে, সন্ত্রাসী কাজকর্মে সন্ত্রাসীরা কিংবা তাদের আশ্রয়দাতারাই থাকে সবার সামনে।
অভিযোগ উঠেছে, কলেজের অধ্যক্ষের প্রশ্রয় পেয়েই সন্ত্রাসীরা এমন বেপরোয়া হতে পেরেছে। যথারীতি তিনি ও কলেজের ছাত্রলীগের নেতারা শিক্ষক-প্রহারের হোতাদের সঙ্গে নিজেদের দূরত্ব প্রমাণ করতে উঠে-পড়ে লেগেছেন। অথচ সরকার জানে, নেতারা জানেন, পুলিশ জানে, সাধারণ মানুষও জানে, কারা সন্ত্রাসী এবং কাদের জন্য শিক্ষাঙ্গনে মাঝেমধ্যেই বর্বরোচিত ঘটনা ঘটছে। শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস নিকৃষ্ট প্রকৃতির সন্ত্রাস। অতীতে মানুষ এ রকম আচরণ ভালোভাবে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।
No comments