মেগরাহির মুক্তির সিদ্ধান্ত ভুল ছিল: ক্যামেরন
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, লকারবির আকাশে মার্কিন বিমানে হামলাকারী লিবীয় নাগরিক আবদেল বাসেত আল-মেগরাহিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুরোপুরি ভুল ছিল। গতকাল সোমবার বিবিসি টেলিভিশনকে তিনি এ কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রে সফরের প্রাক্কালে এই মন্তব্য করলেন ক্যামেরন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার তাঁর ওয়াশিংটন পৌঁছানোর কথা।
১৯৮৮ সালে স্কটল্যান্ডের লকারবি শহরের আকাশে একটি মার্কিন বিমানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্ত একমাত্র আসামি মেগরাহিকে ২০০১ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। কিন্তু সাজার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই মানবিক দিক বিবেচনা করে গত বছর ক্যানসারে আক্রান্ত মেগরাহিকে মুক্তি দেয় স্কটল্যান্ডের বিচার মন্ত্রণালয়। এই সিদ্ধান্তে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় মার্কিন প্রশাসন। কারণ, ওই হামলায় নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগ ছিল মার্কিন নাগরিক।
ক্যামেরন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক খুবই দৃঢ়। আমরা অনেক বিষয়ে আলোচনা করব—আফগানিস্তান, বিপি (ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম); আমি নিশ্চিত, মেগরাহির বিষয়টিও আলোচনায় আসবে।’ অভিযোগ উঠেছে, মেগরাহির মুক্তির ব্যাপারে সুপারিশ করেছিল বিপি। সংবাদমাধ্যমে এ ধরনের খবর প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্রে বিপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ তীব্র হয়েছে। তেল কোম্পানিটি ইতিমধ্যে মেক্সিকো উপসাগরে তেলক্ষেত্র দুর্ঘটনা নিয়ে মার্কিন জনগণের রোষানলে রয়েছে।
তবে লন্ডন জানিয়েছে, মেগরাহিকে মুক্তি দেওয়া এবং লিবিয়ায় তেল অনুসন্ধানের ব্যাপারে বিপির চুক্তি করার মধ্যে কোনো সম্পর্ক রয়েছে, এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে ক্যামেরন বলেন, ‘আমার কোনো ধারণা নেই বিপি কী করেছে। বিপির কোনো কর্মকাণ্ডের দায় আমার ওপর বর্তায় না। মেগরাহির মুক্তির ব্যাপারে আমি যা কিছু জানি, তা বিরোধী দলের নেতা হিসেবেই জানতে পেরেছি। আমি মনে করি, মেগরাহিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুরোপুরি ভুল ছিল।’
১৯৮৮ সালে স্কটল্যান্ডের লকারবি শহরের আকাশে একটি মার্কিন বিমানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্ত একমাত্র আসামি মেগরাহিকে ২০০১ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। কিন্তু সাজার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই মানবিক দিক বিবেচনা করে গত বছর ক্যানসারে আক্রান্ত মেগরাহিকে মুক্তি দেয় স্কটল্যান্ডের বিচার মন্ত্রণালয়। এই সিদ্ধান্তে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় মার্কিন প্রশাসন। কারণ, ওই হামলায় নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগ ছিল মার্কিন নাগরিক।
ক্যামেরন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক খুবই দৃঢ়। আমরা অনেক বিষয়ে আলোচনা করব—আফগানিস্তান, বিপি (ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম); আমি নিশ্চিত, মেগরাহির বিষয়টিও আলোচনায় আসবে।’ অভিযোগ উঠেছে, মেগরাহির মুক্তির ব্যাপারে সুপারিশ করেছিল বিপি। সংবাদমাধ্যমে এ ধরনের খবর প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্রে বিপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ তীব্র হয়েছে। তেল কোম্পানিটি ইতিমধ্যে মেক্সিকো উপসাগরে তেলক্ষেত্র দুর্ঘটনা নিয়ে মার্কিন জনগণের রোষানলে রয়েছে।
তবে লন্ডন জানিয়েছে, মেগরাহিকে মুক্তি দেওয়া এবং লিবিয়ায় তেল অনুসন্ধানের ব্যাপারে বিপির চুক্তি করার মধ্যে কোনো সম্পর্ক রয়েছে, এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে ক্যামেরন বলেন, ‘আমার কোনো ধারণা নেই বিপি কী করেছে। বিপির কোনো কর্মকাণ্ডের দায় আমার ওপর বর্তায় না। মেগরাহির মুক্তির ব্যাপারে আমি যা কিছু জানি, তা বিরোধী দলের নেতা হিসেবেই জানতে পেরেছি। আমি মনে করি, মেগরাহিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুরোপুরি ভুল ছিল।’
No comments