ইচ্ছার বিরুদ্ধে বন্ধ্যা করার অভিযোগ উজবেক নারীর
সাওদাত রাখিমবায়েভা আক্ষেপ করে বললেন, মৃত নবজাতক সন্তানের সঙ্গে মারা গেলেই খুশি হতেন তিনি। এই আক্ষেপের কারণ, আর কখনোই মা হতে পারবেন না সাওদাত।
গত মার্চে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেওয়ার সময় চিকিৎসক তাঁর জরায়ুর একটি অংশ কেটে ফেলেন। চিকিৎসক যদিও বলেছেন, একটি সম্ভাব্য ক্যান্সার আক্রান্ত কোষ অপসারণের জন্যই ওই অংশটি কেটে ফেলা অপরিহার্য ছিল। কিন্তু সাওদাতের ধারণা, এটি পরিকল্পিত। সরকারের জন্মনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই বন্ধ্যাকরণের শিকার তিনি।
উজবেকিস্তানের মধ্যাঞ্চলীয় শহর গুলিস্তানের একটি হাসপাতালে এ অস্ত্রোপচার করা হয়। উজবেক এই গৃহবধূ জানান, ওই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি অপরিণত সন্তানের জন্ম দেন তিনি। জন্মের তিন দিন পর সে মারা যায়। বন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা আসে উপর্যুপরি আরেক আঘাত হিসেবে।
সাওদাত চিকিৎসকের ব্যাখ্যা মানতে পারছেন না। তিনি বলেন, ‘ওই চিকিৎসক একবারও এ ব্যাপারে আমাকে জিজ্ঞাসা করেননি। কোনো পরীক্ষাও করেননি। সরাসরি অস্ত্রোপচার করেছেন, যেন আমি কোনো বোবাকালা জন্তু।’ কাঁদতে কাঁদতে সাওদাত বলেন, ‘ইব্রাহিমের সঙ্গেই আমার মৃত্যু হওয়া উচিত ছিল।’
স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন, ভুক্তভোগী ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, সাওদাতের মতো আরও অনেক নারীকে এভাবেই তাঁদের অজান্তে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তানপ্রসবের সময় বন্ধ্যা করে ফেলা হয়েছে। সরকারের জন্মনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অংশ হিসেবেই এমনটি করা হয়েছে।
উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইসলাম করিমভ সম্প্রতি বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি জোরদার করেছেন। এ ব্যাপারে গত ফেব্রুয়ারি মাসে একটি ঘোষণা দেয় সরকার। এতে বলা হয়, কোনো নারী স্বেচ্ছায় বন্ধ্যাকরণের জন্য এলে চিকিৎসকেরা বিনামূল্যে তাঁর অস্ত্রোপচার করবেন।
গত মার্চে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেওয়ার সময় চিকিৎসক তাঁর জরায়ুর একটি অংশ কেটে ফেলেন। চিকিৎসক যদিও বলেছেন, একটি সম্ভাব্য ক্যান্সার আক্রান্ত কোষ অপসারণের জন্যই ওই অংশটি কেটে ফেলা অপরিহার্য ছিল। কিন্তু সাওদাতের ধারণা, এটি পরিকল্পিত। সরকারের জন্মনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই বন্ধ্যাকরণের শিকার তিনি।
উজবেকিস্তানের মধ্যাঞ্চলীয় শহর গুলিস্তানের একটি হাসপাতালে এ অস্ত্রোপচার করা হয়। উজবেক এই গৃহবধূ জানান, ওই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি অপরিণত সন্তানের জন্ম দেন তিনি। জন্মের তিন দিন পর সে মারা যায়। বন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা আসে উপর্যুপরি আরেক আঘাত হিসেবে।
সাওদাত চিকিৎসকের ব্যাখ্যা মানতে পারছেন না। তিনি বলেন, ‘ওই চিকিৎসক একবারও এ ব্যাপারে আমাকে জিজ্ঞাসা করেননি। কোনো পরীক্ষাও করেননি। সরাসরি অস্ত্রোপচার করেছেন, যেন আমি কোনো বোবাকালা জন্তু।’ কাঁদতে কাঁদতে সাওদাত বলেন, ‘ইব্রাহিমের সঙ্গেই আমার মৃত্যু হওয়া উচিত ছিল।’
স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন, ভুক্তভোগী ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, সাওদাতের মতো আরও অনেক নারীকে এভাবেই তাঁদের অজান্তে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তানপ্রসবের সময় বন্ধ্যা করে ফেলা হয়েছে। সরকারের জন্মনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অংশ হিসেবেই এমনটি করা হয়েছে।
উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইসলাম করিমভ সম্প্রতি বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি জোরদার করেছেন। এ ব্যাপারে গত ফেব্রুয়ারি মাসে একটি ঘোষণা দেয় সরকার। এতে বলা হয়, কোনো নারী স্বেচ্ছায় বন্ধ্যাকরণের জন্য এলে চিকিৎসকেরা বিনামূল্যে তাঁর অস্ত্রোপচার করবেন।
No comments