আক্রান্তদের প্রাথমিক পর্যায়েই চিকিৎসা দেওয়ার পরামর্শ
জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এইডস রোগীদের প্রাথমিক রোগের লক্ষণ ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে থেরাপি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। ভিয়েনায় চলমান আন্তর্জাতিক এইডস সম্মেলনে গতকাল সোমবার চিকিৎসায় গত চার বছরের অগ্রগতি তুলে ধরে ডব্লিউএইচও এ পরামর্শ দিয়েছে। সম্মেলনে বলা হয়েছে, এইডস থেরাপির মাধ্যমে বর্তমানে প্রায় ৫০ লাখ রোগীর জীবন রক্ষা পাচ্ছে। গত রোববার এ সম্মেলন শুরু হয়। চলবে ২৩ জুলাই পর্যন্ত। ১৮৫টি দেশের প্রায় ২০ হাজার প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছেন। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনও এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে গত বছর প্রাথমিক পর্যায়েই রোগীদের এন্টি-রেট্রোভাইরাল থেরাপি (এআরটি) দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল। গতকাল এইডস সম্মেলনে এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে হু সেই সুপারিশের পক্ষে জোরালো সমর্থন ব্যক্ত করেছে। ১৫৬ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে এইচআইভি ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম ‘ককটেল’খ্যাত ওষুধটির কার্যকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ১৯৯৬ সালে এইডস রোগীদের চিকিৎসায় পাঁচমিশালি থেরাপির আবিষ্কার হয়। ওই সময় এ থেরাপি অত্যন্ত ব্যয়বহুল ছিল। তবে পরবর্তী সময়ে এ চিকিৎসাপদ্ধতির খরচ কমে আসে।
হুর প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৮ সালে বিশ্বে মোট ৪০ লাখ লোক ককটেল থেরাপি নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। পরের বছর অর্থাৎ ২০০৯ সালে এই চিকিৎসাপ্রাপ্তদের সংখ্যা ৫২ লাখে দাঁড়ায়। ২০০৮ সালের একটি জরিপে বলা হয়েছে, দরিদ্র ও বেশি মাত্রায় আক্রান্ত প্রায় ৪৩ লাখ রোগী এখনো এ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত।
২০০৬ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেসব রোগীর দেহের প্রতি মাইক্রোলিটার রক্তে সিডি৪ সেলের (এইচআইভি আক্রান্ত রোগ প্রতিরোধকারী কোষ) পরিমাণ ২০০ বা তার নিচে নেমে এসেছে, তাদের শরীরে ককটেলখ্যাত ওষুধ প্রয়োগ করার পরামর্শ দেয়। এ পর্যায়ের রোগীদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ব্যাপকভাবে কমে যায়। তবে ২০০৯ সালে ওই ওষুধের কার্যকারিতা ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে, ২০০ বা তার কম পরিমাণের নয়, বরং যেসব রোগীর প্রতি মাইক্রোলিটার রক্তে সিডি৪ সেলের পরিমাণ ৩৫০-এর নিচে নেমে এসেছে, তাদেরই এ থেরাপি দেওয়া উচিত।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্লিনিক্যাল রোগের লক্ষণ দৃশ্যমান হোক বা না হোক, এইচআইভি-আক্রান্ত অন্তসত্ত্বা নারীসহ সব শিশু-কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্ক এইডস রোগীদের (যাদের রক্তে সিডি৪ সেলের পরিমাণ ৩৫০-এর কম) ককটেল থেরাপি দেওয়া উচিত।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে গত বছর প্রাথমিক পর্যায়েই রোগীদের এন্টি-রেট্রোভাইরাল থেরাপি (এআরটি) দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল। গতকাল এইডস সম্মেলনে এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে হু সেই সুপারিশের পক্ষে জোরালো সমর্থন ব্যক্ত করেছে। ১৫৬ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে এইচআইভি ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম ‘ককটেল’খ্যাত ওষুধটির কার্যকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ১৯৯৬ সালে এইডস রোগীদের চিকিৎসায় পাঁচমিশালি থেরাপির আবিষ্কার হয়। ওই সময় এ থেরাপি অত্যন্ত ব্যয়বহুল ছিল। তবে পরবর্তী সময়ে এ চিকিৎসাপদ্ধতির খরচ কমে আসে।
হুর প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৮ সালে বিশ্বে মোট ৪০ লাখ লোক ককটেল থেরাপি নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। পরের বছর অর্থাৎ ২০০৯ সালে এই চিকিৎসাপ্রাপ্তদের সংখ্যা ৫২ লাখে দাঁড়ায়। ২০০৮ সালের একটি জরিপে বলা হয়েছে, দরিদ্র ও বেশি মাত্রায় আক্রান্ত প্রায় ৪৩ লাখ রোগী এখনো এ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত।
২০০৬ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেসব রোগীর দেহের প্রতি মাইক্রোলিটার রক্তে সিডি৪ সেলের (এইচআইভি আক্রান্ত রোগ প্রতিরোধকারী কোষ) পরিমাণ ২০০ বা তার নিচে নেমে এসেছে, তাদের শরীরে ককটেলখ্যাত ওষুধ প্রয়োগ করার পরামর্শ দেয়। এ পর্যায়ের রোগীদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ব্যাপকভাবে কমে যায়। তবে ২০০৯ সালে ওই ওষুধের কার্যকারিতা ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে, ২০০ বা তার কম পরিমাণের নয়, বরং যেসব রোগীর প্রতি মাইক্রোলিটার রক্তে সিডি৪ সেলের পরিমাণ ৩৫০-এর নিচে নেমে এসেছে, তাদেরই এ থেরাপি দেওয়া উচিত।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্লিনিক্যাল রোগের লক্ষণ দৃশ্যমান হোক বা না হোক, এইচআইভি-আক্রান্ত অন্তসত্ত্বা নারীসহ সব শিশু-কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্ক এইডস রোগীদের (যাদের রক্তে সিডি৪ সেলের পরিমাণ ৩৫০-এর কম) ককটেল থেরাপি দেওয়া উচিত।
No comments