মালিকদের অন্যায় দাবি -আগে শ্রমিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা দিন
শনিবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি আয়োজিত গণশুনানিতে পোশাকশিল্পের মালিকদের প্রতিনিধিরা অন্তত দুটি অন্যায় করেছেন। প্রথমত, তাঁরা নিজেদের কথা বলেই চলে গেছেন। সেখানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ডিরেক্টরসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা ছিলেন। তাঁদের কথা শোনার মতো সময় বা ধৈর্য তাঁদের যদি না থাকে, তাহলে কেন তাঁরা গণশুনানিতে গিয়েছিলেন? এভাবে সভা ছেড়ে চলে যাওয়া অসদাচরণই বটে।
দ্বিতীয়ত, নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য যে মালিকপক্ষের দায় থাকে, সেটা তাঁরা স্বীকার করেননি। বরং এর দায় সরকার, বিদেশি ক্রেতা ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) ওপর চাপিয়ে নিজেদের অপরাধ ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করেছেন। এর চেয়ে বড় অন্যায় আর কী হতে পারে? বিদেশি ক্রেতা বা সরকারের দায় অবশ্যই আছে, কিন্তু তাতে মালিকেরা দায়মুক্ত থাকবেন কীভাবে? বাংলাদেশে সবচেয়ে কম মজুরিতে পোশাকশিল্পের কর্মীদের শ্রম দিতে বাধ্য করা হয়। কথায় কথায় ছাঁটাই, বেতন-ভাতা যথাসময়ে পরিশোধ না করা, এমনকি ঈদের আগে অনেক শ্রমিককে বিভিন্ন অজুহাতে চাকরিচ্যুত করে তাঁদের ঈদবোনাস থেকে বঞ্চিত করাসহ যেসব অভিযোগ প্রায়ই ওঠে, তার দায় কি বিদেশি ক্রেতারা নেবে? রানা প্লাজায় ফাটল দেখা দেওয়ার পরও সেখানে শ্রমিকদের কাজ করতে বাধ্য করাল কে? এর দায় কি মালিকপক্ষের নয়?
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি গত শনিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানের অনুরোধ জানালে তিনি চেষ্টা করার আশ্বাস দেন বটে, কিন্তু একই সঙ্গে পোশাক শিল্পকারখানার কর্মপরিবেশ উন্নত করা, আগুন নেভানোর ব্যবস্থা, নিরাপদ ভবন এবং বিশেষভাবে বাংলাদেশে শ্রম আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করারও তাগিদ দেন। এগুলো যে জ্বলন্ত সমস্যা, তা কি বিদেশিদের মুখ থেকে শুনতে হবে?
এক দিকে রাজনৈতিক সহিংসতা ও ঘন ঘন হরতালে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দূরে সরে যাচ্ছেন, অন্য দিকে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার না থাকায় বাংলাদেশি পোশাকের বাজার হুমকিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে বাংলাদেশের শুধু ভাবমূর্তিই ক্ষুণ্ন হচ্ছে না, বিদেশি বিনিয়োগও কমে যাচ্ছে। গত শনিবার বিদেশি চেম্বারগুলোর সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতেরা উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি সতর্ক করে দিয়েছেন যে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে অর্থনীতিতে মারাত্মক বিপর্যয় সৃষ্টি হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রম আইন সংস্কার ও শ্রমিক ইউনিয়ন-ব্যবস্থার অগ্রগতি না হওয়ায় পোশাকশিল্প পর্যবেক্ষণে আন্তর্জাতিক প্রকল্প ‘বেটার ওয়ার্ক’-এ যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের আবেদন নাকচ হয়ে গেছে। কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ ওই প্রকল্পে যেতে পারলে বাংলাদেশ পারে না কেন? এটা সাংঘাতিক লজ্জার কথা। আসন্ন অধিবেশনে শ্রম আইন সংশোধন করে এই লজ্জা নিবারণের ব্যবস্থা করা হোক। মালিকপক্ষেরও বোধোদয় হওয়া উচিত যে শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা না দিলে কারখানা চালানো সম্ভব নয়।
দ্বিতীয়ত, নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য যে মালিকপক্ষের দায় থাকে, সেটা তাঁরা স্বীকার করেননি। বরং এর দায় সরকার, বিদেশি ক্রেতা ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) ওপর চাপিয়ে নিজেদের অপরাধ ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করেছেন। এর চেয়ে বড় অন্যায় আর কী হতে পারে? বিদেশি ক্রেতা বা সরকারের দায় অবশ্যই আছে, কিন্তু তাতে মালিকেরা দায়মুক্ত থাকবেন কীভাবে? বাংলাদেশে সবচেয়ে কম মজুরিতে পোশাকশিল্পের কর্মীদের শ্রম দিতে বাধ্য করা হয়। কথায় কথায় ছাঁটাই, বেতন-ভাতা যথাসময়ে পরিশোধ না করা, এমনকি ঈদের আগে অনেক শ্রমিককে বিভিন্ন অজুহাতে চাকরিচ্যুত করে তাঁদের ঈদবোনাস থেকে বঞ্চিত করাসহ যেসব অভিযোগ প্রায়ই ওঠে, তার দায় কি বিদেশি ক্রেতারা নেবে? রানা প্লাজায় ফাটল দেখা দেওয়ার পরও সেখানে শ্রমিকদের কাজ করতে বাধ্য করাল কে? এর দায় কি মালিকপক্ষের নয়?
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি গত শনিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানের অনুরোধ জানালে তিনি চেষ্টা করার আশ্বাস দেন বটে, কিন্তু একই সঙ্গে পোশাক শিল্পকারখানার কর্মপরিবেশ উন্নত করা, আগুন নেভানোর ব্যবস্থা, নিরাপদ ভবন এবং বিশেষভাবে বাংলাদেশে শ্রম আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করারও তাগিদ দেন। এগুলো যে জ্বলন্ত সমস্যা, তা কি বিদেশিদের মুখ থেকে শুনতে হবে?
এক দিকে রাজনৈতিক সহিংসতা ও ঘন ঘন হরতালে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দূরে সরে যাচ্ছেন, অন্য দিকে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার না থাকায় বাংলাদেশি পোশাকের বাজার হুমকিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে বাংলাদেশের শুধু ভাবমূর্তিই ক্ষুণ্ন হচ্ছে না, বিদেশি বিনিয়োগও কমে যাচ্ছে। গত শনিবার বিদেশি চেম্বারগুলোর সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতেরা উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি সতর্ক করে দিয়েছেন যে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে অর্থনীতিতে মারাত্মক বিপর্যয় সৃষ্টি হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রম আইন সংস্কার ও শ্রমিক ইউনিয়ন-ব্যবস্থার অগ্রগতি না হওয়ায় পোশাকশিল্প পর্যবেক্ষণে আন্তর্জাতিক প্রকল্প ‘বেটার ওয়ার্ক’-এ যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের আবেদন নাকচ হয়ে গেছে। কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ ওই প্রকল্পে যেতে পারলে বাংলাদেশ পারে না কেন? এটা সাংঘাতিক লজ্জার কথা। আসন্ন অধিবেশনে শ্রম আইন সংশোধন করে এই লজ্জা নিবারণের ব্যবস্থা করা হোক। মালিকপক্ষেরও বোধোদয় হওয়া উচিত যে শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা না দিলে কারখানা চালানো সম্ভব নয়।
No comments